শিরোনাম:
পাইকগাছা, মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫, ১৪ শ্রাবণ ১৪৩২

SW News24
মঙ্গলবার ● ২৯ জুলাই ২০২৫
প্রথম পাতা » কৃষি » পাট চাষে সোনালী স্বপ্ন দেখছেন মাগুরার কৃষকরা
প্রথম পাতা » কৃষি » পাট চাষে সোনালী স্বপ্ন দেখছেন মাগুরার কৃষকরা
৩৯ বার পঠিত
মঙ্গলবার ● ২৯ জুলাই ২০২৫
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

পাট চাষে সোনালী স্বপ্ন দেখছেন মাগুরার কৃষকরা

---শাহীন আলম তুহিন,মাগুরা থেকে :এবার আবহাওয়া  অনুকূলে থাকায় পাট চাষে  সোনালী স্বপ্ন দেখছেন জেলার কৃষকরা। এবার লক্ষ্যমাত্রা চেয়ে পাটের উৎপাদন  বেশি হবে বলে জানিয়েছেন জেলার কৃষকরা। আষাঢ় মাসের শেষে শ্রাবণের শুরুতে জেলার কৃষকরা  পাট কাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন এখন। মাগুরার মাঠে মাঠে সর জমিন ঘুরে দেখা গেছে কৃষকরা পাট কাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন । আবার অনেকে পাট কেটে জাগ দেওয়ার জন্য নদী অথবা  খাল বিলে নিয়ে যাচ্ছেন।

কৃষি বিভাগ বলছে, এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায়  পাটের উৎপাদন দ্বিগুণ হবে। ইতিমধ্যেই জেলার কৃষকরা পাট কাটার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এবার জেলায় মোট ৩৪ হাজার ৬৭ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। তার মধ্যে সদরে ১০ হাজার ২শ হেক্টর,শ্রীপুরে ৯ হাজার ১ শ হেক্টর, মহম্মদপুরে ১০ হাজার ২৫০ হেক্টর    ও শালিখায় ৩ হাজার ৮শ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে।

মাগুরা সদরের বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের পাট চাষী নাজিমুদ্দিন জানান, আমি ২ বিঘা  জমিতে পাট চাষ করেছি। ইতি মধ্যে  আমার জমির ৬০ শতাংশ পাট কেটে  জাগ দিয়েছি। এবার আষাঢ় ও শ্রাবণ মাসের প্রচুর বৃষ্টিপাত হয় খালে বিলে ও নদীতে  প্রচুর পানি হয়েছে তাই পাট জাগ দিতে আমাদের কষ্ট হচ্ছে না। আশা করছি এবার পাটে  ভালো ফলন পাব।

মাগুরা সদরের  জগদল গ্রামের  পাট চাষী কবির হোসেন জানান, এবার আবহাওয়া ভালো থাকায়    পাটের ভালো ফলন হয়েছে। আমার জমির পাট কাটা চলছে। আমি পাট কেটে পার্শ্ববর্তী খালে বিলে জাগ দিয়েছি। আশা রাখছি গতবারের চেয়ে   এবার ভালো  অর্থ   পাব।

সদরের নরসিংহহাটি গ্রামের কৃষক  জামিল হোসেন বলেন,পাট চাষে পরিশ্রম বেশি খরচ বেশি। গতবারের থেকে এবার অল্প জমিতে পাটের আবাদ করেছি। আমার জমির পাট কাটা শেষ। আমি নদীতে জাগ দিয়েছি।

সদরের  শ্রীরামপুর গ্রামের কৃষক মারুফ হোসেন জানান, আমি বরাবরই পাটের আবাদ করি।   এবার তিন বিঘা জমিতে  চাষ করেছি। ইতিমধ্যে ২ বিঘা জমির পাট কাটা শেষ হয়েছে। এবার প্রচুর বৃষ্টিপাত হয় পাটের আবাদ লক্ষ্যমাত্রা চেয়ে ছাড়িয়ে যাবে। তাই গতবারের থেকে এবার ভালো ফলন পাব।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক তাজুল ইসলাম বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় পাটের আবাদ ভালো হয়েছে।  এবার জেলার ৫ হাজার ৬০০ জন কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বীজ সার বিতরণ করা হয়েছে। নির্দিষ্ট সময় বৃষ্টিপাত হওয়ায় জেলার কৃষকরা পাট কেটে নদী খালে বিলে জাগ  দিতে শুরু করেছে। আশা করছি জেলার কৃষকরা এবার পাটে লাভবান হবে।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)