

সোমবার ● ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
প্রথম পাতা » সংস্কৃতি ও বিনোদন » পাইকগাছায় সোনা রঙের প্রতিমা নজর কাড়ছে দর্শনাথীদের
পাইকগাছায় সোনা রঙের প্রতিমা নজর কাড়ছে দর্শনাথীদের
উপকূলীয় জনপদ পাইকগাছার কপিলমুনিতে এবারের দুর্গাপুজায় সর্বপ্রথম সোনালি রঙে তৈরী প্রতিমা নজর কাড়ছে দর্শনাথীদের। এ ব্যাতিক্রমী আয়োজন করেছেন, পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনি পূর্বপাড়া হরিসভা পুজা মন্দির কমিটি। নোয়াকাটী গ্রামের ভাস্কর নিমাই বিশ্বাসের সুনিপুণ হাতে তৈরী দুর্গা, স্বরসতী, গণেশ, কার্তিকসহ নান প্রতিমার বর্নাঢ্য সাজে সেজেছে মন্দির প্রাঙ্গণ।
দুর্গাপুজা ২৮ সেপ্টেম্বর মহাষষ্ঠী থেকে শুরু হয়ে ২ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিজয় দশমীতে শেষ হবে। পাইকগাছা উপজেলার এবছর ১৪৪ টি মন্দির বা মণ্ডবে দুর্গাপুজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পূর্বপাড়া হরিসভা পুজা মন্দির কমিটির কোষাধক্ষ্য জগদীশ ভৌমিক বলেন, পূর্বের তুলনায় এবারের আয়োজনে কিছুটা ভিন্নতা রয়েছে। প্রতিমার পাশাপাশি দৃষ্টিনন্দন প্যান্ডেল, গেট ও লাইটিং নজর কাড়বে সকলের। এ ব্যাপারে কপিলমুনি পূর্বপাড়া হরিসভা পুজা মন্দির কমিটির সভাপতি সুদাম পাল ও সাধারণ সম্পাদক কৃষেন্দু দত্ত বলেন, দেবী দুর্গার আগমন উপলক্ষে আমাদের মন্দির সেজেছে বর্নাঢ্য সাজে। সরকারের জারিকৃত নীতিমালা মেনে দুর্গা উৎসবকে আড়ম্বরপূর্ণ করতে কাজ করছে মন্দির কমিটি। পুজা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যেন কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সে দিকে সজাগ দৃষ্টি রেখে সরকার ও উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় দুর্গা উৎসবের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
ঐতিহ্য ও ধর্ম শাস্ত্র মতে, হিন্দুধর্মে সোনা জ্ঞান, শিক্ষা, এবং ধার্মিকতার প্রতীক, এবং এটি প্রায়শই দেবদেবীদের মুকুটে ব্যবহৃত হয়। দুর্গার মহিমাসজ্জিত রূপ অপরিহার্য। দেবী দুর্গার রঙ এর সাথে অসুরের রঙ এক হবে না। তবে এখন ধর্মীয় শাস্ত্র মত না মেনে নানা বর্ণের প্রতিমা তৈরি করছেন।
সময়ের পরিক্রমায় এখন অনেকেই নিজের মতো করে দেবীকে সাজিয়ে তোলেন। আধুনিক অনাধুনিক বেশভূষা ও সরঞ্জামাদির দেখাও মিলে দেবীর হাতে। এতে দেবীকে তাদের মতো করে পাওয়ার বাসনা হয়তো তৈরি হয় কিন্তু স্বাত্তিকরূপে দেবী সন্তুষ্ট হয় কি না তা প্রশ্ন থেকে যায়। তবে শাস্ত্র পাঠ বোঝা যায়, দেবী অপার মহিমা সম্পন্না, মাতৃগুণ সম্পন্ন দেবী দুর্গা ভক্তদের এমন পাগলামিকে সহজভাবেই দেখেন।