শিরোনাম:
পাইকগাছা, শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২

SW News24
শনিবার ● ৩ মে ২০২৫
প্রথম পাতা » কৃষি » মাগুরার শ্রীপুরে সরকারি পাট বীজ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন চাষীরা
প্রথম পাতা » কৃষি » মাগুরার শ্রীপুরে সরকারি পাট বীজ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন চাষীরা
৪৭ বার পঠিত
শনিবার ● ৩ মে ২০২৫
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

মাগুরার শ্রীপুরে সরকারি পাট বীজ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন চাষীরা

---
মাগুরা প্রতিনিধি : পাটের জীবনকাল বেশি, লম্বা, পেঁচিয়ে যাওয়া ও ফলন কম হওয়ার কারণে মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার পাট চাষীরা সরকারি বিএডিসি কর্তৃক দেওয়া পাট বীজ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। জমিতে চাষ করছেন না সরকারের দেওয়া বিএডিসির বীজ। চাষিরা ঝুঁকে পড়েছেন ভারতীয় এল সির মাধ্যমে আসা সেবায়ন জে,আর,ও ৫২৪, চক্র মার্কা জে আর ও ৫২৪, ও শঙ্খ মার্কা পাটের বীজের দিকে ।এ মৌসুমে উপজেলায সর্বমোট ৯ হাজার ১’শ ৫০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ করা হয়েছে । উপজেলার পাট চাষীরা সরকারিভাবে উপজেলা থেকে দুইটি মাধ্যমে পাটের বীজ ও রাসায়নিক সার পেয়ে থাকেন। প্রথমত উপজেলা কৃষি অফিস, দ্বিতীয় উপজেলা পাট অধিদপ্তরের অধীনে পাট অফিস থেকে। এ মৌসুমে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে এক কেজির ১৫’শ ৩০ প্যাকেট ও পাট অফিস থেকে ২৪’শ প্যাকেজ বীজ চাষীদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।
শ্রীপুর উপজেলার কমলাপুর গ্রামের কৃষক জামাল মোল্লা ও ঘাসিয়ারা গ্রামের বক্কার মোল্লার সাথে কথা হলে তারা জানান, সরকারী বিএডিসির পাট বীজ জমিতে বপন করলে পাট দ্রুত বেড়ে অনেক লম্বা হয়ে যায় এবং লাল হয়ে যায় যা অত্যন্ত নরম এবং পাটের সাথে পাট পেঁচিয়ে যায়। আমরা সাধারণত যে সময় পাট কাঠি সে সময় পাট কাটলে এর ফলন কম হয়  এবং পাট কাটতে অনেক ঝামেলা হয় যে কারণে আমরা জমিতে এ পাট বীজ বপণ করি না। যারা উপজেলা থেকে এ বীজ আনে তারা শুধুমাত্র রাসায়নিক সার পাওয়ার জন্য।
উপজেলার অন্য একজন সচেতন কৃষক গোলাম আলীর সাথে কথা হলে তিনি জানান, প্রতিবছর বিএডিসির কৃষি মন্ত্রণালয় ও পাট অধিদপ্তর থেকে চাষীদের জন্য কোটি কোটি টাকার যে পাটবীজ বিতরণ করা হয়। তা চাষীদের কোন কাজেই আসছে না ব্যাপারটি ভেবে দেখার সময় এসেছে।
শ্রীপুর কাদিরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আইয়ুব হোসেন খান জানান, সরকারী বিএডিসি থেকে যে পাট দেওয়া হয় সেটার প্রতি কৃষকদের অনীহা রয়েছে। এ মৌসুমে সরকারি বীজ নেওয়ার জন্য মাইকিং করা হলেও অনেক কৃষক আসছে না । কিছু কৃষক এসেছে তাদের মধ্যে বীজ বিতরণ করা হয়েছে । বাকি বীজের প্যাকেট গোডাউনে পড়ে আছে।
শ্রীপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সালমা জাহান নিপা জানান, বিএডিসি কর্তৃক দেওয়া এ পাট বীজের জীবনকাল বেশি। অন্যান্য পাটের জীবনকাল সাধারণত ৯০ থেকে ৯৫ দিন হয়ে থাকে। আমরা বিএডিসি থেকে সরকারী যে বীজ দিয়ে থাকি সেটি জীবনকাল ১২০ থেকে ১২৫ দিন হয়ে থাকে। যে কারণে হয়তোবা চাষিরা এ বীজ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন।
উপজেলা পাট কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন জানান, এ বীজের প্রতি চাষীদের অনীহার কারণ যেটি বপণ করলে অন্যান্য পাটের তুলনায় আশ শক্ত হতে বেশি দিন সময় লাগে। চাষিরা তাদের জমিতে অন্য ফসল ফলানোর জন্য তাড়াতাড়ি পাট কেটে ফেলে। যে কারণে এ সমস্যা দেখা দিচ্ছে। যদি সময় মতো পাট কাটা যায় তাহলে অন্য পাটের তুলনায় এর ফলন বেশি হবে। এ ব্যাপারে চাষীদের নিয়ে আমারা কর্মশালা করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা চাষীদের বোঝানোর চেষ্টা করছি। কিন্তু কোন ফল পাওয়া যায়নি।





আর্কাইভ