শিরোনাম:
পাইকগাছা, সোমবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ অগ্রহায়ন ১৪৩১

SW News24
বুধবার ● ৬ জুলাই ২০২২
প্রথম পাতা » ব্যবসা-বাণিজ্য » পাইকগাছায় জমে উঠেছে কোরবানীর পশুর হাট
প্রথম পাতা » ব্যবসা-বাণিজ্য » পাইকগাছায় জমে উঠেছে কোরবানীর পশুর হাট
৪৬৭ বার পঠিত
বুধবার ● ৬ জুলাই ২০২২
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

পাইকগাছায় জমে উঠেছে কোরবানীর পশুর হাট

প্রকাশ ঘোষ বিধান, পাইকগাছাঃ  পাইকগাছায় কোরবানীর পশুর হাট জমে উঠেছে। ঐতিহ্যবাহী গদাইপুর কোরবানীর পশুর হাট শুরু থেকে জমে উঠছে। উপজেলার চাঁদখালী,গদাইপুর, কাশিমনগর ও রাড়ুলী’র শ্রীকন্ঠপুর ঈদগাহ মাঠে কোরবানীর পশুর হাট বসেছে। তাছাড়া এবছর নতুন করে উপজেলার গড়ুইখালী ইউনিয়ান পরিষদ মাঠে গরুর হাট বসেছে। ঈদের আগের দিন পর্যন্ত প্রতিদিনই হাট বসবে। আগামী শনিবার পর্যন্ত পশুর হাট চলবে।---

পশুর হাটে ছোট-বড়, মাঝারি সাইজের গরু হাটে উঠেছে।এ বছর গরু-ছাগরের দাম বেশী।  তবে দাম নিয়ে খুঁশি না কোন পক্ষই।তবে এবছর ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ে বলছেন দাম বেশি।খামার মালিক ও বিক্রেতারা বলছেন,বর্তমানে গো-খাদের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় তাদেরকে বেশী দামে গরু বিক্রি করতে হচ্ছে।তবে গৃহস্থদের পালা দেশী জাতের গরু ক্রেতা ও ব্যাপারীদের কাছে চাহিদা বেশি।যাহা স্থানীয় হাটগুলোতে টাইট গরু হিসাবে পরিচিত।বড় সাইজের গরুর চাহিদাও রয়েছে বিক্রিও হচ্ছে বেশি দামে।গরু বিক্রেতা জহর আলী জানান,তার গরু ১লাখ ৪৪ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে, তিনি দাম চেয়েছিলেন ১লাখ ৬০ হাজার। গরু লালন পালন করতে খরচ হয়েছে প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা।এতে করে গরুর যে দাম উঠেছে তাতে আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবো।আর বিক্রি না হলে পালতে গেলে আরোও খরচ হবে। এদিকে ক্রেতারা গরুর দাম বেশী বলে সময় নিয়ে দেখে বুঝে গরু কিনছে।

উল্লেখ্য, উপজেলার চাঁদখালী ও কাশিমনগর দুটি স্থায়ী এবং গদাইপুর ও বাকা বাজারে পশুর হাট বসেছে। হাট গুলোতে ছোট ট্রাকে করে ফড়িয়ারা গরু নিয়ে আসছে। এ সব বাজারে ছোট গরু সর্বনিন্ম ৫০ হাজার টাকা ও সর্বোচ্চ ২ লাখ  টাকায় গরু বিক্রি হচ্ছে। বিগত বছর গুলোতে বিদেশী জাতের গরুর চাহিদা বেশি থাকলেও এ বছর দেশীয় জাতের ছোট ও মাঝারি আকারের গরুর চাহিদা বেশি। দেশি জাতের ৫০ হাজার মূল্যের মধ্যে ছোট গরুর চাহিদা বেশি। তাছাড়া ৭০ থেকে ৯০ হাজার টাকা দামের গৃহপালিত গরুর বিক্রি হচ্ছে প্রচুর পরিমাণ। বড় গরু  ১ লাখ ২০ হাজার টাকা থেকে ২ লাখ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ছাগল ১২--- থেকে ৪০ হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। 

 হাট কর্তপক্ষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার  ও সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করার জন্য মাইকিং এর মাধ্যমে বাজারে ক্রেতা ও বিক্রেতাদেরকে মাস্ক পরার জন্য উদ্ভুদ্ধ করছে। প্রশাসনের নির্দেশ পালনে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহন করেছে। গদাইপুর পশুর হাটের ইজারাদার শাহ মো: ওলি  জানান,  ক্রেতাদের সুবিধার্থে পুলিশের পাশাপাশি বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার  করা হয়েছে। তাছাড়া পশুর স্বাস্থ পরিক্ষার জন্য ডাক্তার এর তদারকি রয়েছে। ক্রেতারা সাচ্ছন্দের সহিত হাট থেকে পছন্দের পশুটি ক্রয় করছেন।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)