রবিবার ● ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫
প্রথম পাতা » আঞ্চলিক » মাগুরায় ফুটপাতে শীতের কাপড় কেনার ধুম বেড়েছে
মাগুরায় ফুটপাতে শীতের কাপড় কেনার ধুম বেড়েছে
মাগুরা প্রতিনিধি : মাগুরায় শীত বেড়ে যাওয়ায় গরম কাপড় কেনার ধুম লেগেছে। শহরের থানার সামনে জম জমাট হয়ে উঠেছে ফুটপাতের বেলের সয়েটার, জ্যাকেটসহ বাহারী সব কাপড়। বিভিন্ন স্থান থেকে আসা মানুষ তাদের পছন্দ সই শীত বস্তু কিনে বাড়ী ফিরছে। কয়েকিদন ধরে তীব্র শীতে নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত, দরিদ্র শ্রেণির মানুষ গরম কাপড় কিনছে সারাদিন। সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে শিশুদের কাপড়।
রবিবার বিকালে মাগুরা সদর থানার সামনে দেখতে পায় শীতের মৌসুমে বিভিন্ন ধরনের সোয়েটার, জ্যাকেট, কোট, উলের কার্ডিগান, এবং মোটা কাপড় কিনছে সব ধরনের মানুষ। তবে নিম্নবিত্ত মানুষের জন্য এই ফুটপাত বেলের শীতের গরম কাপড় খুবই কম দামে কিনতে পারছে।
বিক্রেতা মো. রাসেল বলেন, ‘আমরা প্রতিবছর চিটাগং থেকে বেল কিনে আনি, সোয়েটারের বেল ১১-১২ হাজার টাকা এবং জ্যাকেটের বেল ১৬-২০ হাজার টাকা দামে কিনতে হয়। এই ব্যাবসাটা শুধুমাত্র শিতের ৩ মাস চলে অন্য সময় এই ব্যাবসা চলে। তিনি আরো বলেন যতবেশি বেচা বিক্রি হয় ততবেশি লাভ । শীত বাড়ার কারণে দিনভর ভিড় হচ্ছে বিক্রি হচ্ছে।’
বিক্রেতা এনায়েত হোসেন বলেন, ‘শীতকালে বিক্রি হওয়া প্রধান জিনিসগুলি হলো সোয়েটার, জ্যাকেট, কোট, টুপি, গ্লাভস, উলের মোজা, এবং গরম কাপড়। এই পণ্যগুলো হাট-বাজার, ফুটপাত বা অনলাইনে বিক্রি করা যায়। এখানে এক পিস ১০০ টাকা থেকে শুরু করে ৮০০টা বিক্রি হয় তবে ঠান্ডা কম বেশির উপর নির্ভর করে। আজ ৭/৮ দিন তুমুল ঠান্ডার কারণে বিক্রি অনেকটা বেড়েছে বলে আমরা আনন্দিত।’
হাড়কাঁপানো ঠান্ডায় মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। ঘন কুয়াশার কারণে দিনের বেলাতেও জেলার প্রধান ও আঞ্চলিক সড়কগুলোতে যানবাহনকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা যাচ্ছে, এতে বাড়ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি। বিক্রেতা তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘বেলের জ্যাকেটর ক্রয়মুল্যে সর্বনিম্ন আট হাজার থেকে বিশ হাজার টাকা পর্যন্ত। জ্যাকেটের কোয়ালিটির ওপর দাম নির্ভর করে। প্রতি বেলে ১৮০ পিস জ্যাকেট থাকে। তবে বেলে ১৮০ পিস লেখা থাকলেও বিভিন্ন চালানে কখনো ১২০, ১৪০ ও ১৬০ পিস মাল থাকে বলে জানান তিনি। কতদিন যাবত এ ব্যবসা করছেন এমন প্রশ্নের জবাবে জানান, গত ১৮ বছ প্রতি সিজনে (শীতের সময়) শীতের কাপড়ের এ ব্যবসা করছেন।’
রিক্সা চালক আলী হোসে বলেন, তীব্র শীতে রিক্সা নিয়ে রাস্তায় বের হতে পারছি না। পরিবার পরিজনের কথা চিন্তা করে সড়কে তীব্র শীত উপেক্ষা করে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। সকালে তেমন যাত্রী পাওয়া যায় না। বেলা বাড়ার সাথে সাথে সড়কে কিছু লোক বের হলেও রিকশায় উঠতে চায় না। তাই তীব্র শীতে পরিবার পরিজনের জন্য এবং নিজের জন্য গরম কাপড় কিনতে আসছি। তবে শীত বাড়ার জন্য এখানেও কাপড়ের দাম অনেক বেড়ে গিয়েছে। ইসলামপুর পাড়ার বাসিন্দা সাইদুর রহমান বলেন, ‘মাগুরা জেলার আজ ৮/১০ দিন তীব্র ঠান্ডা পড়ছে। তাই এ শীতের সময় ফুটপাত থেকে সব ধরনের মানুষের শীতের গরম কাপড় কেনার ধুম পড়েছে। তবে এখান থেকে নিম্নবিত্ত এবং মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষেরও ভিড় রয়েছে ফুটপাতের দোকান গুলোতে।






উত্তরণ-এর উদ্যোগে ফরিদপুরে স্থানীয় রেজিলিয়েন্স এজেন্টদের তিনদিনব্যাপী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
মাগুরায় অনির্বাণ সেবা সংসদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন
আশাশুনিতে লবনাক্ততা দুরীকরণে গণতান্ত্রিক সংলাপ অনুষ্ঠিত
মাগুরা বাপুসের নবনির্বাচিত কমিটির পরিচিতি সভা
পাইকগাছায় শিক্ষক বদিউজ্জামানের স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত
পাইকগাছায় দক্ষ টিউবওয়েল মিস্ত্রী নিয়োগ ও পানি পরীক্ষাকরণ বিষয়ক পারস্পরিক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
মাগুরায় তীব্র শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন
বাংলাদেশ পল্লী চিকিৎসক সমিতি মাগুরার দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত
মাগুরায় আন্তর্জাতিক অধিবাসী দিবস পালিত 