

শনিবার ● ৬ জানুয়ারী ২০১৮
প্রথম পাতা » বিবিধ » ডুমুরিয়ায় চটচটিয়া-শিবনগর ভদ্রা নদীতে সেতু নির্মানের কাজ শুরু
ডুমুরিয়ায় চটচটিয়া-শিবনগর ভদ্রা নদীতে সেতু নির্মানের কাজ শুরু
অরুন দেবনাথ,ডুমুরিয়া।
অবশেষে ডুমুরিয়াবাসির প্রাণের দাবী চটচটিয়া-শিবনগর এলাকায় ভদ্রা নদীর উপর ৩১৫ মিটার দৈর্ঘ শপ্নের সেতু নির্মানের কাজ শুরু হয়েছে। গতকাল শনিবার সকালে অনানুষ্ঠানিক ভাবে এর কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।হাতের কাজ ছাড়াই সম্পুর্ন যান্ত্রিক উপায়ে শুরু হওয়া কার্যক্রম দেখতে ঘটনাস্থলে দেখা গেছে শত শত উৎসুক জনতার ভীড়।যোগাযোগ ক্ষেত্রে এটি ডুমুরিয়া,কপিলমুনি,পইকগাছা ও কয়রা এলাকার একটি সেতু বন্ধন বলে মন্তব্য এলাকাবাসির।আগামী দু‘বছরের মধ্যে এর কার্যক্রম শেষ হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর।সরেজমিনে গিয়্ েউপজেলা প্রকৌশলী, সেতু নির্মান ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলী ও এলাকাবাসির সাথে কথা বলে জানা যায় এলজিইডি‘র অর্থায়নে ৩১ কোটি ৩১ লক্ষ ৪১ হাজার ১শত৭০ টাকা ব্যায়ে চটচটিয়া-শিবনগর এলাকায় ভদ্রা নদীর উপর ৩১৫ মিটার দৈর্ঘ সেত নির্মানের কাজ শুরু হয়েছে।যা ২০১৭ সালের নভেম্বর মাস থেকে শুরু করে ২০১৯
সালের নভেম্বরে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।উপজেলা প্রকৌশলী বিদ্যুৎ কুমার দাস জানান ৩১৫ মিটার দৈর্ঘ সেতুটি ৮ টি প্লার‘র এর উপর নির্মিত হবে।প্লার গুলির উপর ৪৫ ফুট দৈর্ঘ বিশিষ্ট ৭ টি স্প্যন বসানো হবে।যার কার্যক্রম অনানুষ্ঠানিক ভাবে গত শনিবার থেকে শুরু করা হয়েছে।সুভিধা মত সময়ে এটি আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে।সেতু নির্মান ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মেসার্স ইসলাম ট্রেডার্স প্রকল্পের
প্রকৌশলী মোঃ শিহাব আলী জানান হাতের কাজ ছাড়াই আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে এর কার্যক্রম শুরু ও শেষ করা হবে।ফলে প্রাকৃতিক দূর্যোগের কবলে না পড়লে নির্ধারিত সময়ের আগেই এর শতভাগ কাজ শেষ হবে বলে আমরা আশাবাদি।চটচটিয়া খেয়াঘাট মালিক জিল্লুর রহমান,মিজানুর রহমান,চটচটিয়া
এলাকার রবিন মল্লিক,শিবনগর এলাকার মদন মহন রায় সহ অনেকে জানান এখানে সেতু নির্মান ছিল
দক্ষিন ডুমুরিয়াবাসির প্রাণের দাবী।দির্ঘকাল পরে যা বাস্তবায়িত হতে চলেছে।এটি যোগাযোগের ক্ষেত্রে ডুমুরিয়া,কপিলমুনি, পইকগাছা ও কয়রা এলাকার একটি সেতু বন্ধন হয়ে কাজ করবে।তারা আরো বলেন যেখানে মটর সাইকেল যোগে ডুমুরিয়া হয়ে কপিলমুনি যেতে দেড় ঘন্টা লাগে ,সেখানে এ সেত ুপার হয়ে মাত্র ৪০ মিনিট লাগবে।এ নদীতে ফেরী পারাপার ব্যবস্থা না থাকায় বড় বড় গাড়ী এ পথে যাওয়ার কোন উপায় নাই।যে কারনে নাক বেড়িয়ে কান ধরে কপিলমুনি,পাইকগাছাও কয়রা যেতে হয় এলাকাবাসির। সেতুটি নির্মান হলে অতি সহজে ও কম খরচে যাতায়াত ও ব্যবসা বানিজ্যের দ্বার উন্মেচন হবে এবং শপ্ন পূরনের পাশাপাশি সেতু বন্ধন এলাকাটি পরিণত হবে বানিজ্যিক এলাকায়।বাড়বে মথাপিছু আয়,ঘুচবে এলাকার দারিদ্রতা।সেতু নির্মান প্রসংগে খুলনার নির্বাহী প্রকেশলী মোঃ রকিব-উল-আলম জানান কোন প্রকার দূর্নীতি ছাড়াই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সেতুর কাজ শেষ করতে আমাদের তদারকি রয়েছে।