শিরোনাম:
পাইকগাছা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

SW News24
মঙ্গলবার ● ২০ ফেব্রুয়ারী ২০১৮
প্রথম পাতা » উপ-সম্পাদকীয় » ভাষা আন্দোলনে ধ্রুব নক্ষত্র শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত
প্রথম পাতা » উপ-সম্পাদকীয় » ভাষা আন্দোলনে ধ্রুব নক্ষত্র শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত
৮৬৫ বার পঠিত
মঙ্গলবার ● ২০ ফেব্রুয়ারী ২০১৮
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

ভাষা আন্দোলনে ধ্রুব নক্ষত্র শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত

---
প্রকাশ ঘোষ বিধান

বাঙালি জাতির ইতিহাসের গৌরব উজ্জ্বল অধ্যায় ভাষা আন্দোলন। একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। পৃথিবীর ইতিহাসে ভাষা নিয়ে এমন আন্দোলন আর কোথাও হয়নি। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে রফিক, সালাম, বরকত, জব্বার সহ আরো অনেকে বুকের তাজা রক্তের বিনিময়ে বাংলা ভাষাকে রক্ষা করেন। ১৯৪৮ সাল থেকে ১৯৫২ সাল পর্যন্ত চলা ভাষা আন্দোলনে অসংখ্য নারী-পুরুষ যোগ দিয়েছিলেন। ভাষা আন্দোলনে এমন নি একজন অগ্নিপুরুষ শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত। ১৯৪৮ সালে রাজনীতিবীদদের মধ্যে সর্বপ্রথম যে নির্ভিক ব্যক্তিত্ব করাচিতে পাকিস্তান গণপরিষদের অধিবেশনে দাড়িয়ে বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবীতে সোচ্চার হয়ে ছিলেন। তিনি হচ্ছেন কুমিল্লার কৃতি সন্তান ও ৭১’র শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত। তিনি পাকিস্তান গণপরিষদে দুটি সংশোধনী এনেছিলেন। প্রথমটি বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দেয়া এবং দ্বিতীয়টি প্রতিবছর কমপক্ষে এক বারের জন্য ঢাকায় পাকিস্তান গণপরিষদের অধিবেশন।

