শিরোনাম:
পাইকগাছা, সোমবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ অগ্রহায়ন ১৪৩১

SW News24
রবিবার ● ১৪ জানুয়ারী ২০২৪
প্রথম পাতা » আঞ্চলিক » মাগুরায় হাড়কাঁপানো শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত
প্রথম পাতা » আঞ্চলিক » মাগুরায় হাড়কাঁপানো শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত
২০৯ বার পঠিত
রবিবার ● ১৪ জানুয়ারী ২০২৪
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

মাগুরায় হাড়কাঁপানো শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত

---

মাগুরা প্রতিনিধি : মাগুরায় হাড়কাঁপানো শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়েছে । পৌষের শেষ সময়ে মাঘের শুরু শৈতপ্রবাহ বেড়ে যাওয়ায় মানুষের কর্মজীবন স্তবির হয়ে পড়েছে । ভোর থেকে ঘন কুয়াশা সেই সাথে হিমেল হাওয়া বেড়ে যাওয়ায় মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছে না । এদিকে শীতের দাপট বেড়ে যাওয়ার সাথে বেশি ক্ষতির মধ্যে পড়েছে নি¤œ আয়ের খেটে যাওয়া মানুষ

গতকাল রোববার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত সূর্যের কোন দেখা না মেলায় শীতের তীব্রতা ছিল অন্যদিনের চেয়ে খুবই বেশি । সারাদিন ঠান্ডা আর সেই সাথে হিমেল বাতাস বেশি প্রবাহিত হওয়ার ফলে মানুষ শীতে কাতর হয়ে পড়ে । বেলা বাড়ার সাথে সাথে তীব্র শীত উপেক্ষা করে কর্মক্লান্ত মানুষ অফিস-ব্যাংক-বীমা-স্কুল-কলেজ ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ছুটে যায় । শীতে স্কুল-কলেজে শিক্ষার্থীদেও উপস্থিতি অন্যদিনের চেয়ে ছিল কম । শহরে সকালে কম মানুষ বের হলেও বিকালে মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে । অন্যদিকে সদর হাসপাতালে খোজ নিয়ে জানা যায় তীব্র শীতের প্রবাহে শিশুদের ঠান্ডাজনিত রোগ বেড়েছে । শিশু ওয়ার্ডে রোগীর সংখ্যাও বেড়েছে ।

রিক্সাচালক মোহর আলী বলেন,শৈত প্রবাহ বেড়ে যাওয়ায় শহরে মানুষ কম তাই ভাড়াও নেই ।  বর্তমানে নিত্যপূণ্যে দাম বেড়ে যাওয়ায় আমাদের সংসার চলে না । তাই শীত উপেক্ষা করেই রিক্সা চালাতে হচ্ছে।আগে বেশি শীতে রিক্সা চালাতাম না কিন্তু এখন আয় কম থাকার কারণে কাজ করতে হচ্ছে ।

রাজমিস্ত্রী সবুজ বলেন,শীত বেড়ে যাওয়ার কারণে আজ দুদিন কাজে যায়নি । শীতের সাথে বাতাসের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ার ফলে কাজ করতে খুবই কষ্ট হচ্ছে । আর আমাদের কাজতো ইট বালির তাই শীত না কমলে কাজ করবো না ।

সংবাদপত্র বিক্রেতা অসিত জানান, আমাদের ভোর থেকে কাজ শুরু হয় । এ কয়েকদিন ঘন কুয়াশা আর শৈত প্রবাহ বেশি থাকার কারণে আমরা কাজে খুবই কষ্ট পাচ্ছি । আজ রোববার এ শীতের প্রবাহ বেশি থাকার কারণে ভোর থেকে বাইসাইকেল নিয়ে সংবাদপত্র বিলি করতে বেগ পেতে হচ্ছে । যদি এ রকম আরো কয়েকদিন থকে তাহলে আমাদের কাজে ব্যাহত হবে । আবার বেশি শীতে অনেক হকার কাজে আসছে না । এতে মালিকের অনেক ক্ষতি হচ্ছে ।

স্কুলশিক্ষক জাহিদুল আলম বলেন,পৌষের শেষে শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় আমাদের স্কুলে শিক্ষার্থীদের অনেক কষ্ট হচ্ছে । আমাদের প্রাইভেট স্কুলগুলোতে সাধারণত সকাল থেকে ক্লাস শুরু হয় । তাই শীতের তীব্রতা ও হিমেল বাতাস বেশি প্রবাহিত থাকার কারণে স্কুল  আসতে বেগ পেতে হচ্ছে ।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)