শিরোনাম:
পাইকগাছা, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫, ৯ শ্রাবণ ১৪৩২

SW News24
মঙ্গলবার ● ২২ জুলাই ২০২৫
প্রথম পাতা » সুন্দরবন » প্লাস্টিক-পলিথিন দূষণে সুন্দরবন হুমকির মুখে
প্রথম পাতা » সুন্দরবন » প্লাস্টিক-পলিথিন দূষণে সুন্দরবন হুমকির মুখে
২৭ বার পঠিত
মঙ্গলবার ● ২২ জুলাই ২০২৫
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

প্লাস্টিক-পলিথিন দূষণে সুন্দরবন হুমকির মুখে

--- প্রকাশ ঘোষ বিধান; পাইকগাছা ঃ প্লাস্টিক-পলিথিন বিষে সুন্দরবনের জীব-বৈচিত্র্য হুমকিতে রয়েছে। অপচনশীল বস্তু হিসেবে প্লাস্টিক পলিথিন সুন্দরবনের প্রাণীকুল ও প্রকৃতির মারাত্মক ক্ষতি করে চলেছে। যা পরোক্ষভাবে মানবদেহের জন্যও মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়ে উঠতে যাচ্ছে। গত কয়েক দশক ধরে বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনের প্রাণীদের আবাসস্থল ও জীববৈচিত্র্য উভয়ের জন্যই প্লাস্টিক দূষণ মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। বনের মাটি ও পানিতে উদ্বেগজনক হারে মিলছে মাইক্রোপ্লাস্টিক যা প্লাস্টিকের অত্যন্ত ক্ষুদ্র অংশ। প্লাস্টিক ও পলিথিন হুমকি বাড়াচ্ছে জলজ ও স্থল বন্যপ্রাণী এবং গাছপালার।

সুন্দরবন বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন, প্লাস্টিক বর্জ্য বিশেষ করে মাইক্রোপ্লাস্টিকের কারণে দূষিত হচ্ছে। মাইক্রোপ্লাস্টিক দূষণের কারণে সুন্দরবন হুমকির মুখে পড়েছে। উপকূলীয় অঞ্চলে মাছের মাধ্যমে এই প্লাস্টিক খাদ্যশৃঙ্খলে প্রবেশ করছে, যা তাদের প্রজনন প্রক্রিয়া ও বৃদ্ধিকে প্রভাবিত করছে। এই মাইক্রোপ্লাস্টিকগুলো মাছ, পাখি, এবং অন্যান্য বন্যপ্রাণীর শরীরে প্রবেশ করছে, যা তাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এই প্লাস্টিক দূষণ অন্যান্য জলজ প্রাণীর ওপর প্রভাব ফেলছে। এছাড়া, এই দূষণ সুন্দরবনের বাস্তুসংস্থানকেও ক্ষতিগ্রস্ত করছে। সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য এবং পরিবেশের উপর এ দূষণ মারাত্মক প্রভাব ফেলছে।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, সুন্দরবনের নদীগুলোতে মাইক্রোপ্লাস্টিকের উপস্থিতি উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে। এই মাইক্রোপ্লাস্টিকগুলো মাছের শরীরেও পাওয়া গেছে, যা মানবস্বাস্থ্যের জন্যও ঝুঁকি তৈরি করছে।

সুন্দরবনের মধ্যে পর্যটক ও বনজীবীরা যেখানে সেখানে পলিথিন, চিপস, চানাচুর ও বিস্কুটসহ বিভিন্ন খাবারের প্যাকেট, পানির বোতল, প্লাস্টিকের কাপ, প্লাস্টিকের গ্লাস ও প্লেট প্রভৃতি ফেলে থাকে। বনের যেসব এলাকায় মানুষের যাতায়াত বেশি সেখানে প্লাস্টিক ও পলিথিন দূষণও বেশি। তবে পর্যটক ও বনজীবীরা শুধু সুন্দরবনের ভেতরে গিয়েই দূষণ ঘটাচ্ছে না। বন সংলগ্ন লোকালয় থেকেও এগুলো জোয়ার-ভাটায় নদীর পানিতে ভেসে বনে যায়। বন সংলগ্ন ৮০টি গ্রাম থেকে ৫২টি নদী-খাল হয়ে জোয়ারের সময় ওয়ান টাইম প্লাস্টিক গ্লাস ও প্লেট প্রভৃতি বনের মধ্যে চলে যাচ্ছে।

সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. আবু নাসের মোহসিন হোসেন বলেন, বনে প্লাস্টিক ও পলিথিন দূষণ ঘটছে। মাঝেমাঝে বানর পলিথিন খেয়ে ফেলছে। কচ্ছপের গায়ে পলিথিন জড়িয়ে যাওয়ায় মারা যাচ্ছে। মাছ, ডলফিনসহ বিভিন্ন জলজ প্রাণী প্লাস্টিকের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশ খেয়ে ফেলছে। শামুক-ঝিনুকসহ সব জলজ প্রাণীর উপরই নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এছাড়া গাছের শ্বাসমূলের উপর পলিথিন ও প্লাস্টিক সামগ্রী পড়ে ক্ষতি হচ্ছে।

তিনি বলেন, সুন্দরবনে প্লাস্টিক ও পলিথিন সামগ্রী বহন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তারপরও লোকজন এগুলো বনের মধ্যে ফেলছে। এ ব্যাপারে সকলকে সচেতন হতে হবে।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)