

বৃহস্পতিবার ● ৯ অক্টোবর ২০২৫
প্রথম পাতা » অপরাধ » পাইকগাছায় স্কুলছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে এলাকাবাসীর মানববন্ধন
পাইকগাছায় স্কুলছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে এলাকাবাসীর মানববন্ধন
খুলনার পাইকগাছায় ৭ম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষনের চেষ্টা ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে অভিভাবক ও এলাকাবাসীর উদ্যেগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার লস্কর ইউনিয়নের খড়িয়া দাখিল মাদরাসা সংলগ্ন মেইন রাস্তায় খড়িয়া গ্রামবাসি অভিযুক্ত বাদশার শাস্তি ও তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, খড়িয়া দাখিল মাদরাসার সুপার জিএম মনিরুজ্জামান, মাদ্রাসার সভাপতি ও সাবেক শিক্ষক মোঃ ছামছুর রহমান গাজী, গ্রাম বাসীর পক্ষ থেকে মোঃ হযরত আলী। এ সময় বক্তারা বলেন, অভিযুক্ত বাদশা সানা একজন কু-চরিত্রের মানুষ। সে ইতিপূর্বে এলাকার আরও কয়েকটি মেয়েদের সাথে এমন নেক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে।
গত ৫ অক্টোবর রবিবার দুপুরে খড়িয়ার বাবুল হোসেনের কন্যা ৭ম শ্রেণিতে পড়ুয়া শিশু শিক্ষার্থীকে একা পেয়ে ধর্ষনের চেষ্টা ও শ্লীলতাহানি করে। এই ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি অভিযোগ হয়েছে।
বক্তরা আরও বলেন, এই বাদশার জন্য এখন অনেক শিক্ষার্থীরা মাদ্রাসায় আসতে পারছেন না। কারন তাদের সাথেও মাঝে মধ্যে রাস্তায় এমন আচরণ করে সে। কু- চরিত্রের এই জঘন্য ব্যক্তি বাদশার শাস্তি ও তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য প্রসাশনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন এলাকাবাসী। জানা গেছে, অভিযুক্ত বাদশা খড়িয়া গ্রামের ইয়াসিন আলী সানার ছেলে ও ভিকটিম শিক্ষার্থী একই গ্রামের বাবুলের মেয়ে।
মানববন্ধনে ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হযরত আলী, ছাত্রদল নেতা মো. রাসেল, কৃষকদলের ইউনিয়ন সভাপতি ডাঃ সাহামত, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা ছাইবুর ইসলাম, উপজেলা যুবদল নেতা আব্দুর রাজ্জাক, আনারুল সরদার, শাওন সানা, শফি সানা, সোয়ান সানা, হবি সানা, রিপন সরদার, জাকির সানা, আশরাফুল সানাসহ মাদ্রাসার অন্যান্য শিক্ষক- শিক্ষার্থী ও এলাকার শত শত মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
অভিযুক্ত বাদশা জানান, সে সম্পর্কে আমার শালিকা হয়। তার সাথে এ সংক্রান্ত কোন ঘটনা আমার সাথে ঘটেনি। তবে আমার দোকান নিয়ে প্রতিবেশীদের সাথে বিরোধ থাকায় তারা উদ্দেশ্যমূলক ভাবে আমাকে জড়িয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। এদিকে বিক্ষপ্ত জনতা অভিযুক্ত বাদশার দোকানে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহেরা নাজনীন জানান, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত পুর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার নিকট পাঠানো হয়েছে।