বৃহস্পতিবার ● ১৬ ডিসেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » সারাদেশ » স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে বিএনপির হট্টগোল
স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে বিএনপির হট্টগোল
এস ডব্লিউ; বিজয় দিবসের সকালে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে নিজেদের হট্টগোলে জড়িয়েছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। এসময় কর্মীদের ধাক্কাধাক্কিতে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে পড়ে যান।
বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে নয়টায় এ ঘটনা ঘটে।
এদিন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ফুলেল শ্রদ্ধা জানাতে স্মৃতিসৌধের বেদির দিকে এগিয়ে আসেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশারফ হোসেন, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, বিএনপি নেতা আমানুল্লাহ আমান, শ্যামা ওবায়েদসহ অনেকে।
বেদির সামনে বাম দিকে ঢাকা জেলা বিএনপি ও ডান দিকে শ্রমিক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা-কর্মীরা আগে থেকে অবস্থান করছিলেন। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষ হলেও বেদি ত্যাগ করছিলেন না তারা।
বেদির সামনেই বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে এবং দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে আসতে স্লোগান দিতে থাকেন তারা।
নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা তাদের সরে যেতে হুইসেল বাজালেও সরতে রাজি হননি বিএনপির কর্মীরা। বরং করতালি দিয়ে আরও জোরে স্লোগান দিতে থাকেন তারা।
মহাসচিব ফখরুলসহ দলের সিনিয়র নেতা-কর্মীরা পেছনে অপেক্ষা করছিলেন। প্রায় আধা ঘণ্টা পর বিএনপির চেয়ারপারসন ফোর্সের (সিএসএফ) সদস্যরা কর্মীদের সরে যেতে বলেন।
এ সময় বিএনপির কর্মীরা নিজেদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু করেন। এতে ফখরুল, রিজভীসহ নেতারা ধাক্কায় পড়ে যান। সিএসএফের এক সদস্যকে কর্মীদের ধাক্কা দিয়ে সরাতে দেখা যায়। আমানুল্লাহ আমানকে দেখা যায় কর্মীদের দিকে উত্তেজিত হয়ে তেড়ে যেতে। সিএসএফের সদস্যদের সহযোগিতায় মহাসচিবসহ সিনিয়র নেতা-কর্মীরা বেদি ত্যাগ করেন।
এদিকে বেদি থেকে অনেকটা দূরে গিয়েও নেতাকর্মীদের ভিড় আর চাপে ঠিকভাবে বক্তব্য দিতে পারেননি মির্জা ফকরুল। আর স্মৃতিসৌধের যে অংশে দাঁড়িয়ে মির্জা ফকরুল বক্তব্য দিচ্ছিলেন, তার আশেপাশের বেশ কয়েকটি ফুলের টব ভেঙে যায়। নেতাকর্মী ও সংবাদকর্মীদের ভিড়ে আহত হন দু’জন সংবাদকর্মীও।
বক্তব্য দিলেও হট্টগোলের মধ্যে টেলিভিশন ও পত্রিকার সাংবাদকর্মীরা বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্য ধারণ করতে পারেননি। একাধিক অনলাইন ও দৈনিক পত্রিকার সাংবাদিকরা মুঠোফোনে বক্তব্য রেকর্ড করলেও নেতাদের আওয়াজ ছাড়া বিএনপির মহাসচিবের বক্তব্য শোনা যায়নি।