শিরোনাম:
পাইকগাছা, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫, ১৩ আষাঢ় ১৪৩২

SW News24
বৃহস্পতিবার ● ১৪ নভেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » কৃষি » ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে বোয়ালিয়া বীজ উৎপাদন খামারে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
প্রথম পাতা » কৃষি » ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে বোয়ালিয়া বীজ উৎপাদন খামারে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
৪৮২ বার পঠিত
বৃহস্পতিবার ● ১৪ নভেম্বর ২০১৯
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে বোয়ালিয়া বীজ উৎপাদন খামারে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

---

এস ডব্লিউ নিউজ ॥

ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে পাইকগাছার বোয়ালিয়া বীজ উৎপাদন খামারে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমন ধান পানিতে তলিয়ে, হেলেপড়ে, গাছ উপড়ে পড়ে, সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে, গাড়ির গ্যারেজ ও পুরাতন অফিস ঘর ভেঙ্গে লন্ডভন্ড হয়ে পড়েছে খামার। গত ৭ নভেম্বর থেকে একটানা বৃষ্টি শুরু হলে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত পানিতে তলিয়ে থাকে খামারের আমন ধান।

খামার সূত্রে জানাগেছে, চলতি আমন মৌসুমে খামারে বিআর ২৩ জাতের ১০ একর, ব্রি-ধান ৩০ জাতের ২৫ একর, ব্রি ধান ৭৩ জাতের ৫ একর ও ব্রি ধান ৮০ জাতের ৩ একর আবাদ হয়েছে। সর্বমোট ৪৮ একর জমিতে আমন ধানের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে পানিতে তলিয়ে ব্রিধান ১৯.৩০ একর, ব্রি ধান ৭৩ জাতের ২.৩০ একর,  ব্রিধান ৮০ জাতের ৩ একর ও বিআর ২৩ জাতের ১০ একর ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। নাবিতে লাগানো ব্রি ধান ১০ একর জমিতে লাগানো ধানে সবে ফুল এসেছে এমন সময় ঝড় বৃষ্টিতে ফুল ঝরে ও ধান মাটিতে পড়ে গেছে। এ ধানের বেশিরভাগ চিটা হবে বলে জানাগেছে। খামারে সর্বমোট ৩৪.৬০ একর জমির ধান ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তাছাড়া ৬টি বড় নারিকেল, ৩টি বাবলা গাছ ভেঙ্গে পড়েছে, ২৮টি উন্নত জাতের ভিয়েট নামের নারিকেল গাছ উপড়ে পড়েছে, বড় একটি মেহগনি গাছ উপড়ে পড়ে সীমানা প্রাচীরের ১৮ ফুট জায়গা ভেঙ্গে গেছে। গ্যারেজের উপর মেহগনী গাছ ভেঙ্গে টিনের চাল ভেঙ্গে গেছে। পুরাতন অফিসের লম্বু গাছ ভেঙ্গে পড়ায় দেওয়াল ও ছাঁদ ভেঙ্গে গেছে। তাছাড়া ২টি পুকুর প্লাবিত হয়ে বিপুল পরিমাণ মাছ পানিতে ভেসে গেছে। এ বিষয়ে খামারের সিনিয়র সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ কামাল উদ্দীন মোল্লা জানান, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে একটানা কয়েক দিনের বৃষ্টিতে শুক্রবার সকাল থেকে খামারে ধান তলিয়ে যায় এবং রবিবারে খামারে পানি নিস্কাষন হয়। উল্লেখ্য, খামার ও পাশের গ্রামের পানি নিষ্কাসনের একমাত্র পথ খামার ভিতরের ক্যানেল। এই ক্যানেল দিয়ে পানি কপোতাক্ষ নদে পতিত হয়। সে কারণে খামারের বাইরের গ্রামের পানি খামার ভিতর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় ধানের বেশি ক্ষতি হয়েছে ও পানি সরতেও দেরি হয়েছে। চলতি মৌসুমে আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ফুল ফুটেছে এমন ১০ একর ধান পানিতে ডুবে ও পড়ে যাওয়ায় প্রায় সব ধানেই চিটা হয়ে যাবে। বীজ উৎপাদনে লক্ষমাত্রা পুরণতো হবেই না উৎপাদিত ধান কেমন হবে তা ধান কেটে পরীক্ষা করার পরে জানা যাবে।

 





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)