রবিবার ● ৪ মার্চ ২০১৮
প্রথম পাতা » শিক্ষা » আর,কে,বি,কে হরিশ্চন্দ্র কলেজিয়েট স্কুল এন্ড কলেজ জাতীয়করণের দাবী
আর,কে,বি,কে হরিশ্চন্দ্র কলেজিয়েট স্কুল এন্ড কলেজ জাতীয়করণের দাবী
![]()
এস ডব্লিউ নিউজ ॥
পাইকগাছার বিশ্ব বরেণ্য বিজ্ঞানী আচার্য স্যার প্রফুল্ল চন্দ্র পিসি রায়ের প্রতিষ্ঠিত আর,কে,বি,কে হরিশ্চন্দ্র কলেজিয়েট স্কুল এন্ড কলেজ নানা সমস্যায় জর্জরিত। ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানটি জাতীয়করণ না হওয়ায় সরকারের সকল সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত এলাকার পুরাতন এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি। ঐতিহ্যবাহী এ বিদ্যাপিঠটি ১৯০৩ সালে বিজ্ঞানী পিসি রায় জন্মস্থান রাড়–লীতে তার পিতা হরিশ্চন্দ্রের নামে প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠানটি বিগত ১১৪ বছর আলোকিত মানুষ গড়তে অনন্য ভূমিকা রেখে আসলেও প্রতিষ্ঠানটি রয়ে গেছে আজও অবহেলিত। পিসি রায়ের হাতে গড়া প্রতিষ্ঠানটি জাতীয়করণ সহ বিজ্ঞানী পিসি রায়ের নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
সূত্রমতে, ১১৪ বছর আগে অত্র এলাকায় জ্ঞান অর্জন করার জন্য যখন তেমন কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিল না তখন এলাকার মানুষকে আলোকিত মানুষ হিসাবে গড়ে তুলতে বিজ্ঞানী পিসি রায় ১৯০৩ সালে জন্মস্থান রাড়–লীর কপোতাক্ষের তীরে সাড়ে ৮ একর জমির উপর পিতা হরিশ্চন্দ্রের নামে প্রতিষ্ঠা করেন আর,কে,বি,কে হরিশ্চন্দ্র ইনস্টিটিউশন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি ১৯৯৫ সালে স্কুল পর্যায় থেকে কলেজিয়েট পর্যায়ে উন্নীত করা হয়। যা ১৯৯৯ সালে এমপিও ভুক্ত হয়। প্রতিষ্ঠানের পৃথক ৩টি ভবন রয়েছে, দ্বিতীয় তলার পুরাতন ভবনে রয়েছে ১২টি কক্ষ, সম্প্রসারিত ভবনে রয়েছে ৬টি কক্ষ ও পৃথক আরেকটি ভবনে রয়েছে ৫টি কক্ষ। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানে মাধ্যমিক পর্যায়ে ১০ জন, কলেজ পর্যায়ে ২২ জন শিক্ষক সহ ৪৬ জন শিক্ষক কর্মচারী কর্মরত রয়েছে। অধ্যায়নরত রয়েছে মাধ্যমিক পর্যায়ে ৪৫০ ও কলেজ পর্যায়ে ৭৫০ শিক্ষার্থী। ঐতিহ্যবাহী এ প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘ ১১৪ বছর শিক্ষা বিস্তার ও এর উন্নয়নে ভূমিকা রেখে যাচ্ছে। প্রয়াত সাবেক স্পীকার শেখ রাজ্জাক আলী, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমানের শ্বশুর রুহুল আমিন মোল্লা, ড. শ্যামল কুমার ঘোষ ও হাই কোটের অবসর প্রাপ্ত বিচারপতি কামরুল ইসলাম সহ অসংখ্য গুণি ব্যক্তি অত্র প্রতিষ্ঠানের ছাত্র ছিলেন। প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও আজও রয়ে গেছে অবহেলিত। ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী প্রিয়ন্তী দাশ জানান, বিজ্ঞানী পিসি রায়ের হাতে গড়া প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করতে পেরে আমরা নিজেদেরকে গর্বিত মনে করি। এইচএসসি’র শিক্ষার্থী অন্তরা দাশ জানান, এলাকার সবচেয়ে পুরাতন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এটি অন্যতম। আমাদের দাবী প্রতিষ্ঠানটি জাতীয়করণ করা হোক। অধ্যক্ষ গোপাল চন্দ্র ঘোষ জানান, তৎকালিন সময়ে এলাকায় তেমন কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিলনা। ১শ বছরের অধিক সময় প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি আজও অবহেলিত। সরকার ইতোমধ্যে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ও বেগম রোকেয়ার নামে বিশ্ববিদ্যালয় করেছেন। আমাদের দাবী বিজ্ঞানী পিসি রায়ের নিজের হাতে গড়া এই ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানটি জাতীয়করণ করা সহ বিজ্ঞানীর নামে একটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হোক। ঐতিহ্যবাহী এ প্রতিষ্ঠানটি জাতীয়করণ সহ প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে বর্তমান সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এ্যাডঃ শেখ মোঃ নুরুল হক বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছেন বলে প্রতিষ্ঠানের সভাপতি আলহাজ্ব শেখ মনিরুল ইসলাম জানিয়েছেন।






শিক্ষার উদ্দেশ্যই হচ্ছে মানুষের সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করা -প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা
মাগুরায় শিক্ষা উপকরণ পেল ২৭০ শিক্ষার্থী
মাগুরা জেলা পুস্তক সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত
মাগুরায় দুস্থ ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে অনুদানের চেক বিতরণ
মাগুরায় সরকারি বালক বিদ্যালয়ে জামায়াত প্রার্থীর রাজনৈতিক প্রচারণার অভিযোগে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও স্মারকলিপি পেশ
পাইকগাছায় উম্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ -আঞ্চলিক কেন্দ্রের উদ্বোধন
পাইকগাছার কপিলমুনি সহচরী বিদ্যা মন্দিরসহ খুলনার চার কলেজ থেকে পাশ করেনি কেউ
খুলনায় আন্তঃস্কুল বিতর্ক প্রতিযোগিতার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ
মাগুরায় বিনামূল্যে বই পেল ৫০ অস্বচ্ছল শিক্ষার্থী
খুলনায় আন্তঃস্কুল বিতর্ক প্রতিযোগিতা উদ্বোধন 