১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট আনুষ্ঠানিকভাবে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ১৯৪৭ সালে ভারত ভাগেরপর পূর্ব পাকিস্তানের (পূর্ববাংলা) বাংলাভাষী ৪ কোটি ৪০ লাখ মানুষ ৬ কোটি ৯০ লাখ জনসংখ্যা বিশিষ্ট নবগঠিত পাকিস্তানের নাগরিকে পরিণত হয়। কিন্তু পাকিস্তান সরকার, প্রশাসন এবং সামরিক বাহিনীতে পশ্চিম পাকিস্তানীদের সংখ্যা গরিষ্ঠতা ছিল। পাকিস্তান জন্মের পর থেকে পূর্ব বাংলার মানুষ বঞ্চিত ও শোষিত হয়ে আসছিল। পাকিস্তান ঘোর সম্প্রদায়িক চিন্তা-চেতনা ভরপুর ছিল। হিন্দু জনগোষ্ঠীর ব্যাপকভাবে দেশ ত্যাগ শুরু হয়। এরফলে শিক্ষা, দীক্ষা, বাণিজ্য, সরকারী-বেসরকারী সকল ধরণের চাকুরি ও পেশায় ভয়াবহ শুন্যতা দেখা দেয়। হিন্দুর সম্পত্তি দখল করা অলিখিত ভাবে বৈধতা অর্জন করে। পাকিস্তানের সম্প্রদায়িক অবাঙালি জনগোষ্ঠী বাঙালি সংস্কৃতি হিন্দুর সংস্কৃতি, বাংলা ভাষা হিন্দুর ভাষা করে অপপ্রচার প্রচারণা চালাতে থাকে। উর্দু বা বিদেশী ভাষাকে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা করার প্রসঙ্গে উত্থাপিত হতে থাকে। পাকিস্তান কৌশালে বাঙালি জনগোষ্ঠীর ভাষার উপর প্রথম আঘাত হানে। তারা মায়ের ভাষায় কথা বলাও বন্ধ করে দেওয়ার ষড়যন্ত্র শুরু করে। করাচিতে অনুষ্ঠিত জাতীয় শিক্ষা সম্মেলনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণাপত্রে উর্দুকে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা হিসাবে ব্যবহারের সুপারিশ সহ প্রচার মাধ্যম ও বিদ্যালয়ে কেবল মাত্র উর্দু ব্যবহারের প্রস্তাব করা হয়। তাৎক্ষণিকভাবে পূর্ব বাংলায় এ প্রস্তাবের বিরোধীতা ও প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। পূর্ব বাংলায় রাষ্ট্রভাষা বাংলা পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা এবং পূর্ব পাকিস্তানে শিক্ষা মাধ্যম হিসাবে ব্যবহারের প্রবলদাবী উত্থাপন করা হয়। পাকিস্তান পাবলিক সার্ভিস কমিশন বাংলাকে তাদের অনুমোদিত বিষয় তালিকা থেকে বাদ দেয় ও সঙ্গে সঙ্গে মুদ্রা এবং ডাক টিকিট থেকেও বাংলা অক্ষর বিলুপ্ত করে। কেন্দ্র শিক্ষামন্ত্রী ফজলুর রহমান মালিক উর্দুকে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা বানানোর জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেন। পূর্ব পাকিস্তানে ব্যাপক ক্ষভের সৃষ্টি হয় এবং ১৯৪৭ সালের ৮ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ছাত্রদের একটি বিশাল সমাবেশে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দানের  আনুষ্ঠানিক দাবী জানানো হয়।
সেই সময় পূর্ব বাংলার নেতৃস্থানীয় বাঙালি শিক্ষাবিদগণ উর্দুকে একমাত্র রাষ্ট্রভাষা করার বিপক্ষে মত দেন। পাকিস্তানে কোন অংশে উর্দু স্থানীয় ভাষা ছিল না বলে উল্লেখ করেছেন ভাষাবিদ মুহম্মদ শহীদুল্লাহ। তিনি বলেছিলেন যে, আমাদের যদি একটি দ্বিতীয় রাষ্ট্রভাষা নির্ধারণ করার প্রয়োজন হয় তবে আমরা উর্দুর কথা বিবেচনা করতে পারি। সাহিত্যিক আবুল মুনছুর আহমেদ বলেছেন, উর্দুকে যদি রাষ্ট্রভাষা করা হয় তবে পূর্ব পাকিস্তানের শিক্ষিত সমাজ নিরক্ষর এবং সব সরকারি পদের ক্ষেত্রেই অনুপযুক্ত হয়ে পড়বে। ১৯৪৭ সালের ডিসেম্বরের শেষের দিকে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার সমর্থনে প্রথমে রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠন করা হয়। তমদ্দুন মজলিশের অধ্যাপক নূরুল হক ভূইয়া এ কমিটির আহবায়ক ছিলেন। পরবর্তীতে সংসদ সদস্য সামছুল হক আহবায়ক হয়ে নতুন কমিটি গঠন করেন। ১৯৪৮ সালে ২৩ ফেব্র“য়ারিতে পাকিস্তানের বয়স তখন প্রায় ৬ মাস। করাচিতে পাকিস্তান গণপরিষদে প্রথম অধিবেশনে ইংরেজি ও উর্দুর পাশাপাশি সদস্যদের বাংলায় বক্তৃতা প্রধান এবং