শিরোনাম:
পাইকগাছা, শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ২৭ বৈশাখ ১৪৩২

SW News24
সোমবার ● ৬ জানুয়ারী ২০২০
প্রথম পাতা » কৃষি » পাইকগাছায় আমনের ফলন আশানারুপ হয়েছে
প্রথম পাতা » কৃষি » পাইকগাছায় আমনের ফলন আশানারুপ হয়েছে
৫৩০ বার পঠিত
সোমবার ● ৬ জানুয়ারী ২০২০
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

পাইকগাছায় আমনের ফলন আশানারুপ হয়েছে

---

প্রকাশ ঘোষ বিধান ॥

পাইকগাছায় ঘূণিঝড় বুলবুলের আঘাতের পরও আমনের ফলন আশানারূপ হয়েছে বলে কৃষি অফিস জানায়। তবে কৃষকরা বলছে, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে আমনের ফলন কম হয়েছে। উপজেলায় পুরাদমে আমন ধান কর্তন চলছে। উঁচু ক্ষেতের আমন ধান কর্তন শেষ হয়েছে। তবে নিচু ও মৎস্য লিজ ঘেরে আমন ক্ষেতের ধান কাঁটা ও মাড়াই চলছে। আগামী ১০/১৫ দিনের মধ্যে পুরা জমির ধান কাটা সম্পন্ন হবে বলে কৃষকরা জানিয়েছে। আবহাওয়া জনিত কারণ ও মৎস্য লিজ ঘের গুলোতে দেরিতে আমনের আবাদ করা হয়। সে জন্য আমন কাটাও দেরিতে শুরু হয়। নতুন আমন ধান আশানারূপ দামে বিক্রি হচ্ছে। নতুন আমন ধান মন প্রতি সাড়ে ৮শ থেকে সাড়ে ৯শ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে ধানের থেকে বিচুলীর চাহিদা থাকায় কৃষকরা লাভবান হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এ মৌসুমে উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় ১৬ হাজার ৯৬৪ হেক্টর জমিতে আমনের আবাদ হয়েছে। উঁচু ক্ষেত্রের ধান কাঁটা শেষ হয়েছে। মৎস্য লিজ ঘেরের ধান কাটা চলছে। প্রায় ৭০ ভাগ ক্ষেতের ধান কাটা সম্পন্ন হয়েছে। হেক্টর প্রতি ফলন হাইব্রীড ৬ মেট্রিকটন, উফশী ৫ মেট্রিকটন ও স্থানীয় জাতের ৩.৮ মেট্রিকটন হারে ফলন পাওয়া যাচ্ছে। কৃষি অফিস আরো জানায়, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে গদাইপুর, হরিঢালী, কপিলমুনি ও রাড়–লী ইউনিয়নের আমন ধানের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। তবে নিচু এলাকার ৬টি ইউনিয়নের আমনের ফলন ভাল হয়েছে। প্রচুর বৃষ্টি ও নি¤œ এলাকা প্লাবিত হওয়ায় নিচু এলাকার লবণের মাত্রা কমে যাওয়ায় ফলন আশানারূপ হয়েছে। উপজেলার গদাইপুর ইউনিয়নের পুরাইকাটী ব্লকের কৃষক ফারুক হোসেন জানান, তার ৬ বিঘা জমিতে গত বারের তুলনায় বিঘা প্রতি ৬ মন করে ধান কম পেয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে তার ক্ষেতে ফুলন্ত ধান গাছ পড়ে যাওয়ায় ফলন কম পেয়েছে। তোকিয়া ব্লকের কৃষক শফিকুল ও জিয়াদুল জানান, ঘূণিঝড়ের কারণে তাদের ক্ষেত্রে ধান পানিতে প্লাবিত ও পড়ে যাওয়ায় ফলন কম পেয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ এএইচএম জাহাঙ্গীর আলম জানান, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে উপজেলার ৩/৪টি ইউনিয়নের আমন ধানের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। তবে নি¤œ  এলাকার ইউনিয়ন গুলিতে আমনের ফলন ভাল হয়েছে। প্রচুর বৃষ্টিতে লবণাক্ত মাটি পরিশোধিত হওয়ায় আমনের ফলন ভাল হয়েছে। তবে উচু এলাকার জমির আমনের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে যার পরিমাণ ৫ শতাংশ হতে পারে। ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতের পরও উপজেলার আমনের ফলন আশানারূপ হয়েছেন বলে তিনি জানান।

 





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)