শিরোনাম:
পাইকগাছা, শনিবার, ৪ অক্টোবর ২০২৫, ১৯ আশ্বিন ১৪৩২

SW News24
শনিবার ● ৪ অক্টোবর ২০২৫
প্রথম পাতা » প্রকৃতি » পৌষ্পিক সৌন্দর্য দাদমর্দন ঔষধি গুণে ভরা
প্রথম পাতা » প্রকৃতি » পৌষ্পিক সৌন্দর্য দাদমর্দন ঔষধি গুণে ভরা
৬ বার পঠিত
শনিবার ● ৪ অক্টোবর ২০২৫
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

পৌষ্পিক সৌন্দর্য দাদমর্দন ঔষধি গুণে ভরা

---দাদমর্দন গাছের হলুদ বর্ণের ফুলগুলো যেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আধার। উজ্জ্বল সবুজ পাতার ঘন ঝোপের মাথায় হলদে রঙের লাঠির মতো ফুলের বিজয়ধ্বজা দুলছে। খাড়া হয়ে যেন ফুলগুলো আকাশ ছুঁতে চাইছে। এই গাছটার নাম দাদমর্দন।

দাদমর্দনের ইংরেজি নাম ক্যান্ডেল বুশ। মোমবাতির মতো লম্বা ফুলের মঞ্জরি, মাঝখানে একটা সরু ডাঁটিকে ঘিরে উজ্জ্বল হলুদ রঙের অনেক ফুল ফোটে গাদাগাদি করে। প্রায় ১৫ থেকে ২৫ সেন্টিমিটার লম্বা পুষ্পমঞ্জরিগুলো থাকে একেবারে গাছের চূড়ায়। অনেক পুষ্পমঞ্জরি একটা গাছের মাথায় থাকে, আকাশের দিকে খাড়া মুখ করে।

সারা দেশে মূলত ঔষধি গাছ হিসেবেই এরা পরিচিত। দাদমর্দন মূলত ঔষধি গাছ হিসেবেই পরিচিত এটি। বিশেষ করে চর্মরোগে এ গাছ ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হয়। তবে দাদ ও পাঁচড়ায় সবচেয়ে বেশি ব্যবহার্য। দাদের বাহ্যিক নিরাময়ের জন্য টাটকা পাতা বেটে ব্যবহার করা হয়। আবার ঝলসানো পাতাও রেচক। এসব ছাড়াও যৌনরোগ চিকিৎসায় এবং বিষাক্ত পোকামাকড়ের কামড়ে দাদমর্দন সাধারণত টনিক হিসেবে কাজে লাগে।

দাদমর্দন দ্রুত বর্ধনশীল নরম-কাষ্ঠল গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ। সাধারণত এক থেকে দুই মিটার পর্যন্ত উঁচু হতে পারে। কাণ্ড পুরু ও হলদেটে। এর ফুল ফোটার মৌসুম সেপ্টেম্বর থেকে জানুয়ারি। ডালের আগায় ১৫ থেকে ২০ সেন্টিমিটার খাড়া ডাঁটায় হলুদ রঙের ফুল নিচ থেকে ওপরের দিকে ফোটে।

পথের ধারে, পরিত্যক্ত জমিতে, খেতের মধ্যবর্তী, ডোবার ধারে এবং অনাবাদি স্থানে আপনা থেকেই দাদমর্দন গাছ জন্মায়। এটি মূলত গুল্মজাতীয় উদ্ভিদ। দ্রুত বর্ধনশীল। সাধারণত এক থেকে দুই মিটার পর্যন্ত উঁচু হয়। ফুল ফোটার মৌসুম সেপ্টেম্বর থেকে জানুয়ারি। ডালের আগায় ১৫ থেকে ২০ সেন্টিমিটার খাড়া ডাঁটায় হলুদ রঙের ফুল নিচ থেকে ওপরের দিকে ফোটে। ফুলের পর ফল আসে। চিকন লম্বাটে ফল হয়। একটি ফলে প্রচুর বীজ থাকে। ফল পুষ্ট হয়ে ফেটে ঝরে পড়ে। সেখান থেকে সহজেই চারা জন্মে। এর আদি নিবাস মেক্সিকো, মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকা। দাদমর্দন গাছে কোনো সুমিষ্ট ফল হয় না, এর কাঠও মূল্যহীন।

আলংকারিক পুষ্পবৃক্ষের জন্যই বিভিন্ন উদ্যানে রোপণ করা হয়। এরা ক্যাশিয়া জাতের ফুল। ক্যাশিয়ার আরেকটি বুনো জাতের নাম কালকাসুন্দা।

দিনে দিনে হারিয়ে যাচ্ছে ঔষধি গুণে ভরা দাদমর্দন গাছ। বাড়ছে জনসংখ্যা, উজাড় হচ্ছে বন। ভরাট হচ্ছে জলাশয়, কমছে জমি ও জলাশয়। প্রকৃতি হারাতে বসেছে ভারসাম্য। সেই সাথে হারাচ্ছে ঔষধি দাদমর্দন গাছ।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)