সরকারি কাজে বাংলা ভাষা ব্যবহারের জন্য সংশোধনী প্রস্তাব উত্থাপন করেন গণপরিষদ সদস্য ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত। ইংরেজিতে প্রদত্ত বক্তৃতায় বাংলাকে অধিকাংশ জাতিগোষ্ঠীর ভাষা উল্লেখ করে ধীরেন্দ্রনাথ বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দেওয়া দাবী তোলেন। গণপরিষদের সেই অধিবেশনে তার বক্তব্যে যতটানা আবেগের প্রতিফলন ছিল বরং তার চেয়ে বেশি ছিল যুক্তির ধার। পাকিস্তানের ৬ কোটি ৯০ লক্ষ জনগণের মধ্যে ৪ কোটি ৪০ লাখ বাংলাভাষী এবং পাকিস্তানে রাজকার্যে তাদের ভাষাকে বাদ দিলে সমস্যার সৃষ্টি হবে সেটাও তার বক্তব্যে পরিষ্কার করেছিলেন ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত। তার বক্তব্য থেকেই প্রথম দাবী ওঠে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করা। বাংলার পথে প্রান্তের ঘুরে দেখার অভিজ্ঞতাকেই অভিযাত গণপরিষদ সদস্যদের সামনে তুলে ধরেছিলেন তিনি। পূর্ব বাংলার একজন সাধারণ মানুষ পোষ্ট অফিসে মানিওর্ডার ফরম পূরণ করতে গেলেও যে উর্দু ভাষায় লিখিত ফর্ম পূরণ করতে গিয়ে হিমশিম খান এই কথাটিই ধীরেন্দ্রনাথের বক্তব্যে পতিধ্বনিত হয়ে ছিল সেই দিন। খাম-পোষ্ট কার্ডের ভিতরে বন্দী ছাড়া বাংলার যেন আর কোন গতি নেই। দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা থেকেই বুঝতে পেরেছিলেন কাজটি তার জন্য সহজ হবে না। তবে তার আশা ছিল পূর্ব বাংলার প্রভাবশালী মুসলিমলীগ নেতারা তার পক্ষে সমর্থন দেবেন। সংসদ সদস্য প্রেমহরি বর্মণ ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের সংশোধনী উপস্থাপনাকে সমর্থন করেন, ভূপেন্দ্রনাথ কুমার দত্ত এবং শ্রীশচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় তার এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানান। তারা পূর্ব পাকিন্তান থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন এবং তাদের এ সমর্থনের মাধ্যমে মূলত পূর্বপাকিস্তানে স্বাভাবিক মতামতই প্রতিফলিত হয়ে ছিল। তমিজুদ্দিন খানের নেতৃত্বে পরিষদের সব মুসলমান সদস্য (সবাই মুসলিমলীগের) একযোগে এ প্রস্তাবের বিরোধীতা করেন। কিন্তু পূর্ব বাংলার কোন মুসলমান গণপরিষদ সদস্যে তার এ প্রস্তাবকে আমলে নিলেন না। ঢাকার নবাব পরিবারের সন্তান উর্দুভাষী খাজা নাজিমুদ্দীন সরাসরি এ প্রস্তাবের বিরোধীতা করে বসলেন। কটাক্ষের তীরে ধীরেন্দ্রনাথকে জর্জরিত করলেন খাদ্যমন্ত্রী রাজা গজনফর আলী খান। প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খান তার বক্তব্যে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ঢেলে দিতে ভুল করেননি। পাকিস্তানের ভিত্তি যে ধর্মের উপর দাড়িয়ে আছে এই জানিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি এই রাষ্ট্রের ধর্মীয় চরিত্র বজায় রাখার জন্য সর্বত্রোই উর্দু প্রাধান্য থাকার প্রয়োজন সেই ব্যাপারে একটি অযোত্তিক বক্তব্য দিয়ে দিলেন। পাশাপাশি সংসদে বাঙালির প্রাণের দাবী যৌক্তিক ভাবে তুলে ধরার অপরাধে ধীরেন্দ্রনাথ দত্তকে বিছিন্নতাবাদী উপাধি দিয়ে দিলেন। পূর্ববাংলা থেকে সাধারণ আসনে নির্বাচিত সদস্য প্রেমহরি বর্ণম বাদে প্রায় সকল বাঙালি গণপরিষদ সদস্যরা প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খানের সেই বক্তব্য বিনা বাক্যেব্যয়ে হজম করে নিলেন। ১৯৪৮ সালের ২৫ ফেব্র“য়ারি পাকিস্তান গণপরিষদে বাঙালি স্পীকার তমিজুদ্দিন খানও রায় দিতে বাধ্য হলেন প্রস্তাবটি গৃহিত হচ্ছে না। বাঙালির ভাষার দাবীতে প্রথম যে নিয়মতান্ত্রীক দাবী উঠেছিল তা অঙ্কুরে বিনষ্ট হয়ে গেল। ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত অনেকটা ব্যাথিত হৃদয় দিয়ে করাচি থেকে ঢাকায় ফিরলেন। এরপর ১১ মার্চ গণপরিষদে উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার পক্ষে প্রস্তাব পাস করা হয়।
ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের প্রস্তাবটি গণপরিষদে বাতিল হওয়ার ফলে ২৬ ফেব্র“য়ারিতে ঢাকায় ছাত্র ধর্মঘট অনুষ্ঠিত হয়। স্কুল, কলেজ, আর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা ক্লাস ছেড়ে বেরিয়ে আসে। বাংলা সপক্ষে স্লোগান দেয়ার পাশাপাশি খাজা নাজিমুদ্দীন, তমিজুদ্দিন খানকে ধর্মঘট থেকে ধীক্কার জানানো হয়। সে বছরের ১১ মার্চ সমগ্র প্রদেশে ধর্মঘট পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তখন ছাত্র রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন। ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের প্রস্তাব বাতিল হওয়ার ফলে তিনি ব্যাথিত হয়ে ছিলেন। ১১ মার্চের ছাত্র ধর্মঘটে ড. মোঃ শহিদুল্লাহ মতো শিক্ষকরাও সামনে থেকে পথ দেখিয়ে গেছেন। এ আন্দোলনে গ্রেপ্তার হয়ে ছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান, অলি আহাদ, রমেশদাশ গুপ্ত সহ অসংখ্য ছাত্রনেতা। বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবী তখন বাঙালিকে একদম ভিতর থেকে নাড়া দিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা ১৪৪ ধারা অমান্য করে রাজপথে নামেন। ভাষার  দাবী চিরোতরে বন্ধ করতে পাকিস্তান সরকারের বর্বর পুলিশ তাদের উপর গুলি চালাতেও দ্বিধা করেনি। সেদিন বরকত, জব্বার, সালাম, শফিক, রফিক সহ নাম না জানা অনেক ছাত্র-যুবক শহীদ হন। এর প্রতিবাদে ঢাকাবাসী, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হোস্টেলের ছাত্ররা সমাবেত হন। ছাত্রদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও প্রতিবাদে ফেঁটে পড়েন। পরের দিন ২২ ফেব্র“য়ারি আবারও রাজপথে নেমে আসেন ছাত্রজনতা। তারা মেডিকেল কলেজ হোস্টেল প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত গায়েবী যানাজায় অংশনেন। স্বজন হারানোর স্মৃতি অমর করে রাখতে ২৩ ফেব্র“য়ারি রাতে মেডিকেল কলেজ হোস্টেল প্রাঙ্গনে তৈরি করেন স্মৃতিস্তম্ব (শহীদ মিনার)। ২৬ ফেব্র“য়ারি পুলিশ বাহিনী এটি গুড়িয়ে দেন। এ ঘটনার মধ্যদিয়ে ভাষা আন্দোলন আরো বেগবান হয়। ১৯৫৪ সালে প্রাদেশীক পরিষদ নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট বিপুল আসন নিয়ে জয়লাভ করে। ৯ মে অনুষ্ঠিত গণপরিষদের অধিবেশনে বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হয়।
ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ১৯৭১ সালের অগ্নিঝরা মার্চে নিজ বাড়ীর আঙ্গিনায় স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়ে বাঙালির স্বায়ত্ত্বশাসনের সূর্য উঠার কথা জানিয়ে দিয়েছিলেন। কুমিল্লার সেই বাড়ী থেকেই পাকিস্তান হানাদার বাহিনী তাকে ধরে নিয়ে যায়। বর্ষিয়ান এই রাজনীতিবিদকে তারা নির্মণ ভাবে হত্যা করে। ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের পবিত্র রক্তে আজও ভিজে আছে বাংলাদেশের মাটি, ভিজে আছে প্রতিটি বাংলা বর্ণমালা। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালে বিজয় লাভ করে বাংলাদেশ। ইতিহাসের ধারাবাহিকতায় বাংলা ভাষা বর্তমানে আন্তর্জাতিক ভাষা হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছে। ১৯৯৮ সালে জাতিসংঘের কাছে কানাডা প্রবাসী দুই বাঙালি রফিকুল ইসলাম এবং আব্দুস সালাম একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসাবে ঘোষণার আবেদন জানিয়েছে ছিলেন। ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ইউনেস্কোর প্যারিস অধিবেশনে একুশে ফেব্রুয়ারিক আন্তর্জাতিক মাতৃভাষাকে ঘোষণা করা হয়।

লেখক ঃ সাংবাদিক





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)