শিরোনাম:
পাইকগাছা, সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫ পৌষ ১৪৩২

SW News24
শুক্রবার ● ১৪ নভেম্বর ২০২৫
প্রথম পাতা » কৃষি » কেশবপুরে ড্রাগন চাষে সাড়া ফেলেছেন তরুণ উদ্যোক্তা নান্টু সাহা
প্রথম পাতা » কৃষি » কেশবপুরে ড্রাগন চাষে সাড়া ফেলেছেন তরুণ উদ্যোক্তা নান্টু সাহা
১০৩ বার পঠিত
শুক্রবার ● ১৪ নভেম্বর ২০২৫
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

কেশবপুরে ড্রাগন চাষে সাড়া ফেলেছেন তরুণ উদ্যোক্তা নান্টু সাহা

---এম আব্দুল করিম, কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি:  অদম্য ইচ্ছা শক্তি আর সাহস থাকলে যে কোনো কাজে সফলতা পাওয়া যায়। তারই এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ন্ত স্থাপন করেছেন যশোরের কেশবপুর উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের নান্টু সাহা। তিনি আধুনিক প্রযুক্তির ড্রাগন চাষে তুলনামূলকভাবে বেশি ফলন বৃদ্ধি করে এলাকায় সাড়া জাগিয়েছেন। ড্রাগন আবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে উদ্যোক্তরা আসছেন তার ড্রাগন ক্ষেত দেখতে।
জানা গেছে, উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের নান্টু সাহা ফেসবুক ও ইউটিউবে ড্রাগন চাষ দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে এ আবাদে ঝুঁকে পড়েন। ৩ বছর আগে তিনি নিজের ৮ বিঘা জমিতে ২৫ হাজার রেটভেল বেট জাতের ড্রাগন গাছ রোপণ করে পরিচর্যা শুরু করেন।

সরেজমিন তার ড্রাগন খেত পরিদর্শনকালে দেখা যায়, সমস্ত জমিতে তিনি ৫ ফুট উচ্চতার ১৬’শ টি কংক্রিটের খুটি
বসিয়েছেন। যার প্রতিটির দূরত্ব দৈর্ঘ্যে সাড়ে ৭ ফুট ও প্রস্তে সাড়ে ৬ ফুট। খুটির মাথায় বসানো হয়েছে টায়ার। প্রতিটি খুটি পেঁচিয়ে টায়ারের ভেতর দিয়ে বাগানাকৃতিতে ঝুলে আছে সুস্থ-সবল ৪টি করে ড্রাগন গাছ। চারিদিকে যেন সবুজ আর রঙবেরঙের ফুল-ফলের সমারোহ। শীতকালে ড্রাগনের ফলন একটু কম হয়। এ কথা বিবেচনা করে, শীতকালে ড্রাগন
গাছে দ্রুত আগাম ফুল আনতে তিনি বাগানে নতুন করে আলাদা অন্তত: ২৫০টি বাঁশের খুটি পুতে তার টাঙিয়ে কয়েকম বাল্ব স্থাপণ করেছেন। তিনি চীন থেকে এ বাল্ব আমদানি করেছেন। প্রতিদিন সন্ধ্যায় ড্রাগনের ফুল ফোটা দেখার জন্য অসংখ্য মানুষ ওই বাগানে ভিড় করেন। এপ্রিল থেকে ড্রাগন গাছে ফুল আসা শুরু হয়। ৪০ দিন পর থেকে ফল কাটা শুরু হয়।
ড্রাগন ক্ষেত আগাছা মুক্ত রাখতে পুরো খেতে মালচিং পেপার দিয়ে ড্রাগন গাছের গোড়া ঢেকে দেয়া হয়েছে। কোনো টনিক ব্যবহার ছাড়াই, সম্পূর্ণ ন্যাচারালভাবে ড্রাগন চাষ হচ্ছে। ক্ষতিকর পাখির আক্রমন থেকে ড্রাগন ফল রক্ষায় সমস্ত খেত নেট বা জাল দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। ড্রাগন খেত পরিচর্যায় সার্বক্ষণিক রয়েছেন ৭ জন শ্রমিক। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, কিছু অসাধু ড্রাগন চাষীরা ড্রাগন ফলে ক্ষতিকর টনিক ব্যবহারের কারণে প্রকৃত চাষীরা সঠিক বাজার মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তার মতো আলতাপোল এলাকায় মেহেদী হাসান রাজু, সাতবাড়িয়ার সাইফুল ইসলাম ও মিন্টু ড্রাগন চাষ কওে সফলতা পেয়েছেন। তিনি আগামীতে আরও ১৫ থেকে ২০ বিঘা জমিতে ড্রাগন চাষ করবেন। বর্তমান বাজারে প্রতিকেজি ড্রাগন ১২০ টাকা থেকে ১৩০ কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্যাহ আল মামুন বলেন, চলতি বছর ৮ হেক্টর জমিতে ড্রাগনের চাষ হয়েছে। এ উপজেলায় মোটি ১২ জন ড্রাগন চাষী রয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন বাড়ির আঙিনা ও ছাদে ড্রাগন চাষ করা হচ্ছে। মাঝারী উঁচু দো-আঁশ মাটিতে ড্রাগনের ফলন ভালো হয়। প্রতি বিঘায় ৭০ থেকে ৭৫ মন ফলন পাওয়া যায়।





আর্কাইভ