

শনিবার ● ৪ অক্টোবর ২০২৫
প্রথম পাতা » মুক্তমত » বিজয় দশমীতে দেবী দুর্গার চরণে সিঁদুর নিবেদন উৎসব
বিজয় দশমীতে দেবী দুর্গার চরণে সিঁদুর নিবেদন উৎসব
মহা ধুমধামে অঞ্জলি, আরতি, পূজা–অর্চনায় বিজয়া দশমীর মধ্য দিয়ে শেষ হয় বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব। দশমীর শেষে বা বিজয়া দশমীর দিনে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা দেবী দুর্গার চরণে সিঁদুর নিবেদন করে সিঁদুর উৎসব পালন করেন। যা সিঁদুর খেলা নামে পরিচিত। এই উৎসবে সকলে একে অপরের কপালে ও চিবুকে দেবীর চরণে লাগানো সিঁদুর লাগিয়ে দেন, যা আনন্দ ও মিলনের প্রতীক।
হিন্দু ধর্মে সিঁদুরের প্রতীকী মানে কপালে সিঁদুর দিলে নাকি ব্রহ্মার অধিষ্ঠান ঘটে, এই বিশ্বাস থেকেই এই রীতির শুরু। বিজয়া দশমী মানেই বিদায়ের কষ্ট। মা চলে যাচ্ছেন, এটা মানতে কষ্ট হয়। সেই কষ্টকে একটু হালকা করতে, নারীরা একে অন্যকে রাঙিয়ে তোলেন লাল সিঁদুরে।
এই সময় দেবী দুর্গাকে কন্যারূপে দেখা হয়, যিনি বাপের বাড়ি থেকে শ্বশুরবাড়ি, মানে কৈলাসে ফিরছেন। তাকে সিঁদুর পরিয়ে যেন বলা হয়, তোমার দাম্পত্য জীবন হোক সুখী ও মঙ্গলময়। এই ভাবনারই ছোঁয়া পড়ে নারীদের মধ্যে। বিবাহিত নারীরা একে অপরকে সিঁদুর দিয়ে প্রার্থনা করেন ঘর-সংসার যেন অটুট থাকে, ভালোবাসা চিরকাল টিকে থাকে।
দেবী দুর্গার প্রতিমাকে বিসর্জন দেওয়ার একটি বিশেষ অংশ, যেখানে ভক্তরা দেবীকে বিদায় জানান এবং নতুন বছর শুভ হোক এই কামনা করেন। এই দিনে সবাই আনন্দে মেতে ওঠেন এবং একে অপরের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। সিঁদুর উৎসব দুর্গাপূজার এক গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহ্য, যা আনন্দ ও ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটায়। বিসর্জনের আগে একটি দর্পণ বা প্রতিমার সামনে রাখা আয়নায় দেবী দুর্গার প্রতিবিম্ব দেখে পূজা সম্পন্ন করা হয়। এরপর, দেবীর চরণে থাকা সিঁদুর নিয়ে সকলে একে অপরের কপালে ও চিবুকে লাগিয়ে দেন। এই উৎসব সাধারণত ঢাকের তালে মুখরিত থাকে এবং এতে ভক্তদের অনেক ভিড় দেখা যায়।