

সোমবার ● ২ জুন ২০২৫
প্রথম পাতা » ব্যবসা-বাণিজ্য » পাইকগাছায় কোরবানীর পশুর হাট জমে উঠেছে
পাইকগাছায় কোরবানীর পশুর হাট জমে উঠেছে
পাইকগাছায় কোরবানীর পশুর হাট জমে উঠছে। হাটে প্রচুর পরিমাণ কোরবানীর পশুর উঠেছে। কোরবানীর পশুর হাটে ক্রেতার উপছে পড়া ভীড় পড়েছে। উপজেলার গদাইপুর, চাঁদখালী, কাশিমনগর ও রাড়ুলীর শ্রীকন্ঠপুর ঈদগাহ মাঠে কোরবানীর পশুর হাট বসেছে। ঈদের আগের দিন পর্যন্ত প্রতিদিনই হাট বসবে।
উপজেলার ঐতিহ্যবাহী গদাইপুর পশুর হাট জমে উঠছে। প্রচন্ড গরমের মধ্যে ক্রেত-বিক্রেতার ভীড়ে সবাই অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে। পর্যাপ্ত গরু ছাগল উঠলেও ক্রেতা সংকটের কারণে গরুর মালিকদের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে। ক্রেতা সংকটের কারণে খামার মালিক ও বিক্রেতাদের আশা পূরণ হচ্ছে না। এতে করে গরুর যে দাম উঠেছে তাতে আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বিক্রেতারা। আর বিক্রি না হলে পালতে গেলে আরোও খরচ হবে। এদিকে ক্রেতারা সময় নিয়ে দেখে বুঝে গরু কিনছে। বাজারে প্রচুর পরিমাণে গরু-ছাগল উঠলেও আশানারুপ দামে বিক্রি হচ্ছে না এমনটি জানান বিক্রেতারা।
গদাইপুর কোরবানীর পশুর হাটে ছোট-বড়, মাঝারি সাইজের গরু হাটে উঠেছে। এ বছর গরু-ছাগরের দাম বেশী বলছেন ক্রেতারা। তবে দাম নিয়ে খুঁশি না কোন পক্ষই। খামার মালিক ও বিক্রেতারা বলছেন, বর্তমানে গো-খাদের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় তাদেরকে বেশী দামে গরু বিক্রি করতে হচ্ছে। তবে গৃহস্থদের পালা দেশী জাতের গরু ক্রেতা ও ব্যাপারীদের কাছে চাহিদা বেশি। যাহা স্থানীয় হাটগুলোতে টাইট গরু হিসাবে পরিচিত। বড় সাইজের গরুর চাহিদাও রয়েছে বিক্রিও হচ্ছে ভালো দামে।
উপজেলার পশুর হাট গুলোতে ছোট ট্রাকে করে ফড়িয়ারা গরু নিয়ে আসছে। এ সব বাজারে ছোট গরু সর্বনিন্ম ৫৫ হাজার টাকা ও সর্বোচ্চ সাড়ে তিন লাখ টাকায় গরু বিক্রি হচ্ছে। এ বছর দেশীয় জাতের ছোট ও মাঝারি আকারের গরুর চাহিদা বেশি। দেশি জাতের ৬০ হাজার টাকার মধ্যে ছোট গরুর চাহিদা বেশি। তাছাড়া ৭০ থেকে ৯০ হাজার টাকা দামের গৃহপালিত গরুর বিক্রি হচ্ছে প্রচুর পরিমাণ। বড় গরু ১ লাখ ২০ হাজার টাকা থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ছাগল ১৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
ব্যাপারি আব্দুল করিম বলেন, গত কোরবানি হাটে যে ষাঁড় এক লাখ থেকে এক লাখ ১০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে, সেই ষাঁড় ক্রেতারা এবার দাম বলছেন, ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা। এছাড়া ছাগলের দামও গত বছরের তুলনায় অনেক কম বলে দাবি করছেন ব্যাপারী ও গৃস্থরা। তাদের দাবি, মঝারি আকারের ছাগল এবার ১৩ থেকে ১৫ হাজার টাকা দাম বলছেন ক্রেতারা। অথচ এইসব ছাগল গত বছর বিক্রি হয়েছে ১৭ থেকে ১৮ হাজার টাকা। তবে, ঈদের আগের হাটগুলোতে দাম বাড়বে বলে প্রত্যাশা তাদের।
উপজেলার পশুর হাট কর্তপক্ষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার ও সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী মাইকিং করে বাজারে ক্রেতা ও বিক্রেতাদেরকে উদ্ভুদ্ধ করছে। গদাইপুর পশুর হাটের ইজারাদার মোঃ জবেদ আলী জানান, ক্রেতাদের সুবিধার্থে পুলিশের পাশাপাশি বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। তাছাড়া পশুর স্বাস্থ পরিক্ষার জন্য ডাক্তার এর তদারকি রয়েছে। ক্রেতারা সাচ্ছন্দের সহিত হাট থেকে পছন্দের পশুটি ক্রয় করতে পারছেন।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ পার্থ প্রতিম রায় বলেন, পাইকগাছায় খামারসহ গৃস্থালি বাড়িতে যেসব গরু লালন-পালন করা হয়েছে, তা স্বাভাবিক খাবারের মাধ্যমে বড় করা হয়েছে। তারপরও গরু মোটাতাজাকরণে ক্ষতিকর কিছু ব্যবহার করা হয়েছে কিনা, সে জন্য স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাটগুলোতে ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম রয়েছে। এখানকার গরুর মান অনেক ভালো।