বৃহস্পতিবার ● ১৮ এপ্রিল ২০২৪
প্রথম পাতা » কৃষি » পাইকগাছায় ৭৭ কোটি টাকার তরমুজ উৎপাদন
পাইকগাছায় ৭৭ কোটি টাকার তরমুজ উৎপাদন
পাইকগাছায় চলতি মৌসুমে তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। ১৪৪৫ হেক্টর জমিতে ৫৫ হাজার মেট্রিক টন তরমুজ উৎপাদিত হয়েছে। এসব তরমুজের বাজারমূল্য ৭৭ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে দাবি করছে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। উৎপাদিত এসব তরমুজ উচ্চমূল্যে বিক্রি করতে পেরে খুশি কৃষক। গত বছরের বৃষ্টিতে তরমুজ চাষের ক্ষতি পুষিয়ে এবার লাভবান চাষিরা। তরমুজের বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।
উপকূল এলাকার চারপাশে লবণপানি, বেড়ীবাধের মধ্যে মিষ্টি পানির আঁধার তৈরি করে পাইকগাছার দেলুটি,গড়ুইখালী ও চাদখালী ইউনিয়ানে তরমুজ চাষে হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় এ বছর তরমুজের আবাদ হয়েছে ১ হাজার ৪ শত ৪৫ হেক্টর জমিতে।হেক্টর প্রতি ফলন ৩৮ থেকে৪২ টন।মোট ফলন ৫৪ হাজার ৯১০টন।যার বাজার মূল্য ৭৬ কোটি ৮৭ লক্ষ ৪০ হাজার টাকার বেশী হবে। পাইকগাছায় ১০টি ইউনিয়ন মধ্য ৩টি ইউনিয়নে তরমুজ চাষ হয়। এর মধ্যে গড়ুইখালী, দেলুটি ও চাদখালীতে তরমুজ চাষ হয়। সবচেয়ে বেশি আবাদ হয়েছে দেলুটি ইউনিয়নে।উপকূরের লবণ পানির এলাকায় গড়ুইখালী ইউনিয়নের ঘোষখালী নদী ও দেলুটি ইউনিয়নের ডিহিবুড়া খাল খননে বৃষ্টির (মিষ্টি) পানি সংরক্ষণ করে তরমুজের চাষ করা হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মাঠের পর মাঠ তরমুজ ক্ষেত। চারদিকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে তরমুজ।আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন ভালো হয়েছে। ক্ষেত থেকে তরমুজ তুলে জড়ো করে রেখেছেন বিক্রির জন্য। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ব্যাপারীরা তরমুজ কিনতে ক্ষেতে গিয়ে চাষিদের সঙ্গে দরদাম করে ক্ষেতে কিনে নিচ্ছেন। এই তরমুজ ক্ষেত থেকে ট্রলি বোঝাই করে ট্রাক ও কার্গ ভর্তি করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠানো হচ্ছে। শ্রমিকরা ক্ষেত থেকে তরমুজ তুলে ট্রলিতে করে এনে ট্রাক ও কার্গ লোড করছে। বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার আগেই ক্ষেত থেকে তুলে বাজারজাত করার জন্য ব্যস্ত চাষি ও ব্যাপারীরা। বাজার দাম ভালো পাওয়ায় খুশি কৃষকেরা। কেউ খেত হিসাবে তরমুজ বিক্রি করছেন আবার কেউবা পাইকারি বাজারে তরমুজ বিক্রি করছেন। এতে উৎপাদন খরচ পুষিয়ে লাভবান হচ্ছেন কৃষকেরা। ইতিমধ্যে ৬০ শতাংশ তরমুজ খেত বিক্রি হয়ে গেছে। ৪০ শতাংশ তরমুজ কৃষকের খেতে রয়েছে।প্রতিদিন পাইকগাছা ও পাশের আমাদি থেকে ২ থেকে ৩ শত ট্রাক তরমুজ ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় নিয়ে যাচ্ছে ব্যাবসাহীরা।
স্থানীয় কৃষকেরা জানান, বিগত বছরে তরমুজ চাষে আর্থিকভাবে লোকসান হলেও এবার লাভের মুখ দেখছেন চাষিরা।তবে অনাবৃস্টির কারণে পানি দিতে অধিক টাকা খরচ হয়েছে। দেলুটি ইউনিয়নের লোচন সরকার বলেন, আমি ৫ বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করেছি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় গত বছরের তুলনায় এ বছর তরমুজের ফলন ভালো হয়েছে। আমার বিঘা প্রতি ১৫ থেকে ১৮ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। প্রতি বিঘা তরমুজ ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা বিক্রি হবে বলে আশা করছি। গড়ুইখালী ইউনিয়নের কানাখালী গ্রামের বিজন কুমার মণ্ডল বলেন, আমি চার বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করেছি। আমার জমিতে খরচ বাদে দেড় লাখ টাকা লাভ থাকবে বলে আশা করছি।
এ বিষয়ে পাইকগাছা উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ অসিম কুমার দাশ জানান, এ বছর তরমুজের ফলন ভালো হয়েছে।তবে মিষ্টি পানির পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় তরমুজ চাষে কিছুটা সমস্যা হয়েছে। এসব এলাকায় খাল খনন করে মিষ্টি পানি সংরক্ষণ করতে পারলে তরমুজের চাষ আরও বাড়ানো যেত। এখন পর্যন্ত বাজারে তরমুজের দাম সন্তোষজনক।ইতিমধ্যে উপজেলার বিভিন্ন ক্ষেতের ৬০ ভাগ তরমুজ বিক্রি হয়ে গেছে। এ বছর বাম্পার ফলন হওয়ায় আগামীতে তরমুজ চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।






পাইকগাছায় কৃষকদের মাঝে পুষ্টি বাগান স্থাপনে উপকরণ বিতরণ
লতিকচু চাষে আলোর মুখ দেখছেন রফিকুল
পাইকগাছায় কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ
মাগুরায় পরিবেশ নিরাপত্তায় পেস্ট কন্ট্রোল বিষয়ক সচেতনামুলক সভা
বহুমুখী ফসল উৎপাদনে পাইকগাছার কৃষি অর্থনীতি বদলে যাচ্ছে
শ্রীপুরে পোনামাছ অবমুক্তকরণ
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় বিনামূল্যে মাষকলাই বীজ ও সার পেয়ে কৃষকের মুখে হাঁসি
২০ বছর পর কালিয়ার বিলে আউস ও আমন ধানের ব্যাপক ফলন; কৃষকের মুখে হাসি
পাইকগাছায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ঘেরের আইলে সবজি চাষ
পাইকগাছায় পোনা মাছ অবমুক্ত কর্মসূচির উদ্বোধন 