

বৃহস্পতিবার ● ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
প্রথম পাতা » কৃষি » ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় বিনামূল্যে মাষকলাই বীজ ও সার পেয়ে কৃষকের মুখে হাঁসি
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় বিনামূল্যে মাষকলাই বীজ ও সার পেয়ে কৃষকের মুখে হাঁসি
এ এইচ অনিক প্রতিনিধিঃ ‘কৃষিই সমৃদ্ধি’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা খরিপ-২ মৌসুমে মাষকলাই উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টায় উপজেলা কৃষি অফিস প্রাঙ্গণে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে কৃষকদের হাতে এসব উপকরণ তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে প্রতিজন কৃষকের মাঝে ৫ কেজি বারি মাষকলাই বীজ, ১০ কেজি ডিএপি সার এবং ৫ কেজি এমওপি সার দেওয়া হয়। এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন করেছে আলফাডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাসেল ইকবাল। তিনি বলেন, কৃষকদের সমৃদ্ধিই আমাদের দেশের সমৃদ্ধি। কৃষকদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। সরকার কৃষিখাতের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। মাষকলাই উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য এই প্রণোদনা কর্মসূচি তারই একটি অংশ। আমরা আশা করি এই উপকরণগুলো ব্যবহার করে কৃষকরা ভাল ফলন পাবেন এবং তাদের আর্থিক অবস্থার উন্নতি হবে। তিনি আরও বলেন, কৃষি উৎপাদন বাড়লে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ তুষার সাহা অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ও তার বক্তব্যে বলেন, “মাষকলাই একটি লাভজনক ফসল। এতে খরচ কম এবং ফলন ভাল হয়। কৃষকদের উৎসাহিত করতে এবং উৎপাদন বাড়াতে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ করা হচ্ছে। আমরা কৃষকদের সব ধরনের কারিগরি সহায়তা দেবো, যাতে তারা সঠিক পদ্ধতিতে চাষ করে সর্বোচ্চ ফলন পেতে পারেন। তিনি বলেন, এই উদ্যোগের ফলে মাষকলাই চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়বে এবং এ অঞ্চলের কৃষকরা বিশেষভাবে উপকৃত হবেন। প্রণোদনা পেয়ে কৃষকরা তাদের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, এমনিতেই সারের দাম বেশি, তার ওপর ভাল বীজের অভাব ছিল। সরকার থেকে বিনামূল্যে এগুলো পাওয়ায় আমাদের অনেক উপকার হলো। এখন আমাদের খরচ অনেক কমে যাবে। মাষকলাই চাষ করে ভাল লাভ হয়। কিন্তু অনেক সময় টাকার অভাবে ঠিকমতো সার-বীজ কেনা হয় না। সরকারের এই সহযোগিতা আমাদের জন্য একটা বড় ভরসা। এই উদ্যোগের ফলে আলফাডাঙ্গার কৃষকদের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে। আশা করা যায়, এই প্রণোদনা কর্মসূচি সফল হলে আগামী মৌসুমে মাষকলাই উৎপাদন উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে।