শিরোনাম:
পাইকগাছা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

SW News24
বৃহস্পতিবার ● ২৪ জুন ২০২১
প্রথম পাতা » কৃষি » কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে আমন বীজ
প্রথম পাতা » কৃষি » কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে আমন বীজ
৩৪১ বার পঠিত
বৃহস্পতিবার ● ২৪ জুন ২০২১
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে আমন বীজ

---

রামপ্রসাদ সরদার, কয়রা, খুলনাঃ
      
খুলনার কয়রা উপজেলায় আমন আবাদের শুরুতেই বাজারে বীজের সংকট দেখা দিয়েছে। এ সুযোগে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) সরবরাহ করা বীজ দ্বিগুণের বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। ফলে আমন আবাদ নিয়ে এবারও শঙ্কায় পড়েছেন কৃষক।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সরকারিভাবে কেজিপ্রতি ১২ টাকা ‘বীজ সহায়তা’ দেওয়ায় বিএডিসির ব্রিধান-৩৪-এর বীজ ৩৬ টাকা কেজি মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। ফলে কৃষকরা ১০ কেজির এক বস্তা বীজ ৩৬০ টাকায় কিনতে পারবেন। এ ছাড়া অন্যান্য সব জাতের বীজ ২০ টাকা কেজি দরে ১০ কেজির বস্তা কৃষক পর্যায়ে ২০০ টাকা রাখার কথা। কিন্তু বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে এই বীজ ৭৫০ থেকে ৮৫০ টাকায় বিক্রি করছেন স্থানীয় ডিলাররা। আবার এ সুযোগে খুচরা বিক্রেতারা অপেক্ষাকৃত কম দামে নকল বীজ ধরিয়ে দিচ্ছেন কৃষকদের হাতে।

স্থানীয় কৃষকরা জানান, গতবারও মৌসুমের শুরুতে বাজারে আমন বীজের সংকট দেখা দেওয়ায় তারা খুচরা বিক্রেতাদের কাছ থেকে কম দামে নকল বীজ কিনে প্রতারিত হয়েছেন। এতে অনেক কৃষক বীজতলা তৈরি করতে না পেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আমন আবাদ মৌসুমে প্রথম পর্যায়ে বিএডিসির ২৩ ডিলারের অনুকূলে বিভিন্ন জাতের ৯৩ টন বীজ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বরাদ্দ বীজ ডিলাররা তুলে বিক্রি শুরু করেছেন।

মহারাজপুর গ্রামের কৃষক মুনসুর গাজী অভিযোগ করেন, তিনি ডিলারের কাছ থেকে ব্রিধান-১০ জাতের এক বস্তা বীজ কিনেছেন ৭৫০ টাকায়। কুশোডাঙ্গা গ্রামের কৃষক আবদুল মাজেদ জানান, তিনিও একই দামে ডিলারের কাছ থেকে বীজ কিনেছেন। তাদের অভিযোগ, যথেষ্ট বীজ মজুদ থাকা সত্ত্বেও তাদের কাছ থেকে বেশি দাম রাখা হয়েছে।

উপজেলার হরিনগর গ্রামের কৃষক ফারুক সানা অভিযোগ করেন, বাজারে সরকারি বীজ কিনতে গিয়ে না পেয়ে ফিরে এসেছেন। পরে বাধ্য হয়ে বেশি দামে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বীজ কিনেছেন। গতবার এই বীজ কিনে ভালো বীজতলা তৈরি করতে পারেননি তিনি। এবারও সে আশঙ্কা রয়েছে তার।

এদিকে ডিলাররা জানিয়েছেন, তারা বিএডিসি থেকে যে বীজ বরাদ্দ পেয়েছেন তা বিক্রি হয়ে যাওয়ায় বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বীজ বিক্রি করছেন। এ জন্য দাম বেশি রাখা হচ্ছে। আবার কেউ কেউ জানিয়েছেন, তারা বরাদ্দ বীজ এখনও তোলেননি। তবে কৃষি অফিসে সব ডিলারের বীজ তোলার আগমনীপত্র জমা হতে দেখা গেছে।

কয়রা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বিএডিসির ডিলাররা সিন্ডিকেট করে কৃষকদের ঠকিয়ে আসছেন বলে জানি। আমরা এ ব্যাপারে কৃষকদের কাছ থেকে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাই না। যে কারণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারছি না।

কয়রা উপজেলা সার ও বীজ মনিটরিং কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনিমেষ বিশ্বাস বলেন, কৃষকদের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় সব ডিলারকে প্রাথমিকভাবে সতর্ক করা হয়েছে। 





আর্কাইভ