শিরোনাম:
পাইকগাছা, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

SW News24
শুক্রবার ● ৪ জুন ২০২১
প্রথম পাতা » উপকূল » আশ্রয়কেন্দ্র থেকে ঘরে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ
প্রথম পাতা » উপকূল » আশ্রয়কেন্দ্র থেকে ঘরে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ
৪৫২ বার পঠিত
শুক্রবার ● ৪ জুন ২০২১
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

আশ্রয়কেন্দ্র থেকে ঘরে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ

---

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা,খুলনাঃ
‘খেয়ে না খেয়ে অনেক কষ্টে আশ্রয় কেন্দ্রে দিন পার করেছি। চারিদিকে পানি তবুও ছিলো খাবার পানির সংকট। গোসল করতে পারেনি। রাতেও ঠিকঠাক ঘুম হতো না। নোনা পানি প্রবেশ করে গৃহপালিত পশু-পাখি ও মাছ মরে পানি নষ্ট হয়েছে। অনেকের ডায়রিয়া হয়েছে, কিন্তু কোনো চিকিৎসা সেবা পায়নি। আমারও ডায়রিয়া হয়েছিল। ৪ দিন ধরে শ্রম দিয়ে এলাকাবাসী বেড়িবাঁধ নির্মাণ করেছে। এখন আর জোয়ারের পানি আসছেনা। ঘর-বাড়ি জেগে গেছে তাই আজ ৬/৭ দিনপরে বাড়িতে যাচ্ছি।’ খুলনার কয়রা উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের পশ্চিম দেয়াড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফেরার পথে দেয়াড়া গ্রামের তরিকুল ইসলামের সাথে কথা হলে এভাবে বলছিলেন তিনি।
একই ইউনিয়নের দক্ষিণ দেয়াড়া গ্রামে ঘর মেরামতের কাজ করছিলেন নারগিস সুলতানা ও তার স্বামী জাহাঙ্গীর মোল্লা। পানির চাপে তাদের ঘর ভেঙে যায়। দুই মেয়েকে নিয়ে স্বামী-স্ত্রী আশ্রয় নেন পশ্চিম দেয়াড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম  আশ্রয়কেন্দ্রে। সেখানে মানুষের চাপ অনেক বেশি হওয়ায় খাওয়া, থাকা ও পয়ঃনিষ্কাশন সমস্যার কারনে দুদিন পরেই আশ্রয় নিয়েছিলেন রাস্তার  উপর ঝুপড়ি বেঁধে। এখন আর লোকালয়ে পানি প্রবেশ করছেনা তাই তারা ঘর মেরামত করছে। এখন জোয়ারের পানি না থাকলেও খাদ্যের অভাব রয়েছে তাদের।

ইয়াসের প্রভাবে কপোতাক্ষ, শাকবাড়ীয়া ও কয়রা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে প্রবল জলোচ্ছ্বাসে উপজেলার ৪ টি ইউনিয়নে দূর্বল বেড়িবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয় অর্ধশতাধিক গ্রাম। বাড়ি ঘর হারিয়ে ৩৫ গ্রামের ১০ হাজারের বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছিলো আশ্রয় কেন্দ্রে ও উঁচু বেড়িবাঁধের উপর। এলাকা বাসির অক্লান্ত পরিশ্রমে স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে মহেশ্বারীপুর, দক্ষিণ বেদকাশী ও মহারাজপুর তিনটি ইউনিয়নের বেড়িবাঁধ নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে।
লোকালয়ে জোয়ারের পানি প্রবেশ না করায় জেগে উঠেছে ঘর বাড়ি রাস্তা ঘাট। পানি কমায় বেরিয়ে এসেছে ইয়াসের ক্ষতচিহ্ন। ঘরে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। পানির কারণে রাস্তা ঘাট ভেঙ্গে নষ্টহয়ে যাওয়ায় চলাচলেও ভোগান্তি বেড়েছে।---
উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এস এম শফিকুল ইসলাম বলেন, ইয়াসের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধ ভেঙে কয়রা উপজেলার ৪ টি ইউনিয়নের ২০ টি পয়েন্ট ভেঙে প্লাবিত হয় ৫০টি গ্রাম। স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে মহারাজপুর, মহেশ্বরীপুর ও দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নের বেড়িবাঁধ নির্মাণ সম্পন্ন হওয়ায়। লবণ পানি কমতে শুরু করেছে। আশ্রয়কেন্দ্র থেকে নিজ বাড়িতে অনেকে ফিরতে শুরু করেছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনিমেষ বিশ্বাস বলেন, স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে বেড়িবাঁধ নির্মাণ হওয়ায় লবনাক্ত পানি কমতে শুরু করেছে। আশ্রয়কেন্দ্র থেকে অনেকে বাড়িতে ফিরছে। আশাকরি বদ্ধ পানি দ্রুত নেমে যাবে। তখন আশ্রয়কেন্দ্র থেকে সবাই বাড়িতে ফিরতে পারবে।





উপকূল এর আরও খবর

উপকূলের সংকট নিরসনে সম্মিলিত পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান উপকূলের সংকট নিরসনে সম্মিলিত পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান
বঙ্গোপসাগরে বৈরী আবহাওয়ায় চারদিন যাবৎ;মাছধরা বন্ধ দুবলারচরে হাজার হাজার জেলে অলস সময় পার করছেন বঙ্গোপসাগরে বৈরী আবহাওয়ায় চারদিন যাবৎ;মাছধরা বন্ধ দুবলারচরে হাজার হাজার জেলে অলস সময় পার করছেন
পাইকগাছায় উপকূল দিবস পালিত পাইকগাছায় উপকূল দিবস পালিত
১২ নভেম্বর উপকূল দিবস ঘোষিত হোক ১২ নভেম্বর উপকূল দিবস ঘোষিত হোক
উপকূলের সংকট নিরসনে রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি প্রয়োজন উপকূলের সংকট নিরসনে রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি প্রয়োজন
বঙ্গোপসাগরে মাছ আহরণে জন্য পাইকগাছার জেলে পল্লীতে ট্রলার তৈরির ধুম বঙ্গোপসাগরে মাছ আহরণে জন্য পাইকগাছার জেলে পল্লীতে ট্রলার তৈরির ধুম
পাইকগাছা শিবসা নদীর চরে আড়াই মন ওজনের শুশুক উদ্ধার পাইকগাছা শিবসা নদীর চরে আড়াই মন ওজনের শুশুক উদ্ধার
উপকূলীয় অঞ্চলকে দুর্যোগ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ঘোষণা করার দাবী উপকূলীয় অঞ্চলকে দুর্যোগ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ঘোষণা করার দাবী
জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত খুলনার উপকূলীয় এলাকা পরিদর্শন করলেন বেলজিয়ামের রানি জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত খুলনার উপকূলীয় এলাকা পরিদর্শন করলেন বেলজিয়ামের রানি
শ্যামনগরে উপকূল দিবসে উপকূলের মানুষের বাঁচার দাবী শ্যামনগরে উপকূল দিবসে উপকূলের মানুষের বাঁচার দাবী

আর্কাইভ