শুক্রবার ● ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
প্রথম পাতা » আঞ্চলিক » নোটিশ পেয়ে বাড়িঘর রক্ষার আকুতি জানালেন নড়াইলের মহিষখোলাবাসী
নোটিশ পেয়ে বাড়িঘর রক্ষার আকুতি জানালেন নড়াইলের মহিষখোলাবাসী

ফরহাদ খান, নড়াইল ; আমরা বৈধ ভাবে বসবাস করছি, আমাদের কেন উচ্ছেদ করা হবে ? জমির কাগজপত্র ঠিক আছে। তবুও আমাদের নোটিশ দেয়া হয়েছে। আমরা এখন কোথায় যাব ? উচ্ছেদ নোটিশ পেয়ে এমন দাবির কথা জানালেন নড়াইল শহরের মহিষখোলাবাসী। বাড়িঘর রক্ষার আকুতি জানিয়েছে শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে শহরের প্রাণিসম্পদ হাসপাতাল এলাকায় সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারগুলো। অন্তত ২১টি ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা এখানে উপস্থিত ছিলেন। জেলা প্রশাসক কর্তৃক উচ্ছেদ নোটিশের ভুক্তভোগী জনগণের ব্যানারে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় লিখিত বক্তব্যে নড়াইল কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম ম. ম. শফিউল্লাহ বলেন, শহরের মহিষখোলা এলাকার দক্ষিণ পাশে চিত্রা নদী প্রবাহিত। নদীর চর এলাকায় দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে মহাকুমা প্রশাসক, পরবর্তী জেলা প্রশাসক অকৃষি খাসজমি হিসাবে বন্দোবস্ত করে আসছেন। আমাদের ইজারাকৃত জমিতে ঘর নির্মাণ করে দীর্ঘ বছর ধরে বসবাস করছি। ১৯৯৩ সালে পৌর এলাকার খাস ও অকৃষি জমি স্থায়ী বন্দোবস্ত দেয়ার সিদ্ধান্তে আমরা স্থায়ী বন্দোবস্তের জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করি। আমাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে খাসজমি গুলো ১৯৯৬ সালের ১৭ জুলাই বাটা দাগ করে প্লট সৃষ্টির মাধ্যমে স্থায়ী ইজারা দেয়ার প্রস্তাবনা বিভাগীয় কমিশনারের কাছে পাঠান জেলা প্রশাসক। এছাড়া জমি জরিপকালে আমাদের মহিষখোলা মৌজায় অন্তর্ভুক্ত কয়ে মাঠপর্চা এবং ৩০ ধারা অনুমোদিত হয়।
তিনি আরো বলেন, স্থায়ী বন্দোবস্ত আবেদনকারীদের মধ্যে কয়েকজনকে জেলা প্রশাসক দাতা হয়ে মূল্য নির্ধারণের মাধ্যমে জমি রেজিস্ট্রি করে দেন। এরপর ২০১১ সালে জমি থেকে বাড়িঘর অপসারণের নোটিশ দিলে আমরা হাইকোর্টে শরণাপন্ন হই। কাগজপত্র বিবেচনা করে হাইকোর্ট ৬০ দিনের মধ্যে বাকি জমিগুলো স্থায়ী বন্দোবস্ত দেয়ার নির্দেশনা প্রদান করেন। হাইকোর্টের নির্দেশনা মোতাবেক জমিগুলো স্থায়ী বন্দোবস্ত দেয়ার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এরই মধ্যে গত ২৯ জানুয়ারি জেলা প্রশাসকের নির্দেশক্রমে রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর শ্রাবণী বিশ্বাস স্বাক্ষরিত নোটিশে নির্মিত স্থাপনা ৩০ দিনের মধ্যে অপসারণপূর্বক জমি ত্যাগ করতে বলা হয়েছে। দুঃখের বিষয়, ৫০ বছর পর উক্ত জমিগুলো অকৃষি খাসজমি থেকে পরিবর্তন করে নদী শ্রেণি দেখিয়ে আমাদেরকে উচ্ছেদের চেষ্টা চলছে। আমাদের এই জমি ছাড়া অন্য কোথাও জমি নেই। আমাদের উচ্ছেদ করা হলে পরিবার নিয়ে খোলা আকাশের নিচে বা গাছতলায় থাকতে হবে।
ভুক্তভোগী আফানুর রহমান বলেন, যথাযথ প্রক্রিয়ায় অকৃষি খাস জমিতে আমরা বাড়িঘর নির্মাণ করেছি। কাগজপত্রের বাইরে আমরা একটু জমিও অবৈধ ভাবে দখল করিনি। চিত্রা নদীপাড়ের অনেক জমি খালি পড়ে আছে। এই জমিগুলো আমাদের কেউ দখল ও দুষণের সঙ্গে জড়িত নেই।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন-নড়াইল জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাবেক সভাপতি অশোক কুন্ডু, বীরমুক্তিযোদ্ধা তবিবর রহমান খান, খন্দকার আল মাসুদ হাসান, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোজাহিদুল রহমান পলাশ, নড়াইল কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, আফানুর রহমানসহ ভুক্তভোগী পরিবারগুলো।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক শারমিন আক্তার জাহান বলেন, উচ্ছেদের জন্য যাদের নোটিশ করা হয়েছে; তাদের জমি বন্দোবস্ত নেই। ৩০ দিনের সময় দিয়ে দখলদারদের বিরুদ্ধে নোটিশ দেয়া হয়েছে।






পইকগাছায় নিয়োগবিধি বাস্তবায়নের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত
পাইকগাছায় মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত
পাইকগাছায় নবাগত ইউএনও ওয়াসিউজ্জামান চৌধুরীর যোগদান
মাগুরায় জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস পালিত
শ্যামনগরে লবণ সহনশীল ফসল ও সবজি চাষ বিষয়ক প্রশিক্ষণ
পাইকগাছায় পরিবার পরিকল্পনা কর্মচারীদের কর্মবিরতি পালন
নড়াইলে সুধীজন, সরকারি কর্মকর্তা ও বীরমুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় সভা
নড়াইলে নবাগত পুলিশ সুপার আল-মামুন শিকদারের দায়িত্ব গ্রহণ
পাইকগাছার নতুন বাজার ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির নির্বাচন সম্পন্ন; সভাপতি অশোক সম্পাদক ইকবাল
কমরেড গোলজার না ফেরার দেশে 