বৃহস্পতিবার ● ২৩ মার্চ ২০১৭
প্রথম পাতা » কৃষি » খুলনার ডুমুরিয়ায় বোরো ধানের বম্পার ফলন ঃ দূর্যোগ আতংকে কৃষক
খুলনার ডুমুরিয়ায় বোরো ধানের বম্পার ফলন ঃ দূর্যোগ আতংকে কৃষক
![]()
অরুন দেবনাথ,ডুমুরিয়া
খুলনার ডুমুরিয়ায় এ বছর বোরো ধানের বম্পার ফলন ফলবে বলে আশা করছে উপজেলা কৃষি অফিস।চারি দিকে বইছে সবুজের সমাহার।কৃষকের চোখে-মুখে ফুটে উঠছে সোঁনালী শপ্ন।তবে অতিবৃষ্টি,শিলাবৃষ্টি সহ নানা প্রাকৃতিক দূর্যোগের ভয়ে আতংকে রয়েছে অনেক কৃষকরা।এক দিকে সোঁনালী শপ্ন,অন্য দিকে আতংক, সব মিলে যেন শপ্নের রাজ্যে বিচরন করছেন তারা।তবে ধানের থোড় বেরীয়ে গেলে আতংকের তেমন কিছু নেই বলে জানান উপজেলা কৃষি অফিস।উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানাজায় ডুমুরিয়ায় মোট ৩০ হাজার হেক্টর আবাদী জমি রয়েছে।এর মধ্যে ২০ হাজার ৬‘শ ১০ হেক্টর জমিতে এ বছর বোরো ধানের চাষ করা হয়েছে।যা গত বছরের চেয়ে ২‘শ ৪০ হেক্টর বেশী। এ ছাড়া আলু.শরিষা,পেষাজ,রসুন,মরিজ,খেসাড়ি ডাল,বেগুন সহ অন্যান্য ফসলের চাষ করা হয়েছে প্রায় ৯‘শ হেক্টর জমিতে।ধানের ফলন লক্ষ মাত্রা ছাড়িয়ে যাবে আশাবাদি কৃষি অফিস। গত বছরের বোরো ধানের উৎপাদন ছিল ১ লক্ষ ১৫ হাজার,৯০০ মেট্রিক টন।এ বছরের লক্ষ মাত্রা ধরা হয়েছে ১ লক্ষ ৩৫ হাজার,২৬৬ মেট্রিক টন। উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ নজরুল ইসলাম জানান এবছর বোরো মৌসুমের শুরুতেই বৃষ্টি হয়েছে।ফলে বৃষ্টির পানি পেয়ে বোরো ক্ষেত এখন সবুজের সমাহার। তার উপর কৃষি অফিসের রয়েছে বিরাম হীন তদারকী।সর্বদা কৃষক প্রশিক্ষণ,কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ ও মাঠ পরিদর্শন অব্যাহত রয়েছে।তিনি আরো বলেন হঠাৎ ঠান্ডা-গরমের জন্য যে কোন সময় বোরো ধান ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হতে পারে।এ জন্য কৃষকদের সচেতন করা হয়েছে।এ রোগ কোথাও দেখা গেলে সঙ্গে সঙ্গে কৃষি অফিসকে জানাতে বলা হয়েছে।এরপর যদি দেখা যায় এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে,ক্ষেত্রে নটিভো,সান ফাইটার,ফিনিয়ার,জিল,প্রপেল জাতিয় কিটনাশক স্প্রে করতে বলা হয়েছে।খলশি-খাজুরা এলাকার কৃষক আঃ রাজ্জাক শেখ,মির্জাপুরের উত্তম,বাহাদুর পুরের আঃ সালাম,চিংড়ার কার্তিক মন্ডল সহ অনেকেই জানান এ বছর ধান-চালের দাম আনেক বেশী।তাই আমরা অধিক ফসল ও ফসলের অধিক মূল্য পাব বলে আশা করছি।এতে পূরণ হবে আমাদের সোঁনালী শপ্ন।লাভবান হবে কৃষক ও দেশ। তারা আরো জানান ক্ষেতের দিকে তাকিয়ে দেখি বাতাসের সাথে ধান শীষের মিতালী ও বোরোর তান্ডব তা দেখলে পরান জুড়িয়ে যায়। কিন্ত ভয় হয় কখন না জানি অতিবৃষ্টি,শিলাবৃষ্টি সহ নানা প্রাকৃতিক দূর্যোগ চেপে বসে। এখন তো আর কাল-আকাল আছে বলে মনে হয় না।এখন উপর আল্লাহ একমাত্র ভরসা ।প্রাকৃতিক দূর্যোগ বিষয়ে কৃষি অফিসার নজরুল ইসলাম বলেন ধানের থোড় একবার বেরীয়ে গেলে তেমন আর ভয়ের কিছু থাকে না। সব মিলে কৃষকের শপ্ন বাস্তব হবে ,বাস্তব হবে চোখে-মুখে ফুটে ওঠা সোঁনালী শপ্ন, এ প্রত্যাশা সবার।






পাইকগাছায় হলুদ ফুলে ভরে গেছে সরিষার ক্ষেত
পাইকগাছায় আগাম বোরো আবাদের বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত কৃষক
কেশবপুরে তুলার আবাদে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখছে চাষীরা
মাগুরায় ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক
পাইকগাছায় আমন ধান কাটা উৎসব শুরু
পাইকগাছায় আপনা আপনি জন্ম নেয়া একটি ডাট শাক ৯ ফুটের বেশী উচু হয়েছে
পাইকগাছায় হলুদ চাষে লাভবান হচ্ছেন কৃষক
কেশবপুরে ড্রাগন চাষে সাড়া ফেলেছেন তরুণ উদ্যোক্তা নান্টু সাহা
পাইকগাছায় কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বোরো ধানের বীজ বিতরণ
অগ্নিশ্বর কলা চাষে নজর কেড়েছেন অলক বিশ্বাস 