শিরোনাম:
পাইকগাছা, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২

SW News24
সোমবার ● ২৫ জুন ২০১৮
প্রথম পাতা » কৃষি » উপকূলের লবণাক্ত মাটিতে মাল্টার আবাদ ও নার্সারী করে সফলতা পেয়েছে পাইকগাছার আক্তারুল গাজী
প্রথম পাতা » কৃষি » উপকূলের লবণাক্ত মাটিতে মাল্টার আবাদ ও নার্সারী করে সফলতা পেয়েছে পাইকগাছার আক্তারুল গাজী
৫৯৫ বার পঠিত
সোমবার ● ২৫ জুন ২০১৮
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

উপকূলের লবণাক্ত মাটিতে মাল্টার আবাদ ও নার্সারী করে সফলতা পেয়েছে পাইকগাছার আক্তারুল গাজী

---
এস ডব্লিউ নিউজ ॥
উপকূলের লবণাক্ত পাইকগাছার মাটিতে মাল্টা চাষ ও নার্সারী করে সফল হয়েছেন কৃষক আক্তারুল গাজী। তিনি এক বিঘা জমিতে মাল্টা বাগান ও আরো এক বিঘায় মাল্টা চারা তৈরী করেছেন। উপজেলা গদাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে তার মাল্টা বাগান ও নার্সারী। মেইন সড়কের সাথে মালটা বাগান করায় তাড়াতাড়ি পরিচিতি ছড়িয়ে পড়েছে। উপকূলের লবণাক্ত মাটি ও বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে মাল্টা চাষ করে তিনি ব্যাপক সফলতা অর্জন করেছে। এ মৌসুমে প্রায় ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকা মাল্টা ও প্রায় ৮ লক্ষ টাকা মাল্টার চারা বিক্রির সম্ভাবনা রয়েছে। এখনো গাছে প্রচুর পরিমাণ মাল্টা ফল ধরেছে। তার একক প্রচেষ্টায় এ সফলতা অর্জন করেছেন।
জানাগেছে, পাইকগাছা উপজেলার গদাইপুর গ্রামে আক্তারুল গাজীর বাড়ী। তিনি গদাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে দীর্ঘদিন যাবৎ ৭-৮ বিঘা জমি লিজ নিয়ে বিভিন্ন ফলদ ও উদ্ভিত জাতীয় বৃক্ষের নার্সারী গড়ে তুলেছে। ৫-৬ বছর পূর্বে এলাকার নার্সারী মালিক আমিন দপ্তরী তার নার্সারী ব্যবসা বন্দ করে দিলে তার নার্সারী থেকে আক্তারুল কিছু মাল্টার চারা ক্রয় করে নিজের নার্সারীতে রোপন করে। গত ৩-৪ বছরে তিনি প্রায় ১ বিঘা জমিতে নার্সারী বাগান ও ১ বিঘা জমিতে নার্সারীর চারা তৈরী করে আসছে। তার বাগানে বিগত ২ বছর মাল্টা ধরলেও আশানুরুপ বিক্রি হয়নি। তার কারণ নার্সারীতে চারা ক্রয় করতে আসা ক্রেতারা মাল্টা ফল বিনা মূল্যে নিয়ে যেত। এ বছর তার খেতে ব্যাপক ফলন হয়েছে। নার্সারী থেকে চারা ক্রয় করতে আসা ক্রেতারা বিনামূল্যে অনেক মাল্টা ফল নিয়ে যাচ্ছে। আক্তারুল নার্সারীর ব্যবসার পাশাপাশি লবণাক্ত মাটিতে মাল্টা বাগান তৈরী করে ব্যাপক সফলতা অর্জন করেছে। তিনি জানান, তার ১ বিঘা মাল্টা বাগানে প্রায় ৩শ মাল্টা গাছ রয়েছে। তার নার্সারী থেকে ১ ফুট উঁচু একটি মাল্টার চারা ২৫ টাকা ও ৫/৬ ফুট চারা প্রায় ৫শ থেকে ৬শ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তার দেখাদেখি বিভিন্ন নার্সারীতে মাল্টার ক্ষেত তৈরী হচ্ছে এবং এলাকার বিভিন্ন বাড়ীতে মাল্টার চারা লাগানো হয়েছে। পাকা মাল্টা খেতে খুবই সুস্বাদু। তবে কাঁচা মাল্টা ফলও খেতে ভাল লাগে। কারণ টক লাগে না। মাল্টা ফলের প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে। মাল্টা ফল কেজি প্রতি দেড়শত টাকা থেকে ১৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ এএইচএম জাহাঙ্গীর আলম জানান, উপজেলার গদাইপুর এলাকার বিভিন্ন বাড়ীতে মাল্টার গাছ রয়েছে। তাছাড়া ফলদ বৃক্ষ মেলায় কৃষি অফিস চত্ত্বর থেকে মাল্টার চারা বিক্রি হয়েছে। এ বছর উপজেলা থেকে ১১শ ২৫টি চারা বিতরণ করা হয়েছে এবং গদাইপুর অঞ্চলের যে সকল আম ক্ষেত কেটে ফেলা হয়েছে, সে এলাকায় ১৫টি মাল্টার বাগান তৈরী করা হয়েছে। তাছাড়া কৃষি অফিস থেকে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে মাল্টা গাছ লাগানোর জন্য কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।





আর্কাইভ