

শনিবার ● ২৩ আগস্ট ২০২৫
প্রথম পাতা » কৃষি » পাইকগাছায় আউশের বাম্পার ফলন হলেও ক্ষেত-খামারে চার আনাই নষ্ট
পাইকগাছায় আউশের বাম্পার ফলন হলেও ক্ষেত-খামারে চার আনাই নষ্ট
প্রকাশ ঘোষ বিধান, পাইকগাছাঃ পাইকগাছায় আউশের বাম্পার ফলন হলেও ক্ষেত-খামারে চার আনাই নষ্ট হয়েছে। এক টানাবৃস্টির কারণে ক্ষেতে খামারে চার আনা ধান- বিচুলী নষ্ট হয়ে গেছে। আউশের ক্ষেত ভরা সোনা রংগের ধান ঘরে তুলতে না পারায় কৃষকরা হতাশ ও ক্ষতিগ্রস্থ।
পানি ভর্তি ধান ক্ষেতে কর্তন ও উঠানোর সময় ভিজা ধান ঝরেছে, উচু জায়গা না পাওয়ায় পিচের রাস্তায় ধান জড়ো করে ঢ়েকে রাখায় গরমে ভিতরের ধানে অঙ্কুরোদগম হয়ে ধান নষ্ট হয়েছে। ভিজা ধান ঠিক মত ঝাড়াই ও রোদে শুকাতে পারেনি, এতে কৃষকের বাম্পার ফলন আউশ ধান ক্ষেতে খামারে চার আনাই নষ্ট হয়ে গেছে। ধানের ভিজা বিচুলী বৃস্টিতে ভিজে পচে গেছে। উচ্চ মূল্যে শ্রমিক নিয়ে ধান কাটা, ঝাড়াই ও মাড়াইতে খরচ বাড়ায় কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। উপজেলার হিতামপুর ব্লকের কৃষক হামিদ মোড়ল জানান, আউশ ধান খুব ভালো হয়েছিলো, কিন্তু অতিবৃস্টির করাণে সোনার ধান ঘরে তুলতে পারলাম না। অনেক ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে আমনের জন্য তৈরি বীজতলা পানিতে নষ্ট হওয়ায় চারার সংকটে পড়েছেন কৃষকেরা। আউশের ক্ষেত ও আমনের বীজতলা তলিয়ে যাওয়ায় হুমকির মুখে পড়েছে কৃষকরা। অন্য জেলা থেকে চারা সংগ্রহের সুযোগ থাকলেও দাম লাগামহীন। ফলে চারা সংগ্রহ করতে পারেননি অনেকে। এবার রোপা আমনের ফলন না হলে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হবেন কৃষকেরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ মৌসুমে উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে ৪টি ইউনিয়ন গদাইপুর, হরিঢালী, কপিলমুনি, রাড়ুলী ও পৌরসভায় ১শত ১৫ হেক্টর জমিতে আউশের আবাদ হয়েছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো: একরামুল হোসেন জানান, আউশ ধানের ফলন ভাল হয়েছিলো। তবে অতিবৃস্টিতে কৃষকদের ধান কর্তন, ঝাড়াই করা ও বিচুলী শুকাতে না পারায় আউশ আবাদে তারা কিছুটা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।