শিরোনাম:
পাইকগাছা, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫, ১৪ আষাঢ় ১৪৩২

SW News24
সোমবার ● ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪
প্রথম পাতা » আঞ্চলিক » খুলনায় যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদযাপিত
প্রথম পাতা » আঞ্চলিক » খুলনায় যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদযাপিত
১০২ বার পঠিত
সোমবার ● ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

খুলনায় যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদযাপিত

 

---

খুলনায় যথাযোগ্য মর্যাদায় ১৬ ডিসেম্বর সোমবার মহান বিজয় দিবস-২০২৪ উদযাপিত হয়। এ উপলক্ষে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে গল্ল¬ামারী শহিদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। প্রত্যুষে খুলনার বয়রাস্থ মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইনে ৩১বার তোপধ্বনির মধ্যদিয়ে দিবসের শুভ সূচনা করা হয়। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি ভবন ও প্রতিষ্ঠানসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং শহরের প্রধান প্রধান সড়ক ও সড়ক দ্বীপসমূহ জাতীয় পতাকা দ্বারা সজ্জিত করা হয়।

গল্ল¬ামারী শহিদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ জেলা ও মহানগর ইউনিট, বিভাগীয় কমিশনার মোঃ ফিরোজ সরকার, কেসিসির প্রশাসক, রেঞ্জ ডিআইজি মোঃ রেজাউল হক, পুলিশ কমিশনার মোঃ জুলফিকার আলী হায়দার, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, সরকারি-বেসরকারি দপ্তর, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দসহ সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা।

সকাল সাড়ে আটটায় খুলনা জেলা স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মোঃ ফিরোজ সরকার। এসময় রেঞ্জ ডিআইজি মোঃ রেজাউল হক, পুলিশ কমিশনার মোঃ জুলফিকার আলী হায়দার, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, পুলিশ সুপার টিএম মোশাররফ হোসেনসহ বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ উপস্থিত ছিলেন। পরে সেখানে দিনব্যাপী বিজয়মেলা উদ্বোধন ও আলোচনাসভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়। খুলনা সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে নগর ভবনে শিশুদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।

বেলা সাড়ে ১১টায় খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সম্মানে সংবর্ধনা দেয়া হয়। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার মোঃ ফিরোজ সরকার। খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন রেঞ্জ ডিআইজি মোঃ রেজাউল হক, পুলিশ কমিশনার মোঃ জুলফিকার আলী হায়দার, পুলিশ সুপার টিএম মোশাররফ হোসেন, সিভিল সার্জন ডাঃ শেখ সফিকুল ইসলাম, যুদ্ধকালীন কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা স ম বাবর আলী, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ জেলা ইউনিট এর আহ্বায়ক মোঃ আবু জাফর , মহানগর ইউনিটের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান ও জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে শহিদ সাকিব রায়হানের মা বেগম নুর নাহার। এ সময় বীর মুক্তিযোদ্ধা, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

হাসপাতাল, জেলখানা, এতিমখানা, শিশুসদনসমূহে দিবসটি উপলক্ষে বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হয়। দেশের শান্তি ও অগ্রগতি কামনা করে বাদজোহর নগরীর মসজিদসমূহে বিশেষ মোনাজাত এবং মন্দির, গীর্জা, প্যাগোডা ও অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়। নৌ-বাহিনীর জাহাজ জনসাধারণের দর্শনের জন্য বিআইডব্লিউটিএ রকেট ঘাটে বেলা দুইটা হতে সূর্যাস্ত পর্যন্ত উম্মুক্ত রাখা হয়। রেল স্টেশন, বিআইডব্লিউটিএ ঘাট ও লঞ্চ ঘাটে রেল, স্টিমার, লঞ্চ ও জাহাজ সজ্জিত করা হয়।

জেলা ও উপজেলা সদরে স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের অংশ গ্রহণে ক্রীড়া অনুষ্ঠান, টি-২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট, নৌকা বাইচ, ফুটবল ও হাডুডু খেলার আয়োজন করা হয়। শহিদ হাদিস পার্ক, শিববাড়ি মোড়, দৌলতপুর শহিদ মিনারসহ উন্মুক্ত স্থানে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের জন্য বিনা টিকিটে সিনেমা হলসমূহে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় কর্তৃক সরবরাহকৃত মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হয়। শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত, মুক্তিযোদ্ধা ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের সুস্বাস্থ্য এবং জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে বাদযোহর মসজিদে বিশেষ মোনাজাত এবং মন্দির, গীর্জা, প্যাগোডা ও অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গিলাতলা শিশুপার্ক, খুলনা রিভারভিউ পার্ক, বয়রা শিশুপার্ক, লিনিয়ার শিশুপার্ক ও খালিশপুর ওয়ান্ডারল্যান্ড শিশুপার্কসহ সকল পার্ক বিনাটিকেটে শিশুদের জন্য উম্মুক্ত রাখা এবং পর্যটন কেন্দ্রে বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। খুলনা বিভাগীয় জাদুঘর ও ফুলতলার দক্ষিণডিহি রবীন্দ্র স্মৃতি জাদুঘর সকাল থেকে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত জনসাধারণের জন্য উম্মুক্ত রাখা হয়।

নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় স্থানীয় সংবাদপত্রসমূহ বিশেষ নিবন্ধ, সাহিত্য-সাময়িকী ও ক্রোড়পত্র প্রকাশ করে এবং বাংলাদেশ বেতারের খুলনা কেন্দ্র মুক্তিযুদ্ধের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসভিত্তিক অনুষ্ঠানমালা প্রচার করে। এছাড়াও দিবসটি পালন উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পৃথক পৃথক কর্মসূচির আয়োজন করে।





আঞ্চলিক এর আরও খবর

পাইকগাছায় লটারির মাধ্যমে ভিডাব্লিউবি কার্ড নির্ধারণ পাইকগাছায় লটারির মাধ্যমে ভিডাব্লিউবি কার্ড নির্ধারণ
পাইকগাছায় আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত পাইকগাছায় আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত
শ্যামনগরে উপকূলীয় নারীদের নিয়ে নেতৃত্ব উন্নয়ন ও সাংগঠনিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রশিক্ষণ শ্যামনগরে উপকূলীয় নারীদের নিয়ে নেতৃত্ব উন্নয়ন ও সাংগঠনিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রশিক্ষণ
নড়াইলে গ্রাম আদালতে সমন্বিত পরিকল্পনা প্রণয়ন বিষয়ক কর্মশালা নড়াইলে গ্রাম আদালতে সমন্বিত পরিকল্পনা প্রণয়ন বিষয়ক কর্মশালা
পাইকগাছায় শিশু কল্যাণে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ এর যৌথ পরিকল্পনা কর্মশালা পাইকগাছায় শিশু কল্যাণে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ এর যৌথ পরিকল্পনা কর্মশালা
আশাশুনির বুধহাটায় বিট পুলিশিং সভা অনুষ্ঠিত আশাশুনির বুধহাটায় বিট পুলিশিং সভা অনুষ্ঠিত
অতিবৃষ্টিতে বিচ্ছিন্ন লোহাগড়া-নহাটা-মাগুরা সড়কে সাড়ে ৪ ঘন্টা পর যানবাহন চলাচল শুরু অতিবৃষ্টিতে বিচ্ছিন্ন লোহাগড়া-নহাটা-মাগুরা সড়কে সাড়ে ৪ ঘন্টা পর যানবাহন চলাচল শুরু
আশাশুনিতে এক্সেস প্রকল্পের অবহিতকরণ সভা আশাশুনিতে এক্সেস প্রকল্পের অবহিতকরণ সভা
পাইকগাছায় দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস কার্যক্রম প্রকল্প অহিতকরণ সভা পাইকগাছায় দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস কার্যক্রম প্রকল্প অহিতকরণ সভা
শ্যামনগরে স্থানীয় সম্পদ ভিত্তিক উন্নয়ন (এবিসিডি) প্রশিক্ষণ শ্যামনগরে স্থানীয় সম্পদ ভিত্তিক উন্নয়ন (এবিসিডি) প্রশিক্ষণ

আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)