শিরোনাম:
পাইকগাছা, বুধবার, ২০ আগস্ট ২০২৫, ৫ ভাদ্র ১৪৩২

SW News24
বুধবার ● ২০ আগস্ট ২০২৫
প্রথম পাতা » পরিবেশ » বরিশালের সাতলার লাল শাপলা দেখতে দর্শনার্থীদের ভিড়
প্রথম পাতা » পরিবেশ » বরিশালের সাতলার লাল শাপলা দেখতে দর্শনার্থীদের ভিড়
২২ বার পঠিত
বুধবার ● ২০ আগস্ট ২০২৫
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

বরিশালের সাতলার লাল শাপলা দেখতে দর্শনার্থীদের ভিড়

 ---বরিশালের উজিরপুর উপজেলার সাতলার বিলে লাল শাপলা দেখতে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়। শাপলা দেখে বেজায় খুশি আগত দর্শনার্থীরা। সাতলার লাল শাপলার স্বর্গরাজ্য হিসেবে পরিচিত। এলাকাটিকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা হওয়াতে,দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে প্রতিদিন আসছে শত শত  দর্শনার্থী। এখানে বিশ্রামাগারসহ পর্যটক সুবিধা থাকায় প্রতিদিন বাড়ছে পর্যটক সংখ্যা।

সাতলায় পর্যটন কেন্দ্র তৈরী হওয়তে স্থানীয়দে সাথে কথা বলে জানা যায়, এক সময় অবহেলিত অঞ্চল হিসেবে পরিচিত এই সাতলা অঞ্চলটি এখন বিশ্বের কাছে পরিচিতি পেয়েছে এই লাল শাপলার কারনে। এবিষয় মুরিবাড়ির ব্যাবসায়ী মোঃ এমদাদ বিশ্বাস বলেন, প্রতি বছর নতুন পানি আসার সাথ সাথে, শাপলার গাছ তৈরি হয় এবং জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময়ে শাপলার গাছে ফুল ফুটতে শুরু করে এবং আক্টবরের শেষ পর্যন্ত বিলে শাপলার ফুল থাকে। এই সাড়ে তিন মাসে সাতলার আরো কয়েকটি বিলে দেখা মিলে লাল শাপলার। এসব বিলগুলোতে দর্শনার্থীদের ভিড় বাড়ছে। সাতলার মুড়িবাড়ি মোড় এলাকায় মৎস্য ও কৃষি সম্পদ আহরন এবং পর্যটন বিকাশে, বরিশাল জেলাপ্রশাস ও উজিরপুর উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক সহায়তায় এবং উজিরপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আলী সুজার আন্তরিক প্রচেষ্টায় সুদৃশ্য একটি ঘাটলা নির্মাণসহ পর্যটক ছাউনি ও একটি বিশ্রামাগার নির্মাণ করা হয়। বরিশাল জেলার সাবেক জেলা প্রশাসক এস এম অজিয়ার রহমান সাতলার লাল শাপলার বিল পরিদর্শনে এসে ঐতিহ্যবাহী লাল শাপলার সৌন্দর্য দেখে তিনি মুগ্ধহন এবং সাতলার মুরিবাড়ি বিলসহ লাল শাপলার এলাকাটিকে তিনি পর্যটন কেন্দ্র তৈরির ঘোষণা দেন। এসময় ঐতিহ্যবাহী লাল শাপলার সৌন্দর্য দেখে তিনি মুগ্ধহন এবং সাতলার মুরিবাড়ি বিল সহ লাল শাপলার এলাকাটিকে তিনি পর্যটন কেন্দ্র তৈরির ঘোষণা দেন। পরবর্তীতে তার অক্লান্ত পরিশ্রমে লাল শাপলার এলাকাটি পর্যটন এলাকা হিসেবে অনুমোদন পায় এবং এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এর ধারাবাহিকতায় ওখানে সুদৃশ্য একটি ভবন নির্মিত হয়। একই সাথে দর্শনার্থীদের নৌকায় উঠানামার সুবিধার্থে একটি বিশ্রামাগার ও নির্মান করা হয়।---

সাতলার মুড়িবাড়িতে এখন প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত প্রচুর পর্যটকদের ভিড় দেখা যায়। ছুটির দিন গুলোতে প্রায় ৮শত থেকে এক হাজার লোকের সমাগম ঘটে। এখানে ভোর ৫টা থেকে সন্ধা পর্যন্ত মোট ২৪টি নৌকার মাঝিগন নিদিষ্ট অর্থের বিনিময়ে ঘন্টা ব্যাপী দর্শনার্থীদের বিলে ঘুরিয়ে নিয়ে আসেন। এরা হলেন মোঃ ইমদাদুল হক বিঃ, মোঃ নজরুল ইসলাম মিয়া মোঃ  ফায়জুল হাং সহ মোট ২৫ জনের একটি কমিটি গঠন কারা হয়েছে। অন্যদিকে সাতলার পটি বাড়ি, কালবিলা,উত্তর সাতলা বাগধা, আলামদি, পচ্চিম সাতলাসহ কয়েকটি বিলে রয়েছে লাল শাপলা। আর এসব বিলগুলোতে শাপলা দেখতে আসা দর্শনার্থীদের ভ্রমণের জন্য রঙ্গিন ব্যানার ফেস্টুন  নৌকা ও ঘাট সাজিয়ে অপেক্ষা করতে দেখা যায়। ঐসব ঘাটগুলোতে প্রচুর দর্শনার্থী দেখা যায়। বছরের জুলাই মাস থেকে অক্টোবরের শেষ পর্যন্ত এই তিন থেক সাড়ে তিন মাস পর্যন্ত  গাড়ো লাল রং-এর শাপলায় সাজিয়েছে সাতলার বিল গুলো।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)