শিরোনাম:
পাইকগাছা, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২

SW News24
বুধবার ● ১৬ জুলাই ২০২৫
প্রথম পাতা » অপরাধ » পাইকগাছায় যৌথ বাহিনী কতৃক অস্ত্র ও ককটেল উদ্ধারের ঘটনায় মূল ষড়যন্ত্রকারীদের আটকের দাবিতে বিভিন্ন দপ্তরে এলাকাবাসীর অভিযোগ
প্রথম পাতা » অপরাধ » পাইকগাছায় যৌথ বাহিনী কতৃক অস্ত্র ও ককটেল উদ্ধারের ঘটনায় মূল ষড়যন্ত্রকারীদের আটকের দাবিতে বিভিন্ন দপ্তরে এলাকাবাসীর অভিযোগ
৪৮ বার পঠিত
বুধবার ● ১৬ জুলাই ২০২৫
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

পাইকগাছায় যৌথ বাহিনী কতৃক অস্ত্র ও ককটেল উদ্ধারের ঘটনায় মূল ষড়যন্ত্রকারীদের আটকের দাবিতে বিভিন্ন দপ্তরে এলাকাবাসীর অভিযোগ

 

--- পাইকগাছার মঠবাটী গ্রামে দেশীয় তৈরি পাইপগান, ককটেল উদ্ধার ঘটনায় ষড়যন্ত্রের স্বীকার রসময় বিশ্বাসসহ ৩ জনের মুক্তি দাবি ও মূল ষড়যন্ত্রকারীদের আইনের আওতায় আনার দাবিতে ভুক্তভোগী পরিবার এবং এলাকাবাসী পাইকগাছা থানা ও সেনাবাহিনী ক্যাম্পেসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছে।

অভিযোগ, ভূক্তভুগী পরিবার ও এলাকাবাসী সুত্রে  জানা যায়, ১৬ জুলাই সত্য ঘটনা উৎঘটন,মূল ষড়যন্ত্রকারীদের আইনের আওতায় আনা ও নীরহ ব্যক্তিদের মুক্তির দাবিতে এলাবাসী বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছে। পাইকগাছা উপজেলার মঠবাটী গ্রামের মৃত অমূল্য বিশ্বাসের ছেলে রসময় বিশ্বাসের সাথে প্রতিবেশী অধির বিশ্বাসের ছেলে দিলীপ বিশ্বাসের সাথে উপজেলার হাড়িয়া মৌজায় ২২ বিঘা জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। দিলীপ বিশ্বাস ও তার পরিবার বিগত ১৬ বছর জোর করে ঐ জমি থেকে রসময় বিশ্বাসকে বিতাড়িত করে। দেশের পট পরিবর্তনের হলে এলাকাবাসীর সহায়তায় রসময় বিশ্বাস তার জমি উদ্ধার করে মৎস্য চাষ করছে। মাছ ধরা শুরু হলে দিলীপ বিশ্বাস উক্ত জমি ৩ বার দখল চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়।

৮ জুলাই গোপন সংবাদে পাইকগাছা সেনাবাহিনী ক্যাম্প ও থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে রসময় বিশ্বাস, দেবব্রত বিশ্বাস ও প্রিতম বিশ্বাসকে অস্ত্র, ককটেল ও মাদকদ্রব্যসহ আটক করে। নির্মল বিশ্বাসের ছেলে বাইসাইকেল মেকানিক দেবব্রত বিশ্বাসের কাঠের ঘর থেকে দেশীয় তৈরি পাইপগান ও ককটেল সেনাবাহিনী ও পুলিশ দিয়ে উদ্ধার করে। অভিযানের সময় দেবব্রত বিশ্বাসকে আটক করে মারপিট করতে থাকে,পরে সেনাবাহিনী জানতে পারে এটা রসময় বিশ্বাসের ঘর না, রসময় তার বিল্ডিং বাড়ীতে ঘুমিয়ে আছে। এরপর রসময় ও তার ছেলে মটরসাইকেল চালক প্রিতম বিশ্বাসকে আটক করে সেনা ক্যাম্পে নিয়ে তাদেরকে পুলিশে দেয়। পুলিশ বাদি হয়ে অস্ত্র আইনে ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে পৃথক ২ টি মামলা করেছে। এ সব বিষয়ে ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসীর দাবী ষড়যন্ত্রকারী নিরীহ ব্যক্তিদের ফাঁসিয়েছে, তাদের মুক্তি দিয়ে এর মূল ষড়যন্ত্রকারিদের তদন্তপূর্বক অটক করা হোক।  

১৫ জুলাই মঙ্গলবার সকালে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আসলাম হোসেন তদন্তে গেলে এলাকাবাসী তদন্ত কর্মকর্তার সামনে বিনয়ের সহিত জানান, রসময় বিশ্বাস কৃষক, প্রিতম  ভাড়া মটরসাইকেল চালক ও দেবব্রত বোয়ালিয়া মোড়ে বাইসাইকেল মেরামত করে জীবিকা নির্বাহ করে। তারা এ ধরনের লোক না, তারা পার্শ্ববর্তী দিলীপের ষড়যন্ত্রের স্বীকার, তাদেরকে অব্যহতি পূর্বক ষড়যন্ত্রকারীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান এলাকাবাসী। এ বিষয় ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসী প্রসাশনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)