শিরোনাম:
পাইকগাছা, শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২

SW News24
রবিবার ● ৮ মার্চ ২০১৫
প্রথম পাতা » কৃষি » পাইকগাছায় আম গাছ মুকুলে ভরে গেছে, আম চাষীরা পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছে
প্রথম পাতা » কৃষি » পাইকগাছায় আম গাছ মুকুলে ভরে গেছে, আম চাষীরা পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছে
৯৭৮ বার পঠিত
রবিবার ● ৮ মার্চ ২০১৫
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

পাইকগাছায় আম গাছ মুকুলে ভরে গেছে, আম চাষীরা পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছে

প্রকাশ ঘোষ বিধান, পাইকগাছা :  শীতের শেষে ফাগুনে হাওয়ায় আম গাছের পল্লবে মুকুলে মুকুলে ভরে গেছে।  সোনালি হলুদ রঙের মুকুলে ঢেকে গেছে গাছ । গাছে গাছে মুকুলের এ সৌন্দর্য সবার মন কেড়ে নেয়।  বাতাসে আমের মুকুলের মৌ মৌ গন্ধ আর মৌমাছির গুন গুন শব্দে এক অদৃশ্য আকর্ষনে সবার মন হারায়। মৌমাছি ফুলে ফুলে উড়ে উড়ে মধু সংগ্রহ করে। আর এতে পরাগায়ন হচ্ছে ফুলের।
এ বছর পাইকগাছা উপজেলার আম গাছে মুকুল কিছুটা দেরিতে এসেছে। আম চাষীা গাছের প্রাথমিক পর্যায়ের পরিচর্যা শেষ করেছে। যে সব গাছে মুকুল বের হয়েছে তার পরিচর্যা চলছে। ভালো ফলন পেতে বাগান মালিক ও আম চাষীরা আম বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে। বড় ধরনের কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না ঘটলে আমের বাম্পার ফলনের আশা করছে আম চাষী ও বাগান মালিকরা। পাইকগাছা বড় আম বাগানের মালিক বিরাশির অখিলবন্ধু ঘোষ, সনাতন কাঠির আমিন সরদার, মোমিন সরদার, গদাইপুরের সামাদ ঢালী, মোবারক ঢালী, গোপালপুরের নজরুল ইসলাম, আবুল হোসেন জানান তাদের েেত রুপালী, বোম্বাই লতা ও হিম সাগর জাতের গাছের সংখ্যা বেশি। বাগানের আম গাছে প্রচুর মুকুল এসেছে এবং পরিচর্যা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে। তারা ভালো ফলনের আশা করছে। পাইকগাছার কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলারু ১০টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার মধ্যে ৪টি ইউনিয়ন গদাইপুর, হরিঢালী, কপিলমুুনি, রাড়–লী ও পৌরসভা ছাড়া বাকী ইউয়িন গুলিতে সীমিত আমের গাছ রয়েছে। উপজেলায় ৫৮৫ হেক্টর জমিতে মোট আম গাছের সংখ্যা ১৪ হাজার ১’শ ৮০ টি। তাছাড়া বিভিন্ন ইউনিয়নে ছড়ানো ছিটানো আম গাছ আছে। আম বাগান থেকে ২২ হাজার ১৮০ মেট্রিকটন আমের ফলন পাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) কৃষিবিদ মহাসীন আলী জানান, এ বছর আম বাগানে প্রচুর মুকুল এসেছে। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা সার্বনিক আম চাষী ও বাগান মালিকদের আমগাছ পরিচর্যায় পরামর্শ দিচ্ছে। বড় কোন ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয় না হলে আমের ভালো ফলন আশা করছেন।---





আর্কাইভ