শিরোনাম:
পাইকগাছা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

SW News24
রবিবার ● ২৪ এপ্রিল ২০২২
প্রথম পাতা » সুন্দরবন » সুন্দরবনে মিলছেনা আশানারুপ মধু; মৌয়ালরা ক্ষতির সম্মুখিন
প্রথম পাতা » সুন্দরবন » সুন্দরবনে মিলছেনা আশানারুপ মধু; মৌয়ালরা ক্ষতির সম্মুখিন
৪৪৬ বার পঠিত
রবিবার ● ২৪ এপ্রিল ২০২২
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

সুন্দরবনে মিলছেনা আশানারুপ মধু; মৌয়ালরা ক্ষতির সম্মুখিন

---প্রকাশ ঘোষ  বিধান, পাইকগাছাঃ বৈরী আবহাওয়ার কারণে সুন্দরবনে মৌচাকে পাওয়া যাচ্ছে না আশানারুপ মধু। ফলে মৌয়ালরা আর্থিক ক্ষতির আশঙ্খায় ভুগছে। পুঁজি বাঁচাতে পারবে না এ আশঙ্খায় উপকুলের অনেক মৌয়াল এলাকায় ফিরে আসছে। অনাবৃষ্টি ও অতিতাপমাত্রার কারণে গাছের ফুল ভালো হয়নি, তাপমাত্রার কারণে মৌমাছি ঠিকমত চাক তৈরী করতে পারেনি। তাছাড়া চাকে মধুর জমাট তেমন বাঁধেনি। অতিতাপমাত্রায় বনে মৌমাছি বিপন্ন হয়ে পড়েছে বলে বন থেকে ফিরে আসা মৌয়াল ও বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।

এ বছর আগাম সুন্দরবনে মধু আহরন শুরু হয়েছে। দেশে মধু উৎপাদনের অন্যতম প্রধান ক্ষেত্র হচ্ছে সুন্দরবন। সুন্দরবন পূর্ব ও পশ্চিম বিভাগে প্রতি বছর বিপুলসংখ্যক মৌয়াল বন বিভাগের অনুমতিপত্র (পাস) নিয়ে বনে মধু সংগহ করতে যায়। মৌয়ালরা ফলসি, গরান, গর্জন, কেওড়া ও গেওয়া ফুলের মধু সংগ্রহ করে থাকে। এসব গাছে মৌমাছি মধুর চাক তৈরি করে। প্রতি বছর ১ এপ্রিল থেকে মধু সংগ্রহ শুরু হয়। মে মাস পর্যন্ত মৌয়ালরা সুন্দরবনে মধু সংগ্রহ করে থাকে। একশ্রেণির লোক বন থেকে অবৈধভাবে মধু সংগ্রহ করে নিয়ে যাওয়ায় এবার আগাম মধু সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বন বিভাগ।

পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মুহাম্মাদ বেলায়েত হোসেন বলেন, বেশি মধু সংগ্রহের জন্য এবার মৌসুম শুরুর ১৫ দিন আগে মৌয়ালদের ১৫ মার্চ থেকে মধু সংগ্রহের পাস দেয়া হচ্ছে। ২০২০-২১ অর্থ বছরে পূর্ব সুন্দরবন থেকে এক হাজার ৪৪ কুইন্টাল মধু, ৩১৩ কুইন্টাল মোম সংগ্রহ হয়। এ থেকে ১০ লাখ ৯৬ হাজার টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে।

খুলনা সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগ সাতক্ষীরা রেঞ্চ এর আয়োজনে প্রতি বছরের ন্যয় ১৫ মার্চ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় বুড়িগোয়ালিনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের হলরুমে সাতক্ষীরা রেঞ্জের মধু আহরনের আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনী ঘোষণা করা হয়। বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ডঃ আবু নাসের মোহসিন হোসেনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা রেঞ্চ সহকারী বন সংরক্ষক এম এ হাসান।

তিনি বলেন, প্রতিবছর ১ এপ্রিল মধু আহরন এর আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হত। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে কয়েক বছর ধরে সুন্দরবনের মধু ফুল খ্যাত খলিশা ফুলের মধু আগের চেয়ে ১৫/২০ দিন আগেই সংগ্রহ করার উপযুক্ত হয়। যার কারনে এ বছর ১৫ মার্চ মধু আহরনের আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন এ বছরে মধু আহরনের লক্ষ্যমাত্রা ১৫শ’ কুইন্টাল ও মোম ২৬৫ কুইন্টাল।

প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো বলেন, সরকারি নিয়মনীতি মেনে মধু আহরন করবেন এবং খাঁটি মধু লোকালয়ে এনে বিক্রি করবেন। যাতে আপনারা প্রকৃত দাম পেয়ে থাকেন। তবে বনবিভাগের আগাম মধু সংগ্রহের উদ্দেশ্য সফল হয়নি প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারনে।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)