শিরোনাম:
পাইকগাছা, শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১

SW News24
রবিবার ● ১ আগস্ট ২০২১
প্রথম পাতা » কৃষি » কেশবপুরে সোনালী আঁশের সুদিন ফিরেছে
প্রথম পাতা » কৃষি » কেশবপুরে সোনালী আঁশের সুদিন ফিরেছে
৩০৯ বার পঠিত
রবিবার ● ১ আগস্ট ২০২১
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

কেশবপুরে সোনালী আঁশের সুদিন ফিরেছে

---

এম. আব্দুল করিম,কেশবপুর থেকে:

যশোরের কেশবপুরে প্রত্যান্ত অঞ্চলের মাঠ জুড়ে সোনালি আঁশ পাট চাষে ভালো ফলন হওয়ায় লাভের স্বপ্ন দেখছেন উপজেলার হাজারও পাট চাষী। অনুকূল আবহাওয়া ও পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতের কারণে চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় পাটের বা¤পার ফলন হয়েছে। ফলে এ উপজেলায় সোনালী আশেঁর সুদিন ফিরেছে আবার। গতবছর দাম ভালো পাওয়ায় এবার লক্ষ্য মাত্রার থেকে ৭শ হেক্টর জমিতে বেশি হয়েছে পাটের আবাদ। উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানাগেছে, কেশবপুরে ৪ হাজার ৮শ হেক্টর জমিতে চলতি বছর পাটের আবাদ করা হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৪ হাজার ১শ হেক্টর। গতবছর এ উপজেলায় পাট আবাদ হয়েছিল ৪ হাজার ১শ হেক্টর জমিতে। এবার রবি-১ জাতের লাল রঙের পাটের আবাদ বেশি করেছেন চাষীরা। এর মধ্যে ত্রিমোহিনী, মজিদপুর, সাতবাড়িয়া ও সাগরদাঁড়ি ইউনিয়নে পাটের আবাদ বেশি হয়েছে। ইতিমধ্যে কয়েকটি এলাকায় ক্ষেত থেকে পাট কাটা শুরু করেছেন কৃষকেরা। পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত হওয়ায় খালে-বিলে প্রর্যাপ্ত পরিমানে পানি থাকায় পাট জাগ( ভিজাতে) দিতে চাষীদের অসুবিধা হচ্ছে না।

উপজেলার মজিদপুর ইউনিয়নের বাগদহা গ্রামের কৃষক আজিজুর শামছুর রহমান বলেন, গতবছর বাজারে পাটের দাম বেশি দেখে এবার প্রথমবার ১ বিঘা ৬ কাটা জমিতে বীজ বুনেছিলাম। ভালো ফলন হওয়ায় ক্ষেতে ২০ থেকে ২২ মণ পাট হতে পারে বলে আশা করছি। আগামী সপ্তাহে পাট কাটবো। পাট আবাদ করতে এ পর্যন্ত ১২ হাজার ৭শ টাকা খরচ হয়েছে। প্রতি মণ পাট ৩ হাজার টাকা করে বিক্রি করতে পারলে ভালোই লাভবান হবেন বলে জানান।

উপজেলার ভালুকঘর গ্রামের কৃষক বিল্লাল হোসেন বলেন, ৪ বিঘা জমিতে পাট লাগিয়েছি ফলন ভালো হওয়ায় অনেক খুশি। দাম আগের মতো থাকলে ভালোই লাভ হবে। এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ঋতুরাজ সরকার বলেন, পাটের বাজারমূল্য বেশি হওয়ায় এ উপজেলার চাষীরা পাট আবাদে ঝুঁকেছেন। এবং কৃষি অফিস থেকে কৃষকদেরকে পাট চাষে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। অনুকূল আবহাওয়া ও পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতের কারণে পাটের বা¤পার ফলন হয়েছে। বিগত বছরের ন্যায় এবারও আশা করছি চাষীরা পাট বিক্রি করে ভালো দাম পাবেন। এভাবে চাষীরা লাভবান হলে এ উপজেলায় সোনালী আঁশের সুদিন ফিরে আসবে অচিরেই।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)