সোমবার ● ৩০ অক্টোবর ২০১৭
প্রথম পাতা » অপরাধ » পাইকগাছা উপজেলা জনস্বাস্থ্য, প্রকৌশল দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ
পাইকগাছা উপজেলা জনস্বাস্থ্য, প্রকৌশল দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ
এস ডব্লিউ নিউজ \
পাইকগাছা উপজেলা জনস্বাস্থ্য, প্রকৌশল দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিভিন্ন উপকারভোগীদের নিকট থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে জানাগেছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশুহস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন এলাকাবাসী।
প্রাপ্ত অভিযোগে জানাগেছে, উপজেলা জনস্বাস্থ্য ও প্রকৌশল দপ্তরের মাধ্যমে চলতি অর্থ বছরে এলাকাবাসীর মধ্যে রেইন ওয়াটার হারভেষ্টার এবং অগভীর নলকূপ বরাদ্দ করা হয়। সূত্রমতে স্থানীয় সংসদ সদস্য এ্যাডঃ আলহাজ্ব শেখ মোঃ নুরুল হকের সুপারিশকৃত ২১ জনকে রেইন ওয়াটার হারভেষ্টার হিসাবে পানির ট্যাংক ও ১৪ জনকে অগভীর নলকূপ। অনুরূপভাবে উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাডঃ স ম বাবর আলীর সুপারিশকৃত ১৬ জনকে রেইন ওয়াটার হাভেষ্টিং ও ৬ জনকে অগভীর নলকূপ প্রদান করা হয়। প্রদানকৃত সকল উপকরণ প্রত্যেক উপকারভোগীদের বাড়ীতে পৌছানো এবং টিউবওয়ালের স্থান পাকা করণের বিষয়টি সরকারী ভাবে করার কথা থাকলেও পরিবহন ও পাকা করণ খরচ বাবদ জনস্বাস্থ্য ও প্রকৌশল দপ্তরের অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী উপকারভোগীদের নিকট থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন মোটা অংকের টাকা। চাঁদখালী ইউনিয়নের কৃষ্ণনগর গ্রামের পরিতোষ সরকারের স্ত্রী জয়ন্তী রানী সরকার জানান, আমি এমপি মহোদয়ের কোটা থেকে একটি পানির ট্যাংক বরাদ্দ পাই। এ জন্য জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিসের অরুণ ঢালীর নিকট আমাকে ২ হাজার ৫শত টাকা জমা দিতে হয়। এমনকি গোড়া পাঁকা করণের সমস্ত মালামাল আমাকেই কিনতে হয়। যদিও অফিসের রেজাউল মিস্ত্রী মালামাল ক্রয়বাবদ অফিসের কথা বলে আমাকে ২ হাজার টাকা ফেরত দেয়। একই অভিযোগ করেন কাটিপাড়া গ্রামের কাজল দাশের স্ত্রী সুমিতা দাশ, মৌখালী গ্রামের এসনেয়ারা খানম ও জামিয়া ইসলামীয়া শামছুল উলুম মাদ্রাসার মুহতামীম মুফতী উয়াইস আহম্মেদ। এ ব্যাপারে অফিসের অরুণ ঢালীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা উপকারভোগীদের নিকট থেকে ১৫-১৬শ টাকা করে নিয়েছি ভ্যাট বাবদ। এছাড়া অতিরিক্ত কোন টাকা নেয়া হয়নি বলে তিনি জানান। উপ-সহকারী প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম জানান, অফিসের কোন কর্মচারীর বিরুদ্ধে এ ধরণের কোন অভিযোগ যদি পাওয়া যায় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাডঃ স ম বাবর আলী বলেন, শুনেছি প্রত্যেক উপকারভোগীর নিকট থেকে দেড় থেকে ২ হাজার টাকা করে নেওয়া হয়েছে। এটা যদি অবৈধভাবে নেওয়া হয়ে থাকে তাহলে যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।