শিরোনাম:
পাইকগাছা, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫, ২৭ কার্তিক ১৪৩২

SW News24
মঙ্গলবার ● ১১ নভেম্বর ২০২৫
প্রথম পাতা » কৃষি » অগ্নিশ্বর কলা চাষে নজর কেড়েছেন অলক বিশ্বাস
প্রথম পাতা » কৃষি » অগ্নিশ্বর কলা চাষে নজর কেড়েছেন অলক বিশ্বাস
২৫ বার পঠিত
মঙ্গলবার ● ১১ নভেম্বর ২০২৫
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

অগ্নিশ্বর কলা চাষে নজর কেড়েছেন অলক বিশ্বাস

---মাগুরা প্রতিনিধি : কলার নাম অগ্নিশ্বর। দেখতে লাল খয়েরী। সচরাচর এ কলাটি হাটে বাজারে দেখতে পাওয়া যায় না। অনেকে শখের বসে বাড়ির আশেপাশে অথবা আঙ্গিনায়  এই কলাটি লাগিয়ে থাকেন। এবার এই অগ্নিশ্বর কলা চাষে জেলায় নজর কেড়েছেন সদরের আঠারাখাদা ইউনিয়নের গোলকনগর গ্রামের  অলক বিশ্বাস। এ কলাটি দেখতে লাল খয়েরি। কলার বাইরে যে রং ভেতরের অংশেও একই রং। সাধারণত বাজারে যেসব কলা পাওয়া যায়  এসব কলার রং বাইরের অংশে হলুদ- সবুজ ও ভেতরের অংশে থাকে সাদা। কিন্তু অগ্নিশ্বর কলার রং বাইরে লাল খয়েরি ভেতরেও লাল খয়েরী। অদ্ভুত এই কলাটি দেখতে এখন অলোক বিশ্বাসের বাড়িতে ভিড় করছেন দূর দূরান্তের আগান্তক মানুষেরা। অনেকেই চারা সংগ্রহের জন্য তার বাড়ি ধর্না দিচ্ছেন।
অলোক বিশ্বাস জানান, পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে  আমি ১০ টি চারা সংগ্রহ করি। তারপর বাড়িতে পতিত জমিতে রোপন করি অগ্নিশ্বর কলার চারা। এখন ১০ টি চারা থেকে শতাধিক চারা হয়েছে আমার। বিশ শতক জমিতে এখন চাষ আমার। অগ্নিশ্বর কলাটি আকর্ষণীয় রং হওয়ায় কলা উত্তোলনের পর পরই ব্যাপারীরা বাড়িতে এসে কলা সংগ্রহ করে। প্রতি কাঁদি কলা আমি ৮শ থেকে ৯শ টাকায় বিক্রি করি। এখন পর্যন্ত আমি ২০ হাজার টাকার কলা বিক্রি করেছি।
তিনি বলেন,এ চাষে জমি তৈরি করতে জৈব সারের পাশাপাশি  আমি গোবর সার প্রয়োগ করি। জমি প্রস্তুত শেষে চারা রোপন করি। তারপর এক মাস পর চারা গাছ বড় হলে গাছের পরিচর্যা বাড়ায়। চারা গাছ তিন থেকে চার মাস বড় হলেই ফুল তারপর ফল আসতে শুরু করে। বছরে ১২ মাসেই এ কলা উৎপাদন হয় । মাগুরা সহ বিভিন্ন স্থানের মানুষ চারা সংগ্রহ করার জন্য ভিড় করছে আমার বাড়িতে।
অলোক বিশ্বাসের স্ত্রী রূপালী বিশ্বাস জানান, চাষের কাজে আমি সব সময় সহযোগিতা করে আসছি। এ চাষে খরচ ও পরিশ্রম কম। নিয়মিত সার ও পরিচর্যার ফলে এ চারা বেড়ে ওঠে। তিন থেকে চার মাসের মধ্যেই  চারা গাছে ফল পাওয়া যায়। লাল খায়েরী রঙের আকর্ষণীয়  কলাটি দেখতে প্রতিদিন  আমাদের বাড়িতে ভিড় করছেন বিভিন্ন গ্রামের মানুষ। অনেকে আসছেন  চারা সংগ্রহের জন্য। এ কলাটি খেতে  সুস্বাদ। দুধের সাথে এই কলাটি মিশিয়ে খেলে আরো মজা লাগে। আগামীতে অগ্নিশ্বর  কলার চাষ আমরা আরো বৃদ্ধি করবো বলে আশা করছি।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)