

বৃহস্পতিবার ● ৩১ জুলাই ২০২৫
প্রথম পাতা » অপরাধ » কেশবপুরে উপজেলা প্রশাসনের অভিযানে বাল্যবিয়ে বন্ধ ও খাস জমি উদ্ধার,১৩ হাজার টাকা জরিমানা
কেশবপুরে উপজেলা প্রশাসনের অভিযানে বাল্যবিয়ে বন্ধ ও খাস জমি উদ্ধার,১৩ হাজার টাকা জরিমানা
এম আব্দুল করিম, কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি : যশোরের কেশবপুরে (অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েকে) বাল্য বিয়ে দেওয়ার প্রস্তুতিকালে মেয়ের বাবা সন্তোষ দাসকে ৮ হাজার টাকা জরিমানা এবং বাল্যবিয়ে বন্ধ করে দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
অপরদিকে সরকারি খাস জমি দখল করে দোকান ঘর নির্মাণের অপরাধে শাহীনুুর রহমানকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা এবং নির্মাণাধীন স্থাপনা অপসারণ করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বুধবার (৩০ জুলাই-২৫) রাতে ভ্রাম্যমাণ আদালত দু’টি পরিচালনা করেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শরীফ নেওয়াজ।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মঙ্গলকোট ইউনিয়নের বড়েঙ্গা গ্রামে সন্তোষ দাসের অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়ে সুবর্ণা দাস (১৭) এর বিয়ের প্রস্তুতি চলছিলো। এমন সংবাদের ভিত্তিতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শরীফ নেওয়াজ বুধবার (৩০ জুলাই) রাতে মেয়ের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে বাল্যবিয়ের প্রস্তুতির সত্যতা পেয়ে মেয়ের বাবাকে ৮ হাজার টাকা জরিমানা এবং প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিবাহ দিবে না মর্মে অঙ্গীকারনামা নিয়ে বাল্যবিয়ে বন্ধ করেছেন।
অপরদিকে উপজেলার বায়সা গ্রামের মোহাম্মদ আলী গাজীর ছেলে শাহিনুর রহমান (৩০) সরকারি রাস্তার পাশে খাস জমি দখল করে দোকান ঘর নির্মাণ করছিলেন। দোকান ঘর নির্মাণের প্রাক্কালে শাহিনুর রহমান কে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯ অনুসারে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা এবং নির্মাণাধীন স্থাপনা অপসারণ করে দিয়েছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শরীফ নেওয়াজ বলেন, অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার প্রস্তুতিকালে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন, ২০১৭ অনুসারে মেয়ের বাবাকে ৮ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ করে আদায় এবং প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দিবে না মর্মে অঙ্গীকারনামা নিয়ে বাল্যবিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বাল্যবিয়ে একটি সামাজিক ব্যাধি। এই ব্যাধি নির্মূলে সমাজের সব শ্রেণি-পেশার মানুষের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও সহযোগিতার বড়ই প্রয়োজন। সমাজ থেকে যেকোন ভাবেই বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ করতে হবে।
এছাড়াও সরকারি রাস্তার পাশে খাস জমি দখল করে দোকান ঘর নির্মাণের প্রাক্কালে শাহীনুর রহমানকে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯ অনুসারে পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড আরোপ করে আদায় এবং নির্মাণাধীন স্থাপনা অপসারণ করা হয়েছে। জনস্বার্থে উপজেলা প্রশাসনের এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।