শিরোনাম:
পাইকগাছা, মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর ২০২৪, ২২ আশ্বিন ১৪৩১

SW News24
বুধবার ● ৩১ আগস্ট ২০২২
প্রথম পাতা » সুন্দরবন » সুন্দরবনের পর্যটন মৌসুম শুরু
প্রথম পাতা » সুন্দরবন » সুন্দরবনের পর্যটন মৌসুম শুরু
৩৬০ বার পঠিত
বুধবার ● ৩১ আগস্ট ২০২২
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

সুন্দরবনের পর্যটন মৌসুম শুরু

 --- তিন মাস বন্ধ থাকার পর  ১ সেপ্টেম্বর ভোর থেকে ইকো-ট্যুরিষ্ট (প্রতিবেশ পর্যটক) ও বনজীবীদের জন্য উন্মুক্ত সুন্দরবন।

একই সাথে শুরু হচ্ছে সুন্দরবনের ৯ মাসের পর্যটন মৌসুম। স্বপ্নের পদ্মা সেতু চালুর পর রাজধানী ঢাকা থেকে সড়ক পথে সুন্দরবনের দূরত্ব মাত্র ৩ ঘন্টায় নেমে আসায় এবারের পর্যটন মৌসুমে দেশী-বিদেশী প্রতিবেশ পর্যটকদের জন্য নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে।

পর্যটকদের ঢল সামাল দিতে ট্যুর অপারেটররা বিলাসবহুলসহ কয়েকশত লঞ্চ, ট্যুরিষ্ট বোটসহ জলযান প্রস্তুত করে রেখেছে। পাশাপাশি সুন্দরবন উপকূলের চলছে জেলে-বনজীবীরা সেরে নিচ্ছেন জাল, নৌকা আর ফিশিং ট্রলারসহ শেষ মূহুর্তের কাজ।

আগামী ৩১ মে পর্যন্ত সুন্দরবনে পর্যটন মৌসুমে ম্যানগ্রেভ এই বনের বন্যপ্রানীদের জীবনাচারে কোন রকম বিরুপ প্রভাব না পড়ে সে বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।

জীববৈচিত্র্যে ভরপুর ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ সাইড (বিশ্ব ঐতিহ্য) সুন্দরবন। বিশ্বের সর্ববৃহত জলাভূমি। সুন্দরবনে রায়েল বেঙ্গল টাইগার চিত্রল ও মায়া হরিণ, কুমির, কিং-কোবরাসহ ৩৭৫ প্রজাতির বন্যপ্রানীর বসবাস। জলভাগে রয়েছে বিশ্ব থেকে হারিয়ে যাওয়া ইরাবতীসহ ৬ প্রজাতির ডলফিন, কুমরসহ ২১০ প্রজাতির মাছ। দিনরাত ২৪ ঘন্টায় ৬ বার রূপ বদলানো এই বনে রয়েছে সুন্দরী পশুরসহ শত শত প্রজাতীর গাছপালা।

বঙ্গোপসাগর কোলে সুন্দরবনে কটকার জামতলা সীবিচে দেখা যায় সূর্যোদয় ও সূর্যান্ত। এসব প্রান-প্রকৃতির টানে দেশ-বিদেশের প্রতিবেশ পর্যটক ছুটে আসে সুন্দরবনে।

গত পহেলা জুন থেকে গোটা সুন্দরবনজুড়ে অধিকাংশ বন্যপ্রানী ও মাছের প্রজনন র্নিবিঘ্ন করতে এক টানা তিন মাস পর্যটক ও বনজীবীদের নিষিদ্ধ থাকার পর  ১ সেপ্টেম্বর ভোর থেকে সবার জন্য উন্মুক্ত করা হচ্ছে। একই সাথে শুরু হচ্ছে সুন্দরবনের ৯ মাসের পর্যটন মৌসুমও। স্বপ্নের সেতু চালুর পর রাজধানী ঢাকা থেকে সড়ক পথে এখন সুন্দরবনের দূরত্ব মাত্র ৩ ঘন্টায় নেমে এসছে। পদ্মা সেতু এবারের সুন্দরবনের পর্যটন মৌসুমে পর্যটকদের জন্য নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে।

সুন্দরবন ভ্রমনে সময় ও দুরুত্ব কমে আসায় মৌসুমের শুরুতেই পর্যটকদের ঢল সামাল দিতে ট্যুর অপারেটররা কয়েকশত বিলাসবহুল লঞ্চ, ট্যুরিষ্ট বোটসহ জলযান প্রস্তুত করে রেখেছে। পাশাপাশি জেলেসহ বনজীবীরা ৩ মাসের কষ্ট ভুলে আবারও নতুন সুন্দরবনে যেতে জাল, নৌকা আর ফিশিং ট্রলার শেষ মূহুর্তের কাজ সেরে নিচ্ছেন।

প্রতি বছর গড়ে প্রায় দুই লাখ দেশ-বিদেশের পর্যটক সুন্দরবন ভ্রমন করলেও এবার এই সংখ্যা দ্বিগুনের কাছাকাছি পৌছাবে বলে আশা করছে বন বিভাগ। পর্যটকদের নিরাপত্তাসহ পর্যটন র্স্পটগুলোতে প্রস্তুত করার পাশাপাশি সুন্দরবন বিভাগ বাঘ হরিণসহ বন্যপ্রানীদের নিরাপত্তা ও তাদের র্নিবিঘ্নে বসবাসের উপর অধিক গুরুত্ব দিচ্ছে।

বন বিভাগের দেয়া তথ্যমতে. এবার সুন্দরবনের পূর্ব বিভাগে মাছ, কাঁকড়া, মধু, গোলপাতা আহরনসহ জেলে বাওয়ালীদের কাছ থেকে সাড়ে ৩ হাজার পাাস-পারমিট (বিএলসি) থেকেও রাজস্ব আয় হবে দ্বিগুন হবে বলে জানিয়েছে।

সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের করমজল বন্যপ্রানী প্রজনন ও পর্যটন কেন্দ্র, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির জানান, বিগত তিন মাস সুন্দরবনে পর্যটক আসা বন্ধ থাকায় সরকারের রাজস্ব কিছুটা কমেছে, তার চেয়ে বেশি উপকার হয়েছে বনের বনজ সম্পদ, বন্যপ্রানীকুলসহ মৎস্য সম্পদের।

বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ও বন্যপ্রানীর বংশ বিস্তারেও সহয়ক হয়েছে। এরপরও সরকারী নির্দেশনায় আজ থেকে সুন্দরবন বনজীবীদের পাশপারমিট চালু ও পর্যটন মৌসুম শুরু হওয়ায় পর্যটকদের তাদের বরণে করমজল বন্যপ্রানী প্রজনন ও পর্যটন কেন্দ্র সব ধরনের প্রস্ততি গ্রহন করা হয়েছে।

বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন জানান, পহেলা সেপ্টেম্বর থেকে আগামী বছরের ৩১ মে পর্যন্ত ৯ মাস ধরে সুন্দরবনে পর্যটন মৌসুমে গত মৌসুমের চেয়ে সংখ্যা দ্বিগুনের কাছাকাছি পৌছাবে বলে আশা করা হচ্ছে। পদ্মা সেতু চালুর পর এখন মাত্র ৩ ঘণ্টায় রাজধানী ঢাকা থেকে সড়ক পথে সুন্দরবনে আসা যাচ্ছে।

হোটেল-মোটেল বুকিংএর বিড়ম্বনা ছাড়াই পর্যটকরা স্বল্প সময়ে কম খরচে দিনের মধ্যেই সুন্দরবন ভ্রমন করে গন্তব্যে ফিরতে পারবে। এসব কারনে মৌসুম শুরুর আগে থেকেই ট্যুর অপারেটর ও পর্যটকরা সুন্দরবন ভ্রমণ করতে বন বিভাগের কাছ থেকে নির্ধারিত রাজস্ব দিয়ে আগাম অনুমতিপত্র নিচ্ছেন।

এমন পরিস্থিতিতে পর্যটকদের ঢল সামাল দিতে পর্যটকদের নিরাপত্তাসহ পর্যটন র্স্পটগুলোতে প্রস্তুত করার হয়েছে। বাঘ হরিণসহ বন্যপ্রানীদের নিরাপত্তা ও তাদের র্নিবিঘ্নে বসবাসের উপর অধিক গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। বন বিভাগের এ কর্মকর্তা জনবল কম থাকায় পর্যটক ও বনজীবীদের সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য সুরক্ষায় সংক্রিয় সহয়তা কামনা করেন ।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)