শিরোনাম:
পাইকগাছা, শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ২৭ বৈশাখ ১৪৩২

SW News24
বুধবার ● ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » কৃষি » পাইকগাছায় মাচায় মাচায় পল্লার হলুদ ফুলের সমারোহ
প্রথম পাতা » কৃষি » পাইকগাছায় মাচায় মাচায় পল্লার হলুদ ফুলের সমারোহ
৮৪২ বার পঠিত
বুধবার ● ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

পাইকগাছায় মাচায় মাচায় পল্লার হলুদ ফুলের সমারোহ

---

প্রকাশ ঘোষ বিধান, পাইকগাছা ॥

মাচায় মাচায় শোভা পাচ্ছে পল্লার হলুদ ফুল। মাচার উপর ফুটে আছে হলুদ ফুল এর নিচে ঝুলছে সবুজ পল্লা। ফুলে ফুলে ভোরে গেছে পল্লা ক্ষেত। শোভা পাচ্ছে মন ভোলানো চোঁখ জোড়ানো হলুদ ফুলের সমারোহ। পাইকগাছায় মাচায় পল্লার চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বাজারে ভাল দাম পাওয়ায় পল্লা বিক্রি করে আর্ধিকভাবে লাভবান হচ্ছে চাষীরা।

পল্লা বা ধুন্দুল সবজি হিসেবে বেশ। এ অঞ্চলে এ সবজিটি পল্লা নামে সমাধিক পরিচিত। আমাদের দেশে দুই ধরণের পল্লা পাওয়া যায়। একটি আমরা যেটা খাই। এর শাঁস তিতা নয়, সুস্বাদু ও নরম। অন্যটি বন্য পল্লা যাকে তিত পল্লা বলা হয়। এর ফল শুকিয়ে স্পঞ্চের মত গায়ে শাবান মাখার খোশা তৈরী করা হয়।

উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানাগেছে, পাইকগাছায় প্রায় ১০ হেক্টর জমিতে পল্লার আবাদ হয়েছে। বাড়ীর আঙ্গিনায়, জমির আইলে ও মাচায় পল্লা চাষ করা হচ্ছে। উচু ও পানি জমেনা এমন জমিতে পল্লার চাষ ভাল হয়। দোআঁশ ও বেলে দোআঁশ জমি ধুন্দুল চাষের জন্য উত্তম। জমি চাষ ও মই দিয়ে আগাছা মুক্ত ও ঝুরঝুরে করে নিতে হয়। এরপর মাদা তৈরী করতে হয়। এক মাদা থেকে অপর মাদা ৮-১০ ফুট দূরত্ব হবে। মাটি থেকে মাদা ২-৩ ফুট উচু করে তৈরী করতে হয়। শতক প্রতি ১০-১২ গ্রাম বীজ আর বিঘা প্রতি ৩৩০-৩৪০ গ্রাম বীজ লাগে। বীজ বপনের আগে ভিজে রাখলে ভাল হয়। বীজ বপনের ৪০-৪৫ দিন পর থেকে ফল সংগ্রহ করা যায়। উন্নত জাতের বীজ, রোগমুক্ত, আধুনিক চাষ পদ্ধতি ও সঠিক নিয়মানুযায়ী চাষ করলে শতক প্রতি ১২০-১৪০ কেজি ফলন পাওয়া যায়। পল্লা শরৎকাল পর্যন্ত সংগ্রহ করা যায়। বোটা কেটে ফল সংগ্রহ করতে হয়। খাওয়ার জন্য কচি ও সবুজ রঙের পল্লা তুলতে হয়। খোঁশা শক্ত হয়ে গেছে সেটি আর খুওয়ার উপযুক্ত থাকে না।

পাইকগাছা উপজেলার সলুয়া মৌজায় মেইন সড়কের পশ্চিম পাশে কৃষক আনন্দ দাশ এক বিঘা জমিতে মাচায় পল্লার আবাদ করেছে। আর রাস্তার পূর্ব পাশে লিয়াকত আলী গাজী দুটি অংশে ১৫ কাটা জমিতে পল্লার আবাদ করেছে। পল্লা চাষী লিয়াকত গাজী জানান, কাটা প্রতি মাচা তৈরীর সরঞ্জম সহ ১ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। প্রতি ১ দিন পর পর পল্লার ফল তুলে বিক্রি করছি। প্রথম দিকে ১ মন ৮শ টাকা দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে ৬শ টাকা দরে মন বিক্রি করছে। বাজারে পল্লার চাহিদা থাকায় কৃষকরা পল্লা বিক্রি করে লাভবান হচ্ছে। তাদের পল্লার চাষ দেখে পাশের কৃষকরা পল্লা চাষে আগ্রহী হচ্ছে। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ এএইচএম জাহাঙ্গীর আলম জানানা, পল্লা একটি লাভ জনক সবজি। মাচায় পল্লার চাষ করলে বৃষ্টির সময় গাছের ক্ষতি হয় না এবং ফলও পাওয়া যায় প্রচুর পরিমাণে। অল্প পরিশ্রমে পল্লা চাষ লাভজনক হওয়ায় কৃষকরা আর্থিকভাবে সাবলম্বি হচ্ছে। আগামী মৌসুমে আরো অধিক জমিতে পল্লা চাষে কৃষকরা আগ্রহী হচ্ছে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেছেন।

 





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)