

বুধবার ● ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
প্রথম পাতা » স্বাস্থ্যকথা » মাগুরায় বিজ্ঞানের আলোয় সর্প দংশনের প্রতিকার বিষয়ে সেমিনার
মাগুরায় বিজ্ঞানের আলোয় সর্প দংশনের প্রতিকার বিষয়ে সেমিনার
মাগুরা প্রতিনিধি : মাগুরায় সর্প দংশন বিজ্ঞানের আলোয় প্রতিকার এই স্লোগানকে সামনে নিয়ে এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার দুপুরে জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক মোঃ অহিদুল ইসলামের সভাপতিত্ব সেমিনারে সর্প ধ্বংস মৃত্যুর কারণ ও এর প্রতিকার নিয়ে আলোচনা করেন বন্যপ্রাণী গবেষক আবু সাঈদ। তিনি বলেন, সঠিক প্রজাতির সাপ চেনে না সে কারণে আমাদের দেশে প্রায় ৭৫০ লোক সর্বদশনে মৃত্যু হয়। মানুষ ছাড়াও বছরে উনিশ হাজার গবাদিপশুর সর্প দংশনের শিকার হন। তিনি আরো বলেন ,অনেক সময় ডাক্তারদের কাছে সর্প দংশ সঠিক তথ্য না দেওয়ার কারণে আন্টি ভেনাম দেওয়া সম্ভব হয় না। এক্ষেত্রে সর্ব দংশনের শিকার রোগী ডাক্তারের সঠিক তথ্য প্রদানের পরামর্শ দেন। দেশে অনেক জায়গায় সাপের দাঁত ভেঙে ওঝোর কাছে খেলা দেখায়। তবে সাপের দাঁত ভাঙ্গার পরও সাপের বিষ রয়ে যায়। সাপ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় দংশন করতে পারে। বিষক্রিয়ার প্রভাবে প্রথমে রোগীকে সাধারণ ভাবে রশি দিয়ে বাদ দেয়া হয়। এতে রোগীর হাড়ের ক্ষতীয় হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বিভিন্ন সময় ও ওঝোরা মন্ত্র পড়ে রোগীকে চিকিৎসা করে থাকে। সর্প দংশন রোগীকে তাবিজ দিয়ে চিকিৎসার পদ্ধতি প্রচলিত রয়েছে। তবে গবেষণায় দেখা যায় ১০০ টি সাপের মধ্যে ৮০টি অবিশোধন সাপের দংশন। আর বাকি দিচ্ছে বিষধর সাপের দর্শন। অনেক সময় সাপে কাটা রোগীকে দ্রুত হসপিটালে আনতে হবে। এতে ওই রোগীর দ্রুত চিকিৎসা শুরু হবে। মৃত্যু জুকি অনেকটা কমে আসবে বলে তিনি জানান। বাংলাদেশের অধিকাংশ সপ দংশনের মানুষ ওঝার কাছে যাওয়ার ফলে মৃত্যু হয়। এ সেমিনারে মাগুরা ২৫০ হাসপাতালে মেডিসিন ডাক্তার দেবাশীষ বিশ্বাস ও ডাক্তার মেহেদী হাসান বক্তব্য রাখেন।