শিরোনাম:
পাইকগাছা, বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১

SW News24
শনিবার ● ১৮ নভেম্বর ২০২৩
প্রথম পাতা » কৃষি » ঘূর্ণিঝড় মিধিলির তাণ্ডবে বোয়ালিয়া বীজ উৎপাদন খামারে আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে
প্রথম পাতা » কৃষি » ঘূর্ণিঝড় মিধিলির তাণ্ডবে বোয়ালিয়া বীজ উৎপাদন খামারে আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে
১৬৮ বার পঠিত
শনিবার ● ১৮ নভেম্বর ২০২৩
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

ঘূর্ণিঝড় মিধিলির তাণ্ডবে বোয়ালিয়া বীজ উৎপাদন খামারে আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে

---

 ঘূর্ণিঝড় মিধিলির তাণ্ডবে বোয়ালিয়া বীজ উৎপাদন খামারে ক্ষেতের আমন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বৃষ্টি ও ঝড়ের তা-বে ধান মাটিতে পড়ে পানিতে ডুবে থাকায় পাকা ও ধানের কুশি ভরা ফুল ঝরে পড়ে ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় বীজ উৎপাদনে লক্ষ্য মাত্রা পুরণ না হওয়ার আশংখা করছে খামার কতৃপক্ষ।  

গত ১৭ নভেম্বর শুক্রবার ঝড়ে খামারের ৫০ একর জমির ধান ক্ষেত লন্ড ভন্ড হয়ে গেছে। ঝড়ের তাণ্ডবে পাকা ধানের ও ধানের কুশি ভরা ফুল ঝরে পড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। মাটিতে নুয়ে পড়া ধান পানিতে ডুবে থাকায় পরাগায়ন না হওয়া, ধান চিটা ও ধানের কালো কালো দাগ পড়ার সম্ভাবনা খুব বেশি রয়েছে। তাছাড়া কুশি ভরা ধানের ফুল ঝড়ো বাতাসে পড়ে যাওয়ায় পরাগায়ন না হলে চিটা হয়ে যেতে পারে। খামারে আমন ধানের ফলন খুব ভালো হয়েছিল। উপকূলে অবস্থিত এ খামারটিকে লবন পানিসহ বারেবারে প্রাকৃতিক দূরে‌্যাগ মোকাবেলা করে ফসল ফলাতে হয়।---

খামার সূত্রে জানাগেছে, ২০২৩-২০২৪ মৌসুমে খামারে ৬০ একর জমিতে আমন ধানের আবাদ করা হয়েছে। ব্রিধান ৩০ জাতের ৩৪ একর, ব্রিধান ৭৩ জাতের ৪ একর, ব্রিধান ৭৮ জাতের ৪ একর ও বি আর ২৩ জাতের ১৮ একর জমিতে আবাদ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত খামারের ১০ একর জমির ধান কাটা হয়েছে। বাকী ৫০ একর জমির ধান বাসাতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে, পানিতে পড়ে ও কুশি ঝরে ব্যপক ক্ষতির মুখে রয়েছে। এবস্থায় ঝড় হাওয়ায় ধানের পরাগায়ন না হলে ধান চিটা হয়ে যেতে পারে।---

এ বিষয়ে খামারের সিনিয়র সহকারী পরিচালক কৃষিবিদ নাহিদুল ইসলাম  জানান, ঘূর্ণিঝড় মিধিলির  তাণ্ডবে  চলতি মৌসুমে আমন ক্ষেতের ব্যপক ক্ষতি হয়েছে। খামারে ব্রিধান ৭৩ জাতের ৪ একর পাকা ধান পানিতে পড়ে ও বিআর ৩০ জাতের ৩৪ একর  জমির ধান পরিপক্ষ, আধাপরিপক্ষ ও সবে মাত্র ফুল ফুটতে শুরু করেছে। এ অবস্থায় ঝড়ো হাওয়ায় ফুল ঝরে যাওয়ায় পরাগায়ন না হলে ধান চিটা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি রয়েছে। তাছাড়া পুষ্ট না হলে ধান চিটা হবে। ধানের গুনগত মান নষ্ট হবে এতে আশানারুপ বীজ উৎপাদন হবে না বলে তিনি আশঙ্কা করছেন। তিনি আরও বলেন, ২০২৩-২৪ আমন মৌসুমে ৬০ একর জমিতে ৯২টন বীজ ধানের লক্ষমাত্র হলেও বীজ পাওয়া যেতে পারে ৬৫-৭০ টন। তবে ধান কেটে ঝাড়াই করার পর পরীক্ষা করলে সেটা জানা যাবে।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)