শিরোনাম:
পাইকগাছা, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫, ১৩ আষাঢ় ১৪৩২

SW News24
বৃহস্পতিবার ● ১২ জুন ২০২৫
প্রথম পাতা » স্বাস্থ্যকথা » পাইকগাছায় ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ট জনজীবন
প্রথম পাতা » স্বাস্থ্যকথা » পাইকগাছায় ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ট জনজীবন
১২৭ বার পঠিত
বৃহস্পতিবার ● ১২ জুন ২০২৫
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

পাইকগাছায় ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ট জনজীবন

---   প্রকাশ ঘোষ বিধান, পাইকগাছা:   প্রচন্ড তাপদাহ আর ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। বিশেষ কাজ ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না মানুষ। অনেকে তালের শাস খেয়ে তৃষ্ণা নিবারন করছেন। দুপুর বারোটার পর থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত ফাঁকা হয়ে পড়ছে রাস্তা ও বাজার এলাকা।

তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় টানা তিনদিন পড়ছে প্রচন্ড গরম। মাঠে কাজ করা শ্রমজীবী মানুষেরা তাপদাহে হাপিয়ে উঠছে। ঘরের ফ্যানের বাতাসও যেন গরম হয়ে উঠছে। তারপরও রয়েছে মাঝে মধ্যে বিদ্যুৎ বিভ্রাট। বেলা বাড়ার সাথেই বাড়ছে তাপপ্রবাহ। দুপুরের দিকে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রী ছুই ছুই অবস্থা। শ্রমজীবী ও স্থানীয়রা বলেন, গরমে কোনো কাজ করতে পারছেন না তারা। শহর এলাকায় গরমে নাভিশ্বাস বাড়ছে মানুষের। লবনাক্ত উপকূল এলাকা পাইকগাছায় ৪১-৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা অনুভূত হচ্ছে।

সারা দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ। পাশাপাশি বেড়েছে বাতাসে আর্দ্রতা। সব মিলিয়ে ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। জ্যৈষ্ঠের শেষে আরো তেতে উঠছে সূর্য। কয়েক দিন ধরে দেশের বড় অংশজুড়ে প্রচষ্ড গরম পড়েছে। দিনে আগুনে রোদ ও গরমে খাঁ খাঁ করে চারদিক। রাতেও তাপমাত্রা কমে না। আর সেই সাথে লোডশের্ড়িং ও তীব্র গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। গরমের কারণে বাড়ছে হিট স্ট্রোকের মতো স্বাস্থ্যঝুঁকি। ডায়রিয়ায়ও আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে।

পাইকগাছার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, তীব্র তাপদাহ ও ভ্যাপস গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জন জীবন। গত কয়েকদিন ধরে সূর্যের প্রখর তাপদাহ ও তীব্র গরমে নাজেহাল অবস্থা প্রতিটি শ্রেণি-পেশার মানুষের। বিশেষ করে শ্রমজীবী ও কর্মজীবীদের জীবন যেন বেরিয়ে যাওয়ার উপক্রম। তারপরও জীবন-জীবিকার তাগিদে ঘাম ঝরিয়ে ছুটতে হচ্ছে তাদের। পাইকগাছার খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষের পাশাপাশি প্রাণিকুলও গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে।

এ উপজেলায় প্রচন্ড তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় মানুষে জনজীবন অনেকটা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। একদিকে রোধের প্রখর তাপ অন্যদিকে বিদ্যুতের ঘন ঘন তেলেশমাতি মানুষের জনজীবনে দুর্ভোগের নতুন মাত্রা সৃষ্টি হয়েছে। প্রচন্ড রোদের গরমে সাধারণ হতদরিদ্র মানুষরা জীবিকা নির্বাহের জন্য রাস্তায় বের হতে পারেনা। দুপুর হলে রাস্তাঘাটে লোকজনের সংখ্যা একেবারে কমে যায়। তীব্র গরমের কারণে দিনমজুর শ্রমিকরাও সহজে কাজে যেতে চায়না। পৌর শহরের ফজলু মিয়া বলেন, এই তীব্র গরমে মাঠে কাজ করতে ইচ্ছে হচ্ছে না। মনে হচ্ছে শরীরে আগুনের তাপ লাগছে। গোপালপুর গ্রামের ভ্যান চালক নুর ইসলাম বলেন, বেশি তাপের কারণে  দুই-তিন ঘন্টার বেশি ভ্যান চালাতে পারছি না। রাস্তা থেকে গরম তাপ এসে যেন মুখে লাগছে। তাপ ও রৌদ্রের কারণে রাস্তায় বেশিক্ষণ থাকতে পারি না।

প্রচন্ড গরমের কারণে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সে রোগীদের সংখ্যাও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ মাহাবুবর রহমান বলেন, গরমে শিশুদের ডায়রিয়া, টাইফয়েড, শরীরে ঘাম বসে নিউমোনিয়া, ঠান্ডা, সর্দি, কাশি, জ্বর ও প্রস্রাবে সংক্রমণ দেখা দিচ্ছে। বিনা কারণে শিশুকে ঘরের বাইরে বের না হতে বলা হচ্ছে অভিভাবকদের। সেই সঙ্গে বিশুদ্ধ পানি ও টাটকা খাবার খাওয়াতে হবে ও ফ্যানের নিচে বাতাসে রাখতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)