শিরোনাম:
পাইকগাছা, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২

SW News24
সোমবার ● ১৩ অক্টোবর ২০২৫
প্রথম পাতা » ব্যবসা-বাণিজ্য » পাইকগাছায় জাগ দিয়ে পাকানো কলার চাহিদা বাড়ছে
প্রথম পাতা » ব্যবসা-বাণিজ্য » পাইকগাছায় জাগ দিয়ে পাকানো কলার চাহিদা বাড়ছে
৫১ বার পঠিত
সোমবার ● ১৩ অক্টোবর ২০২৫
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

পাইকগাছায় জাগ দিয়ে পাকানো কলার চাহিদা বাড়ছে

---প্রকাশ ঘোষ বিধান  ঃ পাইকগাছায় রাসায়নিক মুক্ত জাগ দিয়ে পাকানো কলার চাহিদা বাড়ছে। কার্বাইডে পাকানো ফলের স্বাদ ভালো হয় না আবার স্বাস্থ্যের পক্ষেও প্রচণ্ড ক্ষতিকর। রাসায়নিকভাবে পাকানো ফলের মধ্যে উপস্থিত খনিজ ও পুষ্টিগুলো সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যায়। আর ফলে আর্সেনিক ও ফসফরাসের মতো বিষাক্ত উপাদান ভরে যায়। প্রাকৃতিক উপায়ে পাকানো ফলের মিষ্টি ঘ্রাণ বা রসাল স্বাদ এই সময়ে অন্যতম আকর্ষণ। তাই প্রাকৃতিক উপায়ে জাগ দিয়ে পাকানো কলায় কার্বাইড না থাকায় চাহিদা বাড়ছে।

একটি এয়ারটাইট ছোট কুঠুরি বা তন্দুরের ভিতর কাঁচা কলা রেখে কুপি বা স্টোভের হাল্কা আগুন জ্বালিয়ে মুখ বন্ধ করে কিছুক্ষণ রেখে কলা বের করা হয় এবং হিটে কলা পাকা শুরু হয়। এটাকেই জাগ দেয়া বলা হয়।

জাগ দিয়ে ফল পাকানো একটি বিশেষ প্রক্রিয়ায়, যেমন একটি বদ্ধ ঘরে হালকা আগুনের সাহায্যে বা অন্য কোনো উষ্ণ পরিবেশে রেখে ফলকে কৃত্রিমভাবে পাকানো। এই পদ্ধতিতে সাধারণত কাঁচা ফলকে দ্রুত পাকার জন্য ব্যবহার করা হয়, যা বাণিজ্যিকভাবে বা বাজারে বিক্রির জন্য করা হয়ে থাকে। যেহেতু বাণিজ্যিকভাবে গাছপাকা কলা বাজারজাত করা সম্ভব নয়। বাজারজাত করা পাকা কলার বেশিরভাগই জাগ দিয়ে পাকানো।

পাইকগাছার নতুন বাজারের কলা ব্যবসায়ী মোঃ মিজানুর বিশ্বাস তার কলার আড়ত ঘরে প্রাকৃতিক উপায়ে কলা পাকানোর জন্য ছোট কুঠুরি তৈরি করেছেন। কুঠুরি ঘরে কলা সাজিয়ে ভিতরে মাটির মালসায় তুষের আগুন জ্বেলে রাখে এবং ছোট দরজা মুখ মোটা বস্তা দিয়ে বন্ধ করে রাখেন। প্রতি দিন সকালে জাগ দেওয়া কলা বের করে আবার নতুন কলা জাগে দেন। জাগে দেওয়া কলা বাহিরে বাতাসে রাখলে পেকে মন কাড়া হলুদ রং ধারণ করে।

কলা ব্যবসায়ী মোঃ মিজানুর বিশ্বাস জানান, আঠার মাইল ও কপিলমুনি বাজার থেকে ২২ থেকে ২৫টাকা দরে পুষ্ট কাচা কলা কিনে আনে জাগ দিয়ে পাকিয়ে পাইকারি ও খুচরা বিক্রি করেন। পাইকারি ২৭-২৮ টাকা দরে আর খুচরা ৩০ টাকা দরে বিক্রি করেন। তার কলা কেমিক্যাল মুক্ত জাগ দিয়ে পাকানোয় ক্রেতায় নির্ভয়ে কিনছে। তাছাড়া বোয়ালিয়া মোড়, মানিকতলা বাজারে লতিফ, রজ্ঞুসহ ৪-৫ জন কলা ব্যবসায়ী জাগ দিয়ে কলা পাকিয়ে বাজার জাত করছে। বিক্রি ও চাহিদাও বাড়ছে।

প্রতিদিন সকালে জাগ দিয়ে পাকানো কলা ব্যবসায়ীরা পাইকারি কিনে নিয়ে খুচরা বিক্রি করছে। রাসায়নিক মুক্ত জাগ দিয়ে পাকানো কলায় স্বাস্থ্য ঝুকি নেই।

উপজেলা স্যানিটারী ইন্সপেক্টর ও নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক উদয় কুমার মন্ডল বলেন, কার্বাইড দিয়ে পাকানো ফল বা কলা  স্বাস্থ্যের পক্ষে প্রচণ্ড ক্ষতিকর। কার্বাইড মুক্ত কলা পাকানোর জন্য আমি ব্যবসায়ীদের উদ্বুদ্ধ করে জাগ দেয়া ঘর ছোট কুঠুরি তৈরি করিয়েছি। পাইকগাছা থেকে কার্বাইড মুক্ত করা হয়েছে এবং তদারকিও অব্যহত রয়েছে।





আর্কাইভ