শিরোনাম:
পাইকগাছা, বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫, ১২ অগ্রহায়ন ১৪৩২

SW News24
বুধবার ● ২৬ নভেম্বর ২০২৫
প্রথম পাতা » কৃষি » কেশবপুরে তুলার আবাদে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখছে চাষীরা
প্রথম পাতা » কৃষি » কেশবপুরে তুলার আবাদে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখছে চাষীরা
১২ বার পঠিত
বুধবার ● ২৬ নভেম্বর ২০২৫
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

কেশবপুরে তুলার আবাদে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখছে চাষীরা

---এম আব্দুল করিম, কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি : বাংলাদেশ তুলা উন্নয়ন বোর্ড যশোরের পৃষ্টপোষকতায় ও উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রযুক্তিগত নানা মুখী সহযোগিতায় যশোরের কেশবপুরে বেড়েছে তুলার আবাদ।
তুল চাষে খরচের তুলনায় লাভ বেশী হওয়া এবং অনাবাদি পতিত জমিতে চাষ করার সুবিধা থাকায় দিনে দিনে এ উপজেলার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষীরা তুলা চাষের প্রতি ঝুকে পড়ছে। তুলা চাষে কৃষকদের আরো বেশী আগ্রহী করে তুলতে চলতি বছরে তুলা উন্নয়ন বোর্ড ১৫ জন কৃষককে প্রদর্শনী প্লট ও ২২০ জন কৃককে প্রনোদনা প্যাকেজের আওতায় আনা হয়েছে। আর এই প্রণোদনা আওতায় এসব চাষীর মাঝে তুলা বীজ, সার, কীটনাশকসহ অন্যান্য সুবিধা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া বীনা সুদে আগ্রহী চাষীদেরকে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করছেন। যার ফলে কেশবপুরে ব্যাপকহারে তুলার আবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
উপজেলা কৃষি অফিস ও যশোর জেলা তুলা উন্নয়ন বোর্ড অফিস সুত্রে জানাগেছে, সরকারি ভাবে তুলা চাষের কোন লক্ষ্যমাত্র না থাকলেও জেলা ও উপজেলা ব্যাপী তুলার আবাদ বৃদ্ধি করতে তুলা উন্নয়ন বোর্ড ও কৃষি বিভাগ নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। যার ফলে প্রতি বছরই কেশবপুরে তুলার আবাদ বাড়ছে। কৃষি অফিস সুত্রে জানাগেছে, এ উপজেলায় ২০২৩ সালে ২০ হেক্টর জমিতে তুলার আবাদ হয়। ২০২৪ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ২২ হেক্টরে। চলতি বছরে ২০২৫ সালে সেই ২২ হেক্টর থেকে বেড়ে ২৮ হেক্টর জমিতে তুলার আবাদ হয়েছে। যা গত তিন বছরে ৮ হেক্টর জমিতে আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে।
তুলা লাভজনক ফসল হওয়ায় এর আবাদ বাড়ছে। আগামী বছর তুলার আবাদ ৩৫ হেক্টর ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছেন তারা। ভালুকঘর গ্রামের তুলা চাষী আব্দুর রহিম বলেন, আমি গত ২বছর যাবত তুলা চাষ করে আসছি। অন্যান্য ফসলের চেয়ে বেশী লাভ পেয়েছি, সে জন্য এবার আমি ৮৪ শতাংশ জমিতে তুলা আবাদ করেছি। গাছ ভাল হয়েছে, আবহায়া ভাল থাকলে ভাল ফলন পাবো আশা করছি।
উপজেলা তুলা উন্নয়ন কর্মকর্তা কোহিনুর রহমান বলেন, ১বিঘা জমিতে তুলা চাষ করতে সব মিলিয়ে চাষীর খরচ হয় ১৫ হাজার থেকে ১৮হাজার টাকা। বিঘা প্রতি ফলন হয় ১৮ থেকে ২০ মণ। প্রতি মণ তুলা বিক্রি হয় ৩৯০০টাকা থেকে ৪ হাজার  টাকা। খরচ বাদে ১বিঘা জমিতে তুলা চাষ করে কৃষকের লাভ হয় ৫০ থেকে ৬০হাজার টাকা।
উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, তুলা চাষের সার্বিক বিষয় দেখভাল করেন বাংলাদেশ তুলা উন্নয়ন বোর্ড। তবে তুলা চাষে নানাবিধ সমস্যা সমাধান ও প্রযুক্তিগত বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করে যাচ্ছে উপজেলা কৃষি অফিস।
এবিষয়ে যশোর জেলা প্রধান তুলা উন্নয়ন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, তুলার আবাদ বৃদ্ধিতে আমরা কয়েকটি জেলার ১৮টি ইউনিনট নিয়ে কাজ করছি। তার মধ্যে কেশবপুর উপজেলা অন্যতম। অন্যান্য ফসলের চেয়ে তুলা চাষে খরচ কম ও লাভ বেশী পাওয়া যায়। তাছাড়া পতিত জমিতে তুলার আবাদ ভাল হয় এসব বিষয় গুলো কৃষকদের বোঝানোর চেষ্টা করে যাচ্ছি এবং ভাল ফলাফল পাচ্ছি।





আর্কাইভ