বুধবার ● ৩০ আগস্ট ২০১৭
প্রথম পাতা » কৃষি » মাগুরায় শেষ মুহুতে জমে উঠেছে কোরবানীর গরু হাট ক্রেতাদের চাহিদার শীর্ষে
মাগুরায় শেষ মুহুতে জমে উঠেছে কোরবানীর গরু হাট ক্রেতাদের চাহিদার শীর্ষে
এস আলম তুহিন ,মাগুরা থেকে :
মাগুরায় শেষ মুহুতে জমে উঠেছে কোরবাণীর গরু হাট। প্রতিটি হাটে উঠছে ছোট-বড় মাঝারী সাইজের হাজার-হাজার গরু। তবে দাম নিয়ে খুশি নয় কোন পক্ষই। ক্রেতারা বলছেন, দাম বেশী। তবে স্থানীয় ক্রেতাদের পাশাপাশি বিভিন্ন জেলা থেকে আসা ব্যাপারীদের কাছে চাহিদার সৃষ্টি করেছে গৃহস্থদের পালা স্বাস্থ্য সম্মত দেশী জাতের গরু। যা স্থানীয় পশু হাটগুলোতে সকলের কাছে ‘টাইট গুরু’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।
কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে মাগুরা বিভিন্ন এলাকায় বসেছে গরুর হাট। তবে সদরের পুলিশ লাইনের পেেশ ইটখোলা , রামনগর, কাটাখালী, ইটখোলা বাজার, আলমখালী, শত্রুজিৎপুর, মহম্মদপুরের বেথুলিয়া, বেথুলিয়া, নহাটা, শালিখার আড়পাড়া, সীমাখালী, বুনাগাতী ও শ্রীপুর উপজেলার লাঙ্গলবাধ, সারঙ্গদিয়ায় বসেছে জেলার বড়- বড় কোরবানীর গরুর হাট। এসব হাটে উঠেছে ছোট-বড় সাইজের বিভিন্ন জাতের শত-শত গরু। সাধারণ ক্রেতাদের পাশাপাশি ব্যাপারীদের নজর কেড়েছে গৃহস্থদের পালা মাঝারী সাইজের ক্যামিকেল মুক্ত দেশী গরু। মাগুরার পশু হাটগুলো যা পরিচিতি পেয়েছে টাইট গরু হিসেবে।
রামনগর, কাটাখালী, ইটখোলা বাজার পশু হাট ঘুরে দেখা গেছে, ক্রেতাদের চাহিদার শীর্ষে থাকা এ ধরনের টাইট গরু ৬৫ থেকে ১১০ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কোরবানীর জন্য কিনতে আসা অধিকাংশ ক্রেতাকেই দেখা গেছে এ ধরনের গরু কিনে বাড়ি ফিরতে।
মাগুরা হাসপাতাল পাড়া এলাকার তুষার আলম জানান, তিনি কাটাখালী হাট থেকে ৭০ হাজার টাকায় গৃহস্থতর পালা একটি টাইট গরু কিনেছেন। দাম একটু বেশি মনে হলেও কেমিক্যাল মুক্ত স্বাস্থ্য সম্মত গরু কিনতে পেরে তিনি খুশি। জগদল এলাকা সাইফুল ইসলাম জানান, তার পালা মাঝারী সাইজের দুইটি টাইট গরু কাটাখালী হাটে এনে প্রথম দিনেই বিক্রি করতে পেরেছেন। তবে গুরুর খাবারের দাম বেশি হওয়ায় তিনি বেশি লাভ করতে পারেনি বলে জানান।
সাইদুর রহমান নামে এক ব্যাপারী বলেন, বাইরের জেলাগুলোতে মাগুরার ক্যামিকেল মুক্ত মাঝারী সাইজের গরু ব্যাপক চাহিদা। তিনি কাটাখালী রামনগর হাট থেকে এ ধরনের ২০ টি গরু কিনেছেন। যা সিলেট নিয়ে বিক্রি করে লাভবান হবেন বলে জানান।
তবে হাটগুলোতে বড় সাইজের গরু নিয়ে আসা খামারীরা পড়েছেন বিপাকে। বেশি দামের অজুহাতে ক্রেতারা এ ধরনের বড় গরুর কাছে ভিড়ছেন না। খাবারের উচ্চ মূল্যর কারনে গরু প্রস্তুত করতে তাদের যে খরচ হয়েছে সে দামে গরু বিক্রি হচ্ছে না।
শৈলকুপা থেকে আসা খামারী আবুল হোসেন জানান- তিনি হাটে বড় সাইজের চারটি গরু এনেছেন। প্রতিটি গরু এক লাক্ষের উপরে দাম চেয়েছেন। ক্রেতারা একটির দাম ৮৫ হাজার ও অপরটির দাম দিয়েছে এক লক্ষ ১০ হাজার টাকা। খারারসহ উপকরনের উচচ মূল্যর কারনে দেড় লাক্ষের নিচে বেচলে তার খরচের টাকা উঠবে না।
আবুল কালাম নামে অপর খামারী জানান- কোরবানী সামনে রেখে বড় সাইজের ১৫ টি গরু প্রস্তুত করেছেন। ছোট গরুর চাহিদা থাকলেও কোন হাটেই ক্রেতারা তার বড় গরুর উপর্যুক্ত দাম বলছে না। সব ক্রেতা-বিক্রেতায় মাঝারি সাইজের টাইট গরুর দিকে ছুটছেন। যে কারনে তাকে ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়তে হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, ভারতীয় গরু আমদানীর ফলে দেশী খামারীরা ব্যাপকভাবে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে।
মাগুরা সদরের রামনগর, কাটাখালী হাট ইজারাদার নূরে আলম সিদ্দিকী দিপু জানান, হাটের শেষ মুহুতে ৬০-৭৫ হাজার টাকা দামে মাঝারি সাইজের দেশী গরু বেশি বিক্রি হচ্ছে। বড় সাইজের গরুর চাহিদা কম।