শিরোনাম:
পাইকগাছা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

SW News24
সোমবার ● ২৬ ডিসেম্বর ২০২২
প্রথম পাতা » কৃষি » পাইকগাছায় বাণিজ্যিকভাবে কুল চাষে সফল নার্সারীর মালিক সুকনাথ পাল
প্রথম পাতা » কৃষি » পাইকগাছায় বাণিজ্যিকভাবে কুল চাষে সফল নার্সারীর মালিক সুকনাথ পাল
১৯৯ বার পঠিত
সোমবার ● ২৬ ডিসেম্বর ২০২২
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

পাইকগাছায় বাণিজ্যিকভাবে কুল চাষে সফল নার্সারীর মালিক সুকনাথ পাল

 ---  প্রকাশ ঘোষ বিধান, পাইকগাছাঃ পাইকগাছায় বাণিজ্যিকভাবে কুল চাষ শুরু হয়েছে। আর কুল চাষ করে বেশ সফলতা পেয়েছে গদাইপুরের রজনীগন্ধা নার্সারীর মালিক সুকনাথ পাল।

বাগানে সারি সারি কুলগাছ। আকারে ছোট। বড়জোর চার থেকে পাঁচ ফুট। কুলের ভারে নুয়ে পড়েছে গাছগুলো। বাঁশ দিয়ে ঠেস দিয়ে রাখা হয়েছে। এক একটি গাছ ৫ থেকে ৬ হাত লম্বা। গাছের নিচ থেকে উপর পর্যন্ত থোকায় থোকায় ঝুলছে শুধু বল সুন্দরী কুল। থাই আপেল কুলের ওপরের অংশে হালকা সিঁদুর রং রয়েছে। ফলটি আকারে বড়, দেখতে ঠিক আপেলের মতো, খেতেও ঠিক আপেলের মতো সুস্বাদু। এদিকে এই ফলটি খেতে সুস্বাদু হওয়ায় স্থানীয় পর্যায়সহ জেলার বিভিন্ন স্থানে বেশ পরিচিতি লাভ করায় ক্রেতাদের চাহিদাও দিন দিন বেড়েছে।

কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ১০/১২টি কুলের বাগান, ক্ষেতের আইলে, বাড়ীতে, ছড়ানো ঠিটানো প্রায় ১০ হেক্টর জমিতে কুল বাগান রয়েছে। জানা গেছে, সুকনাথ পাল দেড় বছর আগে উপজেলার বাঁকায় লীজ নিয়ে ৩ বিঘা জমিতে প্রায় ৩ শতাধিক বল সুন্দরী, থাই আপেল ও কাশ্মীরি কুলের গাছের চারা লাগান। কুল গাছের চারা রোপনসহ তার দেড় লাখ টাকা ব্যয় হয়। চারা রোপণ করার ৭ মাসের মাথায় চারাগুলো পরিপক্কতা পেয়েছে।বাগানের বয়স প্রায় দেড় বছর। প্রথম কুল বাগান থেকে এক লাখ দশ হাজার টাকার কুল বিক্রি হয়। দ্বিতীয় বছরে গাছে প্রচুর ফল ধরেছে। প্রতি গাছে প্রায় ২০ থেকে ৩০ কেজি করে বল সুন্দরী, থাই আপেল কুল ধরেছে। ইতোমধ্যে বাগান থেকে কুল বিক্রি শুরু হয়েছে। শ্রমিকরা বাগানে কুল তোলা ও বাজারজাতকরণে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এ পর্যন্ত ৬০ হাজার টাকার মতো ফল বিক্রি হয়েছে বলে তিনি জানায়। শুরুতে প্রতি কেজি ১৬০ টাকায় পাইকারী দরে বিক্রি করেছে। তবে শেষের দিকে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে কুল বিক্রি হবে। কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না ঘটলে এই বাগান থেকে ৪ লাখ টাকার বেশী কুল বিক্রি করতে পারবে তিনি আশা প্রকাশ করছেন।  ---

সরেজমিনে কুল বাগানে গিয়ে দেখা যায়, সবুজ পাতার ফাঁকে লুকিয়ে রয়েছে বল সুন্দরী ও থাই আপেল কুল। যে দিকে দৃষ্টি যায় শুধু ফল আর ফল চোখে পড়ছে। বাহারী রঙের দৃষ্টি নন্দন কুল দেখলে মন কাড়ে। দেখতে অনেকটা মাঝারি সাইজের আপেলের মতো। রঙ আপেলের মতো সবুজ ও হালকা হলুদের ওপর লাল। খেতে অনেক সুস্বাধু ও মিষ্টি। বল সুন্দরী ফল চাষ করে ইতিমধ্যে তিনি এলাকায় চমক সৃষ্টি করেছেন। দূর দূরান্ত থেকে অনেক বেকার লোকজন এসে দেখছেন এবং বিষয়ে নানা পরামর্শ তার কাছ থেকে নিচ্ছেন।

পাইকগাছা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এ উপজেলায় কিছু কিছু নার্সারীতে বাণিজ্যিকভাবে কুল চাষ করে বেশ সফলতা পেয়েছেন। এরমধ্যে সুকনাথ পাল একজন সফল কৃষক। নতুন জাতের এই কুলের চাষ করে তিনি এলাকায় চমক কৃষ্টি করেছেন।  তিনি কুল চাষে আগ্রহীদের সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)