শিরোনাম:
পাইকগাছা, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫, ১৩ আষাঢ় ১৪৩২

SW News24
বৃহস্পতিবার ● ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » স্বাস্থ্যকথা » পাইকগাছায় কবিরাজি চিকিৎসায় আব্দুল খালেকের সফলতা
প্রথম পাতা » স্বাস্থ্যকথা » পাইকগাছায় কবিরাজি চিকিৎসায় আব্দুল খালেকের সফলতা
১১৫৫ বার পঠিত
বৃহস্পতিবার ● ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

পাইকগাছায় কবিরাজি চিকিৎসায় আব্দুল খালেকের সফলতা

---

এস ডব্লিউ নিউজ ॥

পাইকগাছায় কবিরাজি চিকিৎসায় ব্যাপক সুখ্যাতি অর্জন করেছে আব্দুল খালেক গাজী। কবিরাজি চিকিৎসা সেবায় গাজী আব্দুল খালেক এলাকায় ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছে। দিন দিন বাড়ছে তার রোগীর সংখ্যা। কোন প্রকার পুথিগত বিদ্যা ছাড়াই স্বপ্নে পাওয়া চিকিৎসা ব্যবস্থার মাধ্যমে ভেজষ গাছ-গাছড়া দিয়ে রোগীদের চিকিৎসা সেবা করে চলেছে কবিরাজ আব্দুল খালেক।

পাইকগাছা উপজেলার চরমলই গ্রামের মৃত আলী আহম্মদ গাজীর ছেলে মোঃ আব্দুল খালেক গাজী। তিনি দীর্ধ দিন যাবৎ আগড়ঘাটা বাজারে তার কবিরাজ ঘরে রোগীদের চিকিৎসা সেবা করছেন। ইতি মধ্যে কবিরাজের চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। গ্যাষ্টিক, বাঁত ব্যাথা, এ্যাজমা, হ্যপানি, ক্যান্সারসহ জটিল রোগ থেকে অনেকে মুক্তি পেয়েছেন বলে রোগী ও স্থানীরদের কাছ থেকে জানা গেছে। প্রতিদিন বিভিন্ন জেলা থেকে রোগীরা চিকিৎসা সেবা নিতে খালেক কবিরাজের আগড়ঘাটা বাজারে  কবিরাজ ঘরে ভীড় করছে। জানাগেছে প্রতিদিন তার কবিরাজ ঘরে বিভিন্ন পর্যায়ের রোগীরা চিকিৎসা নিতে আসে। গত ৮ সেপ্টেম্বর কবিরাজ খালেকের কাছে চিকিৎসা নিতে আসেন যশোর জেলার মনিরামপুর উপজেলার ডুমুরখালীর একই পরিবারের ৭জন। তারা হলেন, ফজর আলী, শহর আলী বিশ্বাস, রমেছে বেগম, মকর জান, আয়শা বেগম, ছবিরুন্নেছা। মকরজান গত ২ সপ্তাহ যাবৎ খালেক কবিরাজের ঔষধ থেয়ে সুস্থ্য অনুভব করায় ঐ পরিবারের ৭জনই চিকিৎসা গ্রহণ করছে। তাছাড়া পাটকেল ঘাটার মশিয়ার রহমান তার স্ত্রী রাবেয়া খাতুন বাত ব্যথার চিকিৎসা নিচ্ছে। মশিয়ার জানায় সে একজনকে ধরে ধরে হেটে কবিরাজের কাছে আসে। তাৎক্ষণিক কবিরাজের কাছে ঔষধ খেয়ে ও মালিস করে সে সুস্থ্য অনুভব করে। এছাড়া মশিয়ারের ভাইপো হাসানুজ্জামান দীর্ঘদিন অসুস্থ্য থাকার পর খালেক কবিরাজের ঔষধ খেয়ে সুস্থ্য জীবন-যাপন করছে। একই গ্রামের শাহাবাজ ফকির বাঁত ব্যথা ও হাটু ফোলা নিয়ে হামুড় হেটে বেড়াতো, সে খালেক কবিরাজের কাছ থেকে চিকিৎসা নিয়ে এখন কাজ কর্ম করে বেড়াচ্ছে। আগত রোগীরা জানান, খালেক কবিরাজের চিকিৎসা নিয়ে তারা সুস্থ্য রয়েছে। এমন অসংখ্য রোগী বিভিন্ন জটিল রোগ থেকে আরগ্য লাভ করায় খালেক কবিরাজের চিকিৎসার সুনাম দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ায় তার চিকিৎসা সেবা জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

কবিরাজ আব্দুল খালেক জানান, জন্মগত ভাবেই সে পাগল হওয়ায় কারণে লেখাপড়া করার কোন সুযোগ হয়নি। পাগল থাকার সময় সে খেঁজুর গাছের মাথায় উঁঠে আযান দেওয়া, আগুনের গোল্লা গিলে ফেলাসহ অদ্ভুদ কান্ড করতো। কোন ডাক্তার তাকে চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করতে না পারায় সে গলায় রশি ও নদীতে ডুবে আত্মহত্যার চেষ্টা করলে একদিন রাতে স্বপ্নে তার সুস্থ হওয়ার জন্য একটি হাড়, গাছের শিকড়সহ বিভিন্ন গাছের উপকরণ পায়। এরপর থেকে সে ভাল হয়ে ওঠে এবং বিভিন্ন জটিল রোগীর চিকিৎসা শুরু করেন। ইতি মধ্যে তার এ চিকিৎসায় সেনা-নৌ সহ বিভিন্ন কর্মকর্তা থেকে শুরু করে অসংখ্য জটিল রোগীরা আরোগ্য লাভ করেছে। তিনি আরো জানান, ৩০ বছর ধরে মানুষের বিভিন্ন প্রকার ভেজস গাছের শিকড়-বাকড় ও আয়ুর্বেদিক ঔষধ দিয়ে রোগীদের চিকিৎসা করছেন। তিনি আরো জানান, আমি উপলক্ষ্যমাত্র সব কিছু আল্লাহ’র রহমতে হচ্ছে।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)