শিরোনাম:
পাইকগাছা, সোমবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ অগ্রহায়ন ১৪৩১

SW News24
শুক্রবার ● ২০ আগস্ট ২০২১
প্রথম পাতা » ব্যবসা-বাণিজ্য » জমে উঠেছে গদাইপুরে ভোরবেলার চারার হাট
প্রথম পাতা » ব্যবসা-বাণিজ্য » জমে উঠেছে গদাইপুরে ভোরবেলার চারার হাট
৬০৭ বার পঠিত
শুক্রবার ● ২০ আগস্ট ২০২১
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

জমে উঠেছে গদাইপুরে ভোরবেলার চারার হাট

 ---

প্রকাশ ঘোষ বিধান: জমে উঠেছে পাইকগাছার গদাইপুরে ভোরবেলার গাছের চারার হাট । হাটে  প্রচুর পরিমানে বিভিন্ন প্রজাতির ফলজ-বনজ,ফুল ও ঔষধী গাছের চারা উঠেছে।ক্রেতা-বিক্রেতা ও ব্যবসাহীদের সমাগমে নার্সারী চারার হাট জমে উঠেছে।ভোরের হাট সকাল ১০টার মধ্যেই শেষ হয়ে যায়। তবে স্থানীয় ক্রেতাদের জন্য বিকাল বেলাও আংশিক এলাকায় চারার হাট বসে। পাইকগাছা, কয়রা, আশাশুনি, দাকোপ সহ দক্ষিণ অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ী ও খুচরা ক্রেতারা ভোরবেলার হাট থেকে পছন্দমত বিভিন্ন প্রজাতির চারা ক্রয় করছে। ভোরবেলার গদাইপুরে চারার হাটে দক্ষিণ অঞ্চলের মানুষের মধ্যে সাড়া ফেলেছে।---

বর্ষাকাল বৃক্ষরোপনের উপযুক্ত সময়। পরিবেশ সুরক্ষায় বৃক্ষের অবদান অপরিসীম।বৃক্ষ ছাড়া পরিবেশ সুরক্ষা অসম্ভব। তবে এ বছরও বাধ ভেঙ্গে উপকূল এলাকা লবন পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় সব জায়গায় চারা রোপন করার পরিবেশ তৈরি হয়নি।সে কারনে চারা রোপন করার সময়ও পিছিয়ে যাচ্ছে।তারপরও এ হাটে ফলদ, বনজ, ঔষধী, ফুল সহ নানা প্রজাতির বৃক্ষের চারা পাইকারী ও খুচরা বিক্রি হচ্ছে।

পাইকগাছার গদাইপুর দক্ষিণ অঞ্চলের একটি ঐতিহ্যবাহী বাজার। এ বাজারে সপ্তাহে শুক্রবার, সোমবার ও বুধবার হাট বসে। হাটে পাইকারী ও খুচরা বিভিন্ন মালামাল বিক্রয় হয়। বিগত বছর থেকে গদাইপুর বাজারে ভোরবেলা চারার হাট দক্ষিণ অঞ্চলে ব্যবসায়ী ক্রেতাদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। গদাইপুর নার্সারীর জন্য বিখ্যাত। গদাইপুরের নার্সারীর চারা দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হচ্ছে। দেশ ব্যাপি গদাইপুর নার্সারীর নাম ছড়িয়ে পড়েছে। গদাইপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে ৪শ থেকে ৫শ নার্সারী প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। এ সকল নার্সারীতে উৎপাদিত বিভিন্ন চারা ও কলম নার্সারী মালিকরা ভোরবেলা গদাইপুর হাটে তুলছে। ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা খুব ভোরে এসে পছন্দমত চারা ক্রয় করে দক্ষিণ অঞ্চলের বিভিন্ন হাটে বিক্রয় করছে। হাটে আম, কাঁঠাল, জাম, জামরুল, লিচু, কদবেল, বিভিন্ন জাতের কুল, পেয়ারা, বাতাবি লেবু, মাল্টা, কমলা লেবু, দেশী বিদেশী নারিকেল চারা, সুপারী, মেহগনি, সিরিশ, লম্বু, আকাশমনি, বিভিন্ন প্রজাতির দেশী বিদেশী ফুলের চারা হাটে ক্রয়-বিক্রয় হচ্ছে। ক্রেতারা বাজার ঘুরে পছন্দমত গাছ কিনছে। সর্বনিন্মে  ২০ টাকা থেকে ৬শ টাকা দরে কলম বিক্রি হচ্ছে। মাল্টা ও কমলা লেবুর চারা ও বিদেশী নারিকেলের চারা দম সব থেকে বেশী। বিদেশী নারিকেলের চারা ৫শ টাকা, বড় মাল্টা ও কমলা লেবুর চারা প্রায় ৬শ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া চারা বড় ও মানের উপরে বিভিন্ন দামে চারা বিক্রি হচ্ছে। বাজারে  প্রচুর পরিমানে  গাছের চারা উঠেছে। বাজার ঘুরে পছন্দমত চারা ক্রয় করা যাচ্ছে এবং বাজারের চারা দামও কম। ---

কয়রা উপজেলার উত্তরবেদকাশী গ্রামের ব্যবসাহী মোশারফ হোসেন জানান, সোহবান,রহিম,রাশেদসহ আটজন রাত দুইটায় রওনা দিয়ে সকালে বাজারে এসেছে।তিনি চারা কিনে কাশী হাটে বিক্র করেন।তবে বেড়ি বাঁধ ভেঙ্গে  লবন পানিতে এলাকা তলিয়ে গেছে যাওয়ায়   চারারোপন করার উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি হয়নি। এ জন্য চারার চাহিদা কিছুটা কম।ফুলতলা উপজেলার বেজেরডাঙ্গার শেখ সাফায়েত হোসেন হাটে চারা কিনতে এসেছেন তিনি বলেন,কুল, কদবেল, সুপারির রেনু চারা কিনে তার শেখ নার্সারীতে বড় করে বিক্রি করবেন।  গদাইপুর গ্রামের চারা  জাহান আলী মোড়ল জানান,বাঁধ  ভেঙ্গে যাওয়ায় ফলে এলাকা লবন পানিতে তলিয়ে গেছে। এ কারনে চারার চাহিদা ও দাম কিছুটা কম। গত বছর সকাল ৮ টার মধ্যে সব চারা বিক্রি হয়ে যেত। এ বছর চারা অবিক্রিত থেকে যাচ্ছে। বিক্রি না হওয়ায় ক্ষেত ভরা চারা রয়েছে। এর ফলে নার্সারী মালিকরা আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।---

পাইকগাছা উপজেলা নার্সারী মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অশোক কুমার পাল জানান, গদাইপুর এলাকায় প্রায় সাড়ে ৪শ নার্সারী রয়েছে। এ সকল নার্সারী থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় চারা সরবরাহ করা হয়। তবে গদাইপুর বাজারে ভোরবেলার হাটে প্রচুর পরিমাণ চারা উঠছে।  ক্রেতারা তাদের পছন্দমত চারা ক্রয় করতে পারছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ জাহাঙ্গীর আলম জানান, পরিবেশ সু-রক্ষায় বৃক্ষের অবদান অপরিসীম। মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে সারাদেশে  সরকারি ভাবে প্রচুর পরিমাণে বৃক্ষরোপন করা হচ্ছে। তাই সবাইকে বৃক্ষরোপন করতে হবে।পরিবারের পুষ্টি চাহিদা পূরনে বাড়ির আঙ্গিনায় চার-পাঁচটি ফলদ বৃক্ষ রোপন করার জন্য কৃষকদেও প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।। গদাইপুরে ভোরবেলা হাট থেকে ক্রেতারা চারা ক্রয় করে সূর্যের তাপ ছাড়াই চারা গন্তব্যস্থানে নিয়ে যেতে পারে।এতে চারার মান ভাল থাকে। ভোরবেলা ক্রেতারা চারা ক্রয় করে সূর্যের তাপ ছাড়াই সুস্থ্য ও সবল চারা বাড়ি নিতে পারছে। এ কারণে ক্রেতাদের ভোরবেলার হাটে চারা ক্রয়ে আগ্রহ বাড়ছে।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)