শিরোনাম:
পাইকগাছা, শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২

SW News24
মঙ্গলবার ● ১১ নভেম্বর ২০২৫
প্রথম পাতা » সংস্কৃতি ও বিনোদন » “দেলুপি” মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রটি পাইকগাছায় কালের স্বাক্ষী হয়ে থাকবে -সংশ্লিষ্টদের অভিমত
প্রথম পাতা » সংস্কৃতি ও বিনোদন » “দেলুপি” মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রটি পাইকগাছায় কালের স্বাক্ষী হয়ে থাকবে -সংশ্লিষ্টদের অভিমত
১৫১ বার পঠিত
মঙ্গলবার ● ১১ নভেম্বর ২০২৫
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

“দেলুপি” মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রটি পাইকগাছায় কালের স্বাক্ষী হয়ে থাকবে -সংশ্লিষ্টদের অভিমত

---খুলনার পাইকগাছায় প্রথম প্রদর্শনেই উৎসুক দর্শক-শ্রোতার মন জয় কর নিলেন বহুল প্রতিক্ষীত বাংলা চলচ্চিত্র “দেলুপি’।

বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার দ্বীপবেষ্টিত দেলুটি’র দারুনমল্লিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে আনুষ্ঠানিক ভাবে শুভ মুক্তি পেল এ সিনেমাটি।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পূর্ণ দৈর্ঘ্য সিনেমাটি খুলনায় ৭ নভেম্বর ও ১৪ নভেম্বর সারাদেশে মুক্তি পাবে। পরে পাইকগাছা, দাকোপ,বটিয়াঘাটাসহ বিভিন্ন স্থানে প্রদর্শন করা হবে।

‘দেলুপি’ চলচ্চিত্রটি’ এসেছে মূলত দেলুটির নামে। ফুটপ্রিন্ট ফিল্ম প্রোডাকস প্রযোজিত ১ ঘন্টা ৩৭ মিনিটের সিনেমায় মূলত দক্ষিণ বাংলার গ্রামীন জীবনের বাস্তবচিত্র তুলে ধরা হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন জনিত কারণে নদী ভাঙন,বন্যা,জলোচ্ছ্বাস, জরাজীর্ণ রাস্তাঘাট,রাজনৈতিক টানাপোড়েন,প্রেম-সম্পর্ক, সামাজিক বাঁধা বিপত্তি ও শিল্প সংগ্রামের মতো নানা বাস্তবতা উপস্থাপিত হয়েছে। চলচ্চিত্রে গ্রামীন সাদামাঠা জীবন যাপন ও পরিবর্তন, মাটিতে বসবাস,নদীর ধারে চলাফেরা ও প্রকৃতি ইত্যাদি রয়েছে।

সম্প্রতিকালের ভয়াবহ ঘুর্ণিঝড় ‘রিমেল’ ফনি’র মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগে নদী ভাঙনে দেলুটির ২২ নম্বর পোল্ডারের একাধিক গ্রাম জলমগ্ন হয়। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির ঘটনায় জনজীবন দুর্বিসহ হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় জনপদের মানুষ দাবি তোলেন ‘ আমরা ত্রান চাইনা, শুধু টেকসই ভেড়িবাঁধ চাই” সেই বাস্তব অভিজ্ঞতাকে কাল্পনিক ভাবে এ সিনেমার পরিচালক মোহাম্মদ তাওকীর ইসলাম ও সহকারী পরিচালক সায়মা নাসরিন দেলুপি’ চলচ্চিত্রে ফুটিয়ে তুলেছেন। যার ‘মূল ভূমিকায় অভিনয় করেছেন চিরনজিৎ বিশ্বাস,অদিতি রায়, রুদ্র রায় ও মো, জাকির হোসেনসহ স্থানীয় যাত্রা শিল্পী ও মঞ্চ শিল্পীরা।

পরিচালক মোহাম্মদ তাওকীর ইসলাম মানুষের সঙ্গে তাদের জীবনের অংশ হয়ে গল্পটি বলতে চেয়েছেন। তিনি আরোও বলেছেন, সিনেমাটি শুধু দ্বীপবেষ্টিত দেলুটি বা পাইকগাছার নয়,এটি দেশের সর্বস্তরের মানুষের জন্য জীবনের সঙ্গে মেলাবে।

সিনেমার চিত্রনাট্য নির্বাহী প্রযোজক ও নির্দেশক অমিত রুদ্র বলছেন, মানুষ সিনেমার মাধ্যমে নিজেকে ধরে রাখতে পারে যা কালের স্বাক্ষী হয়ে থাকবে।

স্থানীয়রা বলছেন, এ ছবিটি আমাদের জন্য নিজের গ্রামের গল্প হতে পারে। হয়তো আমার বা পাশের গ্রামের এটি স্থানীয় শিল্প হলেও এর অনুভূতি সার্বজনীন হতে পারে।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)