শিরোনাম:
পাইকগাছা, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫, ১৩ আষাঢ় ১৪৩২

SW News24
শনিবার ● ৮ এপ্রিল ২০১৭
প্রথম পাতা » অর্থনীতি » ঝাড়ু বিক্রির ফেরিওয়ালা জয়নাল দফাদার
প্রথম পাতা » অর্থনীতি » ঝাড়ু বিক্রির ফেরিওয়ালা জয়নাল দফাদার
১৮৩৬ বার পঠিত
শনিবার ● ৮ এপ্রিল ২০১৭
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

ঝাড়ু বিক্রির ফেরিওয়ালা জয়নাল দফাদার

---

এস ডব্লিউ নিউজ ॥

পাইকগাছায় ফেরি করে ঝাড়ু বিক্রয়ের আয়ে সংসারের ভোরণ-পোষণ জোগাচ্ছেন মোঃ জয়নাল দফাদার। জয়নালের নারকেল পাতার কাঠির তৈরী ঝাড়ু পাইকগাছা সহ দক্ষিণাঞ্চলে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছে। ফেরি করে ঝাড়ু বিক্রয় করা এখন জয়নাল পেশা হিসাবে গ্রহণ করেছে। পাইকগাছা পৌর বাজার সহ এলাকায় তিনি ফেরি করে ঝাড়ু বিক্রয় করেন।

জয়নাল দফাদার পাইকগাছা উপজেলার গদাইপুর ইউনিয়নের মঠবাটী গ্রামের মৃত সুলতাল দফাদারের পুত্র। তার বয়স প্রায় ৫৮ বছর। ৩ ছেলে ও ১ কন্যার জনক। ছেলে-মেয়ে সবার বিবাহ হয়ে গেছে। ছেলেরা  পৃথক সংসারে আয় রোজগার করে সংসার চালাচ্ছে। এখন জয়নাল ও তার স্ত্রী’র আলাদা সংসারে ঝাড়ু বিক্রয়ের আয়ে সংসার চালাতে হিমশিম থেকে হচ্ছে। ঝাড়ু বাড়ি, ঘর, উঠান পরিস্কার করার জন্য নিত্যদিনের প্রয়োজনীয় দ্রব্য। নারকেল পাতার ঝাড়ু ঘর-বাড়ি সহজে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করা যায়। এ জন্য মহিলাসহ সকলের কাছে ঝাড়ু খুবই প্রয়োজনীয় বস্তু। তাছাড়া নির্মাণ কাজ, রাস্তা তৈরী সহ বিভিন্ন কাজে জন্য কাঠির তৈরী ঝাড়ুর খুবই প্রয়োজনীয় হয়ে থাকে। জয়নাল জানান, তিনি প্রায় ৩৫ বছর ধরে ঝাড়– বিক্রয় করছেন। ঝাড়ুর প্রকার ভেদে ২৫ থেকে ৪০ টাকা দরে একএকটি ঝাড়– বিক্রয় হয়। পাইকগাছা বাজারে তিনি গড়ে ২০ থেকে ২৫টি ঝাড়ু বিক্রয় হয় বলে জানান। ঝাড়ু তৈরী করতে নারকেল পাতার কাঠি, ছোট কাঠের টুকরা ও প্লাস্টিকের শক্ত টেপের প্রয়োজন হয়। ঝাড়ু তৈরীর কারুকাজ ঝাড়ু বাঁধার উপর নির্ভর করে। আগের দিনে গ্রাম প্রায় প্রতি বাড়িয়ে প্রায়োজনীয় ঝাড়ু নিজেরাই তৈরী করতো। কিন্তু এখন কাউকে ঝাড়ু তৈরী করতে দেখা যায় না। বাজার থেকে ক্রয় করে সবাই ঝাড়ু ব্যবহার করছেন। জয়নাল জানান, গ্রাম থেকে ঘুরে নারকেলের কাঠি ক্রয় করতে হয়। বর্তমানে ২৫ টাকা কেজি দরে নারকেলের কাঠি ক্রয় করেন। ২ কেজি নারকেলের কাঠিতে ৫টি ঝাড়ু তৈরী হয়। তাছাড়া তিনি নিজেও নারকেলের পাতা কেটে কাঠি তৈরী করেন। এসব কাজে তার স্ত্রী সহযোগিতা করে বলে জানিয়েছেন। সম্প্রতি তিনি চোখের ছানি অপারেশন করায় কিছুটা দূর্বল হয়ে পড়েছে। এখন সপ্তাহে ২-৩ দিন পাইকগাছা বাজার সহ এলাকায় ঝাড়ু বিক্রয় করে।

জয়নাল ঝাড়ুওয়ালা হিসাবে পাইকগাছা এলাকার একটি পরিচিত নাম। সবাই তাকে জয়নাল ঝাড়ুওয়ালা হিসাবে চেনে। তার তৈরী ঝাড়ু পাইকগাছার পার্শ্ববর্তী উপজেলার লোকজন অগ্রীম টাকা দিয়ে তৈরী করে নিয়ে যাচ্ছে। তিনি ফেরি করার পাশাপাশি পাইকারী ভাবে ঝাড়ু বিক্রয় করেন। ঝাড়ু তৈরীর সম্ভবনাময় এই ক্ষুদ্র কুঠির শিল্প পাইকগাছা এলাকায় সাড়া ফেলেছে। সরকারি ও বেসরকারি ভাবে ঝাড়ু তৈরীর জন্য কোন অনুদান পেলে জয়নালের তৈরী ঝাড়ু বাণিজ্যিক রূপ লাভ করতে পারে। এ জন্য জয়নাল ঝাড়ু শিল্পে ক্ষুদ্র বিনিয়োগ করা জন্য সরকারি বা বেসরকারি অনুদান পাওয়ার জন্য সহযোগিতা কামনা করেছেন।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)