শিরোনাম:
পাইকগাছা, রবিবার, ৫ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

SW News24
রবিবার ● ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
প্রথম পাতা » আঞ্চলিক » আশাশুনিতে ভাষা সৈনিক আনোয়ার হোসেনকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে মানববন্ধন
প্রথম পাতা » আঞ্চলিক » আশাশুনিতে ভাষা সৈনিক আনোয়ার হোসেনকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে মানববন্ধন
১৭৪ বার পঠিত
রবিবার ● ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

আশাশুনিতে ভাষা সৈনিক আনোয়ার হোসেনকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে মানববন্ধন

---আশাশুনি ব্যুরো: আশাশুনির কৃতি সন্তান ভাষা শহীদ আনোয়ার হোসেনকে দেশের প্রথম ভাষা সৈনিকের স্বীকৃতি এবং রাষ্ট্রীয় মর্যাদার দাবিতে আশাশুনির বুধহাটায় মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। রোববার বেলা ১১টায় উপজেলার বুধহাটা বাজারের আশাশুনি-সাতক্ষীরা মেইন সড়কে মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। সাতক্ষীরা জেলা আনোয়ার হোসেন স্মৃতি সংরক্ষণ কমিটির আয়োজনে কমিটির আহবায়ক ও আশাশুনি প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি সচ্চিদানন্দদে সদয়ের সভাপতিত্বে ও আশাশুনি প্রেসক্লাবের সাহিত্য ও প্রচার সম্পাদক হাসান ইকবাল মামুনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনের বক্তব্য রাখেন, দৈনিক দক্ষিণের মশাল সম্পাদক অধ্যক্ষ আশিক এলাহী, দৈনিক প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যাণ ব্যানার্জি, আশাশুনি প্রেসক্লাব সভাপতি এস, এম আহসান হাবীব, ইউপি চেয়ারম্যান সহকারী অধ্যপক মাহবুবুল হক ডাবলু, ওমর সাকি পলাশ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল গফুর, আব্দুল গফফার, আশাশুনি প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সমীর রায়, প্রকাশনা ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক প্রভাষক শেখ আশিকুর রহমান, সিনিয়র সাংবাদিক রঘুনাথ খাঁ, অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম, গ্রাম ডাক্তার সমিতির সভাপতি রফিক আহমেদ, ডাঃ আব্দুস ছাত্তার, এস কে রাজা, সহিদুল ইসলাম, হাসেম আলী, ইয়াছিন আরাফাত ডেনিস, বিদুৎ চক্রবর্তী প্রমূখ।

সদস্য সচিব ও প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক এসকে হাসানের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, শহীদ ভাষা সৈনিক আনোয়ার হোসেন ১৯৩০ সালে নানার বাড়ি সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বুধহাটায় লেখাপড়া শেষে খুলনা জেলা স্কুল থেকে ১৯৪৬ সালে এসএসসি পাস করেন। খুলনার বিএল কলেজে লেখাপড়াকালীন ভাষা আন্দোলনে যোগদেন। ভাষা আন্দোলনের একপর্যায়ে ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ খুলনার তৎকালিন গান্ধী পার্কে (বর্তমানে হাদিস পার্ক) তিনি নিজেই ভাষা আন্দোলনের পক্ষে ইস্তেহার পাঠ করার পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। কয়েকদিন পর তিনি মুক্তি পান। পরে ভাষা আন্দোলনের মিছিল থেকে ১৯৪৯ সালে পুলিশ তাকে আবারও গ্রেপ্তার করে প্রথমে কোতয়ালী থানায় আটক করে রাখে। একদিন পরে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় রাজশাহী কারাগারে। ১৯৫০ সালে ২৪ এপ্রিল রাজশাহী জেলখানার খাপড়া ওয়ার্ডে আনোয়ার হোসেনসহ ভাষা সৈনিক সাতজন কারাবন্দিকে গুলি করে হত্যা করা হয়। অথচ আজও পর্যন্ত রাষ্ট্রীয়ভাবে তার কোন স্বীকৃতি প্রদান করা হয়নি। মানববন্ধকারীরা তাকে ভাষার মাসেই তাকে দেশের প্রথম ভাষা সৈনিক হিসেবে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি প্রদানের জোর দাবী জানান। মানববন্ধন শেষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মু. ইয়ানুর রহমানের মাধ্যমে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।





আর্কাইভ