শিরোনাম:
পাইকগাছা, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

SW News24
মঙ্গলবার ● ২৩ মে ২০২৩
প্রথম পাতা » প্রকৃতি » পাইকগাছায় লতা আমের রং হয়েছে বাদামি সফেদার মত; ক্রেতা নেই
প্রথম পাতা » প্রকৃতি » পাইকগাছায় লতা আমের রং হয়েছে বাদামি সফেদার মত; ক্রেতা নেই
২৬৫ বার পঠিত
মঙ্গলবার ● ২৩ মে ২০২৩
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

পাইকগাছায় লতা আমের রং হয়েছে বাদামি সফেদার মত; ক্রেতা নেই

 --- পাইকগাছায় লতা আম বাদামি ধুসর বর্ণের হয়ে গেছে। লতা আম গাছের সব আম বাদামি ধুসর বর্ণের সফেদার মতন। দেথলে মনে হয় আম গাছে সফেদা ধরেছে। আমের রং ধুসর হওয়ায় আম বিক্রি হচ্ছে না। বাজারে লতা আমের ক্রেতা নেই।

গদাইপুরের বোম্বাই লতা আম অর্থকরী ফসল হিসেবে জনপ্রিয়।তবে এবছর লতা আমে ধুসর বর্ণের হওয়ায আমের কোন ক্রেতা নেই। লতা আমের আর চাহিদা নেই বাজারে ও বিক্রি হচ্ছে না। লতা আমের বাগান মালিক ও ব্যবসাহীরা আম নিয়ে বিপাকে পড়েছে।গাছ থেকে আম পাড়ার খরচ উঠছে না। এর ফলে গাছে আম নষ্ট হচ্ছে।লতা আমের বাগান মালিক গদাইপুরের মোবারক ঢালী বলেন,গাছে সার ঔষধ প্রয়োগ করার পরও লতা আমে ধুসর রঙের হয়েছে। কেউ লতা আম কিনছে না।আম বিক্রি না হওয়ায় অনেক টাকার ক্ষতি হয়েছে।

আম বাদামি ধুসর বর্ণের হওয়া এটা আমের দাদ রোগ বা স্ক্যাব রোগ।আমের স্ক্যাব রোগ হলে কচি আমের গুটি আক্রান্ত হয় ঝড়ে যায় ।আক্রান্ত আমের খোসা বাদামি ধুসর বর্ণের হয়ে যায়, খোসা খসখসে ও কিছুটা ফাটাফাটা মনে হয় ছোট অবস্থায় আক্রান্ত হলে আম ঝরে পড়ে, বড় আমে আক্রমণ থাকলে পুরা আম ধুসর বর্ণে ঢেকে যায়।আমের রং ধুসর হওয়ায় বাজার দর কমে যায়। ---

পাইকগাছা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো: জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বোম্বাই লতার বাদামি ধুসর বর্ণের হওয়া এটা আমের দাদ রোগ বা স্ক্যাব রোগ। আম গুটি অবস্থায় থাকতে কার্বেন্ডাজিম বা ম্যানকোজেব ২ গ্রাম / লি. হারে পানিতে মিশিয়ে ১৫ দিন পরপর ৩-৪ বার স্প্রে করলে আমের ধুসর রং থাকবে না আর  ফলও  ভালো পাওয়া যায়। ফল সংগ্রহ শেষ হলে গাছের মরা ডালপালা, ফলের বোটা, রোগ বা পোকা আক্রান্ত ডাল পালা ও অতিঘন ডাল পালা ছাটাই করে পরিস্কার করে রাখতে হবে।পরিস্কার করার পর একাট ছত্রাক নাশক ও একটি কীটনাশক দ্বারা পুরো গাছ ভালভাবে স্প্রে করতে হবে।

আম বাংলাদেশের সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় এবং উপাদেয় ফল। তাই আমকে ফলের রাজা বলা হয়। বাংলাদেশের প্রায় সব জেলাতেই আম জন্মে। তবে উৎকৃষ্টমানের আম প্রধানত উত্তর পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে যেমন-চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, নাটোর, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, রংপুর, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা,খুলনা, সাতক্ষীরা ও যশোর জেলাতে ভালো জন্মে। তবে গদাইপুর এলাকায় লতা আমের ব্যাপক পরিচিতি ছিলো।লতা  আম এ অঞ্চলে একটি অর্থকরী ফসল হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল।তবে লতা আমের মান নষ্ট হওয়ায় এর চাহিদা ও বিক্রি হচ্ছে না।